পাপড়ি দাস সরকারের গুচ্ছ কবিতা




 
সুখবোধ

নান্দনিক বর্ণমালা
নিমিত্ত সুখের অধীন
এ দিনের কেশভার বড় মর্মন্তুদ
রোদের নির্ভিক উৎকৃষ্টে মধুর হতে চায়
হৃদ, বেদ কত মধুর
নিরাভরণ ঔদ্ধত্যে
          তোমার স্রোতস্বিনী.....

ওগো কেশভার
আমার বিরস দিনের বিরল কাজ নন্দন রচনা কর-

শুষ্কতা

রুক্ষ পাথুরে মাটি লাগিয়েছিল চারাগাছ
বরাদ্দ ছিল যথেষ্ট জল সঞ্চিত যত সার
রাজার তর সয় না তাকে নিয়ে
তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখে তার

রাজা বেরিয়েছেন বাগান পর্যবেক্ষনে
ঘুরতে ঘুরতে সেই সব কচি গাছের সামনে
সোহাগ স্পর্শে আহ্লাদে আটখানা
বুকের ভিতর লাফিয়ে লাফিয়ে

একসময় ছাড়িয়ে গেল তাঁর মাথা
হাসি বদলে এল করুন কান্না
এ গাছে নেই ফুল, ফল, পাতা

শুধু কাঁটা সর্বস্ব, বিশ্ব ছায় কাঁটাফলে, আর কিছু না

শৈশব

তোমরা দেখতেই পাওনা আমার মাথার ভেতর
যখন তখন ঢুকে পড়ে আস্ত এক অমানুষ
রাত্রির নিবিড় ঠোঁটে আমার ধমনী ও শিরা উপশিরায়
     ঢেলে দেয় তমসার স্রোত
     খুন না করে হয়ে উঠি খুনি
     ধর্ষণ না করেও ধর্ষক
     দু-চোখে শ্বাপদের এল জ্বেলে পড়তে থাকি
     অন্ধকার অধ্যায় লেখা
     নিহতের কান্নায় উথলে ওঠে হৃদয়

     ভয়াল অরণ্যের পথে যেতে যেতে
     পূর্ণ হয় বুক
     রাত্রির শেষে জড়িয়ে ধরি নিজস্ব শৈশব!


 কবি পাপড়ি দাস সরকার
       ৪১/৫ রজনী মুখার্জী রোড, কলকাতা 

0 Comments