অনিন্দ্য দত্ত'র ফিল্ম স্ক্রিপ্ট


সেলফি

Scene:1
Location:Indoor
Time:Day

অ্যাডভাটাইজিং এজেন্সি অফিস। আমাদের প্রোটাগনিস্ট রণিত টেবিলের একপাশে, আর একদিকে এজেন্সি ওনার, দামিনী সেন। 
দেওয়ালে নানা ধরনের ছেলে ও মেয়েদের ছবি লাগানো। এবং ইতস্তত ছড়ানো ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি থেকে বোঝা যায়, যে এটা একটা স্টুডিও স্পেস।
দামিনির হাত থেকে একটা বড় ব্রাউন খাম থেকে একটার পর একটা বড় প্রিন্ট দেখছে, দেখতে দেখতে কথা বলতে শুরু করে - 

দামিনি:জমছেনা বস, রণিত, জমছেনা একদম। দেখ, এই ছবিটা, দেখ – মনে 
হচ্ছে মেয়েটা গিরগিটির মত দেওয়াল সিঁটকে আছে, সেটে কনো ডেপ্‌থ নেই, ডেকর প্রপার নয় - সব মিলিয়ে একেবারে অ্যামেচারিশ, একবারে পাড়ার ফটোক্লাশ স্টুডিওর ছবি গুরু যা তাই,

রণিত:কি করব দামিনীদি, আমার ফ্ল্যাটটা তো দেখেছো, দুটো পায়রার খোপের 
মত ঘর। যা করবার, ছাদে গিয়ে বা আউটডোরে গিয়ে করতে হয়। ডেপ্‌থ- ডেকর এগুলো কিভাবে করব। তোমার হাতে তো অনেক ফ্ল্যাট আছে, দাও না একটা খোলা মেলা দু’ঘরের ব্যাবস্থা করে, তারপর দেখবে ছবি কিরকম ঝাকাস হয়, পুরো প্লেবয়ের কভার হয়ে যাবে।

দামিনী একটা সিগারেট ধরায়, একটুক্ষণ রণিতের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর বলে –

দামিনী:হ্যাঁ ওই কাজটাতো তুই খুব ভালো করেই পারিস। আমি জানি, কিন্তু তার 
জন্য বড় ফ্ল্যাটের দরকার কি? একটা বড় গদি হলেই তো চলে যায়, তাই না! আচ্ছা, আচ্ছা, জোকস অ্যপার্ট। দাঁড়া...

মোবাইল তুলে ফোন করে 
দামিনী:শোনো ব্রিজেশ, আমি দামিনীদি বলছি, আমার একটা বড়সড় দু’কামরার 
ফ্ল্যাট দরকার, তোমার সন্ধানে আছে কিছু?

তারপর আর কথা শোনা যায়না, ফোন চলতে থাকে,
একসময় ফোন শেষ হয়, 
দামিনী ফোন নামিয়ে রণিতকে বলে – 

দামিনী:ব্যাস্‌, ডান! সেভেন্থ ফ্লোরে দু’রুমের ফ্ল্যাট, পাশে ছাদ, সবদিক খোলা। 
হু হু করে আলোবাতাস, অথচ টোটাল প্রাইভেসি। 

রণিত:কিন্তু দক্ষিণা?

দামিনি:আরে পাগলা, বলছি কি! খুব কম, সিক্স থাউস্যাণ্ড অনলি! আর ডিপোজিট 
অনলি টুয়েন্টি থাউস্যাণ্ড, এমন সুযোগ আর পাবি না সালা। এখনই ব্রিজেশকে কনট্যাক্ট কর আর আজই বুক করে ফেল।

রণিত:ও থ্যাঙ্ক ইউ দামিনীদি 

দামিনী:থাক, আর ন্যাকামি করতে হবে না। আমি যা করছি, নিজের ইন্টারেস্টেই 
করছি, পরিস্কার শুনে রাখো, রণিত চাকী - এবারে যদি দেখি ফোটো শুটটা “শ্মশানে দিবা রাত্রি ফোটো তোলা হয়” কোয়ালিটির মত হয় তবে... (গলাকাটার ভঙ্গি করে) বুঝেছ চাঁদ? যা এবার, মুভ ইওর অ্যাস! সময় নষ্ট কোরো না এখানে  

রণিত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায় ঘর থেকে 

                                                                  Cut to:

Scene:2
Location:Outdoor
Time:Day

একটা ফ্ল্যাটের দরজার সামনে একটা হাত ফ্ল্যাটের দরজা খোলে। প্রথমে ব্রিজেশ, তারপর রণিত ফাঁকা একটা ফ্ল্যাটে আসে। 

ব্রিজেশ:কীরকম হাওয়া দেখছেন স্যার।

রণিত:জানলা বন্ধ থাকলে হাওয়া টের পাওয়া যায় নাকি ব্রিজেশবাবু? 

ব্রিজেশ:ওহ্‌ ইয়েস ইয়েস!

সব জানলা খুলে দেয়, ঘরটা আলো হাওয়ায় ভরে যায়, রণিতকে দেখে বোঝা যায়, সেও যথেষ্ট খুশি হয়েছে। তবুও খোঁচাবার জন্য বলে -

রণিত:ব্রিজেশবাবু, এত ভালো ফ্ল্যাট, ওনারা এত কম ভাড়ায় ছেড়ে দিচ্ছেন, 
কিছু গণ্ডগোল আছে নাকি? ঘুমের মধ্যে দেওয়াল টেওয়াল ভেঙে পড়বে নাতো?

ব্রিজেশ:আরে চাকীবাবু, কি বোলেন! লাস্ট দু’বছরে তিনটা ফ্যামিলি থেকে গেছে, 
কারো কোনো অবজেকশন হয় নাই।

রণিত:সেকি! দু’বছরে তিনজন? খুব তাড়াতাড়ি হাতবদল হয়েছে তো! ব্যাপার 
কি, ভূত-টূত আছে নাকি?

ব্রিজেশ:আরে না, না, সব আনপর – গাঁওয়ারের কথা শুনবেন না। 
মেয়েছেলেগুলোকে জানেন তো, ঝুটমুট শুধু ডর খেয়ে যায়, আর 
হাসব্যাণ্ডগুলোও সেরকম হয়েছে, মেয়েছেলেদের কথায় চলে, ভেগে যায়।

রণিত:সবাই ভয় পাচ্ছে, সত্যিই কিছু আছে নাকি?

ব্রিজেশ:কুছু না, কুছু না, সব রিউমর আছে, সব ওয়াহেম, সব ওয়াহেম – আপনি 
বড়া আর্টিস্ট আছেন, উসব বাত মন সে দূর কর দেনা।

রণিত:কার ভূত? মদ্দা না মাদী?

ব্রিজেশ:আরে ইয়াং লড়কি থি, খুদকুশি করলি, নাম থি জয়িতা, জয়িতা রায়, 
আকেলি রেহেতি থি।

রণিত:হঠাৎ সুইসাইড করল কেন?

ব্রিজেশ:(গলা নামিয়ে) রেপড হো গয়া থা, তিন-চার লড়কে নে মজা মারকে চলে 
গায়ে ওউর লড়কি.......... 

রণিত:ধরা পড়ল না?

ব্রিজেশ:আরে চাকীবাবু, কৌন পাকড়েগা, লোকাল পলিটিকাল আদমি হ্যায়, দাদা 
হ্যায় সব, দাদা!

রণিত:কত বয়স ছিল মেয়েটার?

ব্রিজেশ:ছাব্বিশ–সাতাইশ হোগা।  

রণিত:হম্‌, পারফেক্টলি রাইট এজ, ব্রিজেশবাবু, আপনি এক্ষুণি এই অ্যাডভান্সটা 
নিয়ে ওনারকে কনফার্ম করে দিন, আর আপনার ব্রোকারেজও ঐ টাকার 
মধ্যেই আছে, আর চাবিটা আমায় দিন।

ব্রিজেশ:ইয়েস, ইয়েস্‌, ঠিক হ্যায় ঠিক হ্যায়, ইয়েহি হ্যায় আপকা কী। 

রণিত:আমি তো একলা লোক, হয়ত এবার একটা পার্টনার পেয়ে যাব, কি 
বলেন ব্রিজেশবাবু!

ব্রিজেশ:পার্টনার! উয়ো চুড়াইল কে সাথ। আপনি হিউমর লোক আছেন চাকীবাবু!

দু’জনে বেরিয়ে যায় এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে।

ফাঁকা ফ্ল্যাটটাকে ক্যামেরা কিছুক্ষণ ধরে রাখে। 

                                                                  Cut to:


Scene:3
Location:Indoor
Time:Day

রনিতের নতুন ফ্ল্যাট, সাজানো-গোছানো, তাতে একটা ফটোসেশন চলছে, পরপর স্টিল ছবি, একটার পর একটা স্ক্রিনে পরতে থাকে, সঙ্গে শাটারের শব্দ, ছবিতে আমরা দেখি, একটি তরুণী মেয়ের জামাকাপড় একটা একটা করে কমে আসছে, প্রায় যখন সে নগ্ন হয়ে এসেছে, তখন দৃশ্যটি ফ্রিজ করে, ছবির নাম ও টাইটেলগুলো পরপর স্ক্রিনে আসে। 

                                                                  Cut to:


Scene:4
Location:Indoor (Continuation of the previous scene)
Time:Day

দেখা যায়, রণিত স্টুডিওতে ঐ মেয়েটির ছবি তুলছে।  
মেয়েটির খোলা পিঠ ও ঘাড় ফ্রেমের ফ্রন্টালে দেখা যাচ্ছে। 
ব্যাকগ্রাউণ্ডে রণিতকে দেখা যায়, ক্যামেরার পেছনে। 
মেয়েটির মুখ আমরা দেখতে পাইনা কিন্তু তার কথা শুনতে পাই। মেয়েটির নাম রিটা –

রিটা:ও রণিত, অ্যায়াম এক্সসটেড টুডে, আর কত টাইম লাগবে। 

রণিত:ওকে বেবি, লাস্ট শট।  

ছবিটা তোলে 

রণিত:ওয়েল, প্যাকআপ ফর দা ডে।

মেয়েটি ফ্রেম থেকে চলে যায়, 
রণিতও এগিয়ে এসে ফ্রেম ব্লক করে দেয়। 

                                                                  Cut to:

Scene:4 A
Location:Indoor (Continuation…)
Time:Day

আমরা স্ট্যান্ডে বসানো ক্যামেরাটাকে কাছ থেকে দেখতে পাই।

রণিত ও রিটাকে দেখতে না পেলেও, তাদের আদর ও আশ্লেষের শব্দ শোনা যায়।

রিটা:নো নো ডার্লিং! নট টুডে, সেই কখন থেকে কাজ করছি।

রণিত:সেই জন্যই তো তোমাকে মাসাজ করে দিচ্ছি, জাস্ট রিল্যাক্স বেবি।

মেয়েটা কিছু বলতে যায়, কিন্তু অস্ফূটে শব্দ শুনে বোঝা যায়, যে রণিত মুখ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

এবার স্ট্যান্ডে বসানো ক্যামেরাটাকে আমরা খুব কাছ থেকে দেখি 
ক্যামেরাটা ধীরে ধীরে পেডেস্টালের ওপর ঘুরে যায়, যেইদিক থেকে এইসব শিৎকার আসছে, তার দিকে। 

                                                                  Cut to:

Scene:4 B
Location:Indoor (Continuation)
Time:Day

টপ অ্যাঙ্গেল থেকে আমরা দেখি, স্টুডিওর ফ্লোরে রণিত ও রিটা যৌনতার পর শুয়ে আছে, তাদের শরীর ঢেকে রেখেছে একটি ব্ল্যাঙ্কেট। 

রণিত বিছানার পাশ থেকে তার আইফোনটি তুলে নেয় এবং তাদের এই শয্যাদৃশ্যের ছবি তুলতে থাকে। 
তরুণী কম্বলের তলায় ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে,

তরুণী:আঃ! কি করছ! এই সময় কেউ সেলফি তোলে! ইউ ব্রূট!

রণিত শক্ত করে মেয়েটিকে এক হাতে ধরে রেখে অত্যন্ত কঠোরভাবে বলে -  

রণিত:স্টেডি রিটা, আমাকে আমার কাজ করতে দাও।

রিটা:ইউ আর আ মনস্টার! লেট মি গো!

রণিত:চুপ চুপ! একদম চুপ!

ফোনটা পাশে রেখে রিটার মুখ চেপে ধরে, জোর করে শুইয়ে দেয়। 
রিটার শরীরের ওপর নিজের শরীর নিয়ে উঠে যায়।
তার শরীরের নীচে রিটার অসহায় শরীর ছটফট করতে থাকে।

রিটার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লো-অ্যাঙ্গেল শটে পুরো সিলিংটা ঘুরতে থাকে,                                                             
                                                                                                    
                                                                  Cut to:

Scene:5
Location:Outdoor 
Time:Day

একটা ক্যাফেতে, রণিত ও আর একটি মেয়ে বসে টুকিটাকি খাচ্ছে। 

রণিত:সোহিনি, ভালো পোর্টফলিও তুলতে গেলে একদিনে হয়না। 
তোমাকে আমার বুঝতে হবে তো! তোমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, 
অ্যাটিচুড, রেসপন্স - এগুলো ধরতে হবে তো। তবে তো দু’ইয়ে দু’ইয়ে চার না হয়ে বাইশ হবে। তাই বলছি দু’একদিন এসো স্টুডিওতে; একটু টাইম দাও, তুমি হয়তো খুব ব্যাস্ত, কিন্তু ভালো ছবির জন্য একটু তো সময় স্পেয়ার করতে হবেই।

সোহিনী:না, না, আমিতো জাস্ট ফ্রেশার, মোটেই ব্যস্ত নই স্যার। কবে 
যেতে হবে আপনার স্টুডিওতে?

রণিত:দেখো, যাকে তাকে আমি স্টুডিওতে ডাকিনা। কিন্তু তুমি 
কোয়েলের রেফারেন্সে এসেছ, তোমার মধ্যে আলাদা একটা স্পার্ক 
আছে। অনেকদূর যাবে তুমি! তাই মনে হচ্ছে একটু ইন্টিমেট স্টাডি করা প্রয়োজন। আচ্ছা, হাউ আর ইউ প্লেসড অন দ্য সিক্সটিন্থ, মানে, শনিবার?

সোহিনী:নিশ্চয়ই স্যার, আমি ফ্রি, কোন সময় গেলে আপনার সুবিধে

রণিত:এই ধর চারটে নাগাদ, ঘণ্টা দুয়েকের জন্য এলে, কিছু টেস্ট 
শট নিতাম, একটু আড্ডা হলো, এই গরীবের হাতে এক কাপ কালো কফি খেলে চলবে তো? 

সোহিনী:নিশ্চয়ই স্যার, আমিতো ভাবতেই পারছিনা আপনি 
এতোটা সময় দেবেন আমাকে,

রণিত:ওইযে বললাম, একটা স্পার্ক আছে তোমার মধ্যে!
                                                                                                     
                                                                  Cut to:

Scene:6
Location:Indoor (রণিতের বেডরুম) 
Time:Day 

রণিতের বেডরুম
অ্যাকোরিয়ামের মধ্যে মাছ দেখা যায়, বিগ ক্লোজআপে।
কিছুক্ষণ পরে ফোকাস শিফট হয়, দেখা যায় মাছ/ অ্যাকোরিয়াম ঝাপসা হয়ে গিয়ে পেছনে বসে থাকা রণিত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সে ফোন করছে, মুখে একরাশ বিরক্তি। বোঝাই যাচ্ছে কারো লাইন পাচ্ছে না, ক্রমেই চটে উঠেছে - 

রণিত:হোয়াট দ্যা হেল! পিকআপ রিটা! পিক আপ! হোয়াট দ্যা ফাক!

টেলিফোনের বার্তা শোনা যায়- 

“ The person you are trying to call is out of range”

রণিত:কোথায় মারাতে গেছ মামনি! যত্তসব! 

ফোনটাকে কার্পেটের ওপর জোরে রাখে। তারপর ফোনটা হাতে তুলে দেখতে শুরু করে এবং হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে – 

রণিত:একি, ওর আর আমার সেলফিগুলো কোথায় গেল? ডিলিট করে ফেললাম 
নাকি! নাঃ! মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। 

                                                                  Cut to:

Scene:7
Location:Indoor (রণিতের কিচেন)
Time:Day

রণিতের কিচেন 

রণিত রান্নাঘরে কফি করছে। বার্নারে প্যানে গরম জল বসানো আছে, ক্লোজআপ গ্যাসের নীল আগুনে, দেখা যায় দু’টো কাপে রণিত কফির গুঁড়ো ঢালছে। একটা কাপে চিনি ও আরেকটা কাপে একটা ছোটো বোতল থেকে দু’টো বড়ি মেশায়।
তারপর বার্নার বন্ধ করে গরম জল কাপে ঢালে। 
চামচ দিয়ে গোলে। 
রনিতের মুখের ক্লোজআপ, অল্প একটু হাসির রেখা –

                                                                  Cut to:

Scene:8
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

রনিতের স্টুডিও 
রণিত কফির ট্রে নিয়ে স্টুডিওতে আসে। 
সোহিনী একটা ছোটো স্টুলে বসে আছে।

রণিত:হট কফি, ম্যাম।

সোহিনী তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে রনিতের হাত থেকে কফির ট্রেটা নিয়ে নীচের কফি টেবিলে রাখে

সোহিনী:ওঃ! থ্যাঙ্ক ইউ স্যার, থ্যাঙ্ক ইউ!

রণিত:আরে নো প্রবলেম, বস্‌! লাভ’স লেবার নেভার গেট লস্ট!

দু’জনে মুখোমুখি বসে 

রণিত:কি হল? পিয়ো ভাই!

সোহিনী তাড়াতাড়ি করে কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে গরম লাগায় কাপটা নামিয়ে রাখে, কিছুটা কফি চলকে পড়ে, 

রণিত:আরে আরামসে ভাই, আরামসে! ইয়ে আরাম কা মামলা হ্যায়।

সোহিনী আরো নার্ভাস হয়ে পড়ে। 
কফিটা এবার আস্তে আস্তে খেতে থাকে। বোঝা যায় যে, খুব উপভোগ করছে কফিটা। এত ভালো কফি সে আগে কখনও খায়নি।
কফিটা অর্ধেক শেষ করতে না করতেই কোনোরকমে কাপটা ট্রেতে নামিয়ে রাখে - মাথা ঘুরছে তার। 
অন্যদিকে রণিত চুপচাপ বসে বসে কফি খাচ্ছে।

একটু পরেই সোহিনী ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়ে, ও স্টুল থেকে নীচে মেঝেতে পড়ে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। 
রণিত মৃদু হেসে টাইম নিয়ে কফিটা শেষ করে। 
তারপর উঠে দাঁড়িয়ে সোহিনীর দিকে এগিয়ে যায়। 

                                                                  Cut to:

Scene:9
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

রনিতের স্টুডিও

দেখা যায় আধ ঘুমন্ত অবস্থায় সোহিনী পড়ে আছে। পোশাক এলোমেলো। 
পাশে রণিত শুয়ে সেলফি তুলছে।

সোহিনী:আঃ! আঃ! কি হয়েছে? আমার মাথা!

রণিত:কিচ্ছু হয়নি সোনা! ইন্টিমেট স্টাডি সেশন চলছে। তবে মনে 
রেখো, কেউ যদি এসব সেশনের কথা টের পায়, তবে ছবিগুলো 
সব ভাইরাল হয়ে যাবে। শোনো খুকুমনি, সামনের উইকে তোমার 
ছবি তুলব। কস্টিউম, মেকাপ নিয়ে ফিফটিন থাউজ্যান্ড পড়বে, 
ঠিক আছে?

সোহিনী:আপনি... আপনি আমাকে হেল্পলেস করে... ও… ও 

কান্নায় ভেঙে পড়ে

রণিত:আরে ভাই, অ্যাকটিং – মডেলিং-এ আসছ! এসব স্ক্রিনটেস্ট 
দু’দিনেই অভ্যাস হয়ে যাবে। তারপর ইউ উইল স্টার্ট টু এনজয় 
ইট। আবার দেখো, নাকে কাঁদছে, এসব নাকে কাঁদা আমার একদম সহ্য হয় ন। যাও, ক্লিয়ার আউট।

রণিত অন্যদিকে চলে যায়। 
আমরা ক্রন্দনরত সোহিনীর দিকে চলে যাই। 

                                                                  Cut to:


Scene:10
Location:Indoor (রণিতের বেডরুম)
Time:Night

রনিতের বেডরুম

রণিত নিজের সেলফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছে, 
ফোন করে- 

রণিত:সোহিনী, আমি রণিতস্যার কথা বলছি। কি? কি? কি বললেন? রং নম্বর? 
কি যা-তা বলছেন মশাই। একসপ্তাহ ধরে রোজ কথা বলছি আর আজ রং
নম্বর হয়ে গেল! ইম্পসিবেল! বাজে কথা বলছেন আপনি। একি! যা! 
কেটে দিল! হোয়াট দ্য হেল! এ মাছটাও হাত থেকে পালালো নাকি 
আরেকটার মতো? সব যাচ্ছে কোথায়? পরশু বিকেলেও তো কথা বলেছি, 
আর আজকে রং নম্বর! দেখি তো মালটার ছবিটা একবার। একি, 
আমাদের পোস্ট সেশনের সেলফিটা কোথায়? আমি কি পাগল হয়ে যাব? 
ফোন না আমার মাথা, কোন্‌টা গড়বড় করছে, নাঃ তা তো হতে পারেনা। 
সবইতো ঠিক চলছে, সালার ফোন! 

ফোনটা ছুঁড়ে মারে, 
ভাগ্যক্রমে কার্পেটের ওপর ফোনটা পড়ে।

রণিত উঠে গজগজ করতে করতে বাইরে চলে যায়।

আমরা ফোনটার খুব কাছে চলে আসি। 
দেখা যায় সেখানে একটি অচেনা মেয়ের হাসিমুখের ছবি দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি রিটা বা সোহিনী - কেউ নয়।
                     
                                                                  Cut to:


Scene:11
Location:Indoor (দামিনী অ্যাডভারটাইজিং-এর অফিস)
Time:Night

দামিনী অ্যাডভারটাইজিং-এর অফিস ,

দামিনী আর রণিত বসে আছে, 
দামিনী ক্ষিপ্তভাবে চিৎকার করতে থাকে - 

দামিনী:ফোন নম্বর হারিয়ে গেছে মানেটা কি? হারামি! তুই, তো আগে শুধু 
সেক্সে বেঁহোশ ছিলি। হার্ড ড্রাগস কিছু ধরেছিস নাকি, ফোন থেকে 
আইটেমের কনট্যাক্ট হারিয়ে যাচ্ছে কিভাবে?

রণিত:হারিয়ে যায়নি দামিনীদি, হারিয়ে যায়নি, ওরা ফোন পিক-আপ করছেনা।

দামিনী:ভয়ে করছেনা রে সালা! ভয়ে করছেনা! তুই তো স্যাডিস্ট! এমন অত্যাচার 
করেছিস যে ভয়ে তোর ছায়া মাড়াতে চাইছেনা। পরিস্কার করে শুনে 
রাখো চাঁদু,এই সোহিনী বলে মেয়েটা বা ওর মতো ইনোসেন্ট কোনো 
চেহারা চাই। অ্যাড উইং একটা কনট্রাসেপটিভ ক্যাম্পেনের পেয়েছে। 
ভিলেজ-বেলের লুক চাই। ছবি ওরা আমার পছন্দ মতো লোককে দিয়েই 
তোলাবে। সুতরাং বুঝতেই পারছ খোকা, দিস ইস ইওর বিগ ব্রেক। 
ব্যাটে-বলে করতে পারলে রইলে, নয়তো ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন। এইটে 
লাস্ট ওভার। ধ্যাড়ালে টিম থেকে আউট।

রণিত প্রায় ঠিকরে বেরিয়ে যায়। 

Scene:12
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

রনিতের স্টুডিও

বেল বাজে। 

রণিত:এসো আমার গোল্ডফিশ! এসো আমার সোনার ডিম পাড়া হাঁস, এসো।

গিয়ে দরজা খুলে দেয়, 
একটি আকর্ষণীয় চেহারার মেয়ে এসে ঢোকে,

অরিত্রা:আমি অরিত্রা, বারীনদা পাঠিয়েছেন

রণিত:আরে ওয়েলকাম,ওয়েলকাম! তোমার... স্যরি, আপনার কথাই বারীনদা 
বলেছিলেন

অরিত্রা:ঠিক আছে, ঠিক আছে, তুমিতেই চলুক না, আমাদের কাজটাওতো ঘনিষ্ঠ 
যোগাযোগের কাজ, তাইনা স্যার!

একটা সিগারেট বার করে ধরায়, বলে - 

অরিত্রা:মে আই?

রণিত:ইয়েস অফকোর্স, প্লেজার

লাইটার বার করে সিগারেটটা ধরিয়ে দেয়,
রণিত:ক্যান আই অফার ইউ সামথিং টু ড্রিঙ্ক?

অরিত্রা:এখন না, কাজের পরে, কেমন?

রণিত:ওকে, অ্যাজ ইউ উইশ

রণিত অরিত্রাকে ঘনিষ্ঠভাবে কাছে টেনে নেয়। অরিত্রা একটা টান দিয়ে সিগারেটটা অ্যাশট্রেতে রাখে।
ধোঁয়া উঠতে থাকে ফোরগ্রাউন্ডে, ব্যাকগ্রাউন্ডে দু’জনে ঘনিষ্ঠভাবে স্টুডিও ইনটিরিয়রে চলে যায়। 

                                                                  Cut to:


Scene:13
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

দূর থেকে দেখা যায় রণিত ক্যামেরা সেটাপ করছে, 
অরিত্রা পোস্ট করছে-

ফ্ল্যাশকাট চলতে থাকে - 
13A, 13B, 13C

Flash cut:

Scene:13 D
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

আমরা ধীরে ধীরে ওদের কাছে চলে আসি, দেওয়ালে দুজনের ছায়া দেখা যায়,

                                                          FADE OUT

FADE IN 
Scene:14
Location:Indoor (স্টুডিওর ইনটিরিয়র)
Time:Day

স্টুডিওর ইন্টেরিয়র

ক্যামেরাটা একদম বিগ ক্লোজ-আপে দেখা যাচ্ছে যন্ত্রটার পেছন দিক থেকে, 
ফোরগ্রাউন্ডে ক্যামেরা,
ব্যাকগ্রাউন্ডে ঝাপসাভাবে দেখা যাচ্ছে রণিত ও 
অরিত্রা সেক্স করছে

                                                                  Cut to:

Scene:15
Location:Indoor 
Time:Day

অভ্যাসমতো যৌনতা শেষ করার পর রণিত সেলফি তুলছে। 
অরিত্রা খুব উইলিংলি রিঅ্যাক্ট করছে। 

তারপর হঠাৎ সে ওপরদিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে এবং কম্বলটা গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে যায়। 
হতভম্ব রণিত বসে থাকে। 

আরিত্রা কোনোরকমে পোশাক পরে পালিয়ে যায় ঘর থেকে। 
রণিত তাড়া করে আরিত্রাকে।

রণিত:কি হয়েছে অরিত্রা? অ্যাই অরিত্রা?

অরিত্রা ততক্ষণে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে পালিয়ে গেছে।

রণিত:সবক’টা কি পাগলে গেছে নাকি? আমাকে তো পথে বসিয়ে দেবে! কি 
কপাল শালা! কি কপাল!

ফোনটা দেখে, ঠিক, এই ছবিটা আবার নেই!

রণিত:দূর গান্ডূ! আমাকে এর শেষ দেখতেই হবে 

হঠাৎ চোখে পড়ে অরিত্রার ফেলে যাওয়া ব্যাগটা। 
ব্যাগ খুলে ঘাঁটতে থাকে, অরিত্রার আধার ও প্যান কার্ডটা বের করে 
তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

রণিত:এই তো হারানিধি পেয়েছি! কোথায় যাবে চাঁদ! দাঁড়াও, ব্যবস্থা করছি,

ফোন তোলে,ডায়াল করতে থাকে 

                                                                 Cut to:


Scene:16
Location:Outdoor (রাস্তা)
Time:Day

রাস্তা

অরিত্রা ফোন ধরে, রণিত উল্টো দিকে,

রণিত:কি ব্যাপার তোমার? কি ব্যাপার? গাঁড়মজাকি পেয়েছ? শোন্‌, এক্ষুনি ফিরে 
আয়, ওসব নাটকবাজি অন্য জায়গায় দেখাবি। মামনি তোমার ব্যাগ ফেলে গেছ, যদি ফিরে না আস, তবে ওটার আশা ছেড়ে দাও, বুঝলে? আমি দেখে নিয়েছি, ওটার মধ্যে তোমার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট – সবই আছে তাই দুষ্টুমি নয়, ভালো মেয়ের মতো ফিরে এস, না হলে কিন্তু...

অরিত্রা:আমি আসছি, আমি আসছি 

ফোন রেখে রণিত মৃদু হাসে। 

রণিত:বার বার মাছ তুমি খেয়ে যাও টোপ, এইবার ডাঙায় তুলে দেব গলায় 
কোপ।

                                                                  Cut to:


Scene:17
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Day

রণিতের স্টুডিও

উদভ্রান্ত অরিত্রা এসে ঢোকে

রণিত:বোসো, বোসো, মামনি। কাকে ভয়, কিসের ভয়?

পিঠে হাত দিয়ে জড়াতে চেষ্টা করে,
অরিত্রা ছিটকে সরে যায়

অরিত্রা:না, না, আমি আর তোমার সঙ্গে মিশবো না… কক্ষনও নয়! আমার ব্যাগ 
দাও, ব্যাগ দাও।

রণিত:পাবে না, পাবে না! খুঁজে খুঁজে নারি, যে পায় তারই! শোনো, লেটস প্লে 
ঠাণ্ডা গরম।  যেই জিনিসটার কাছে যাবে, আমি বলব গরম আর দূরে চলে 
গেলেই ঠাণ্ডা, ঠাণ্ডা। খুব মজার খেলা, লেটস প্লে মাই গার্ল। 

অরিত্রা:আমাকে তুমি আমার ব্যাগ দেবে কিনা?

ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে 

রণিত:এই ছিপলি, একদম আওয়াজ নয়! একদম নয়। তোকে এখানে সাবাড় 
করে পুঁতে ফেললেও কেউ টের পাবে না, তা জানিস! বল, বল, কি হয়েছিল? পালিয়েছিলি কেন?

গলা চেপে ধরে অরিত্রার

অরিত্রা:আঃ! ছাড়ো ছাড়ো! বলছি, বলছি! তুমি যখন সেলফি তুলছিলে, আমি 
দেখলাম সিলিং থেকে একটা মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে আর হাসছে, 
আর আমাকে বলছে এখান থেকে পালাতে আর তোমার সাথে না মিশতে! সে কী ভয়ঙ্কর! আমি আর সহ্য করতে পারছিনা!

রণিত:কীরে তুই কি গাঁজাটাজা খাস নাকি? নাকি অন্য কোনো হার্ড ড্রাগ?

অরিত্রা:নাঃ নাঃ কক্ষনো নয়। কি করে তোমাকে বিশ্বাস করাবো গো;

রণিত:থাক্‌ আর সোহাগ দেখাতে হবে না।

ব্যাগটা দেয়

রণিত:যাঃ ফোট! যখনই ফোন করব, রেসপন্ড করবি। গো! দ্য ডোর ইজ 
ওপেন। 

অরিত্রা চলে যায়, রণিত চুপ করে বসে থাকে।

রণিত:দাঁড়া সালা, ভূতুরে খেলা বের করছি এবার। 

দেখা যায় যে তার ব্যাগ থেকে আধার কার্ড আর প্যান কার্ডটা বের করে।

                                                                  Cut to:


Scene:18
Location:Indoor (রণিতের বেডরুম)
Time:Night

রণিতের বেডরুম

রণিত মদ খেয়ে ঘুমোচ্ছে। চারপাশে মদের বোতল, আধখাওয়া খাবারের প্লেট ছড়ানো।

হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে, 
রণিত আধ ঘুমন্ত অবস্থায় ফোনটা ধরে।

রণিত:কে বাল এ’সময় ফোন করছে! হু দ্য হেল আর ইউ? 

তারপরেই ভয়ে কেঁপে ওঠে কারণ ফোনের উল্টোদিকে দামিনী।

দামিনী:সালা সন্ধ্যেরাতেই মাল খেয়ে লটকে গেছিস! এদিকে তো কেল্লা ফতে। 
অ্যাডউইং-এর পুরো কাজটা আমার হাতে চলে এসেছে। তোর ওই অরিত্রা 
–না- ফরিত্রার ছবি তো মাত করে দিয়েছে। ক্লায়েন্ট ওকে চাখবার জন্য 
নোলা সক সক করছে! এবারে আবার হাওয়া হয়ে যাবে না তো 
আগেরগুলোর মত? তাহলে কিন্তু পুরো চব্য হয়ে যাবে, বলে দিলাম

রণিত: আরে বস্‌, কোনো চাপ নিওনা। ওর প্রাণভোমরা আমার হাতেই আছে!

দামিনী:ওকে। কাল সকালে চলে আয় অফিসে, ফাইনাল প্ল্যানটা ঠিক করি

রণিত:ওকে বস।

তারপরেই আবার ফোন বেজে ওঠে, এবার অরিত্রা ফোন করছে
অরিত্রা:আমার আধার কার্ড আর প্যান কার্ড কোথায়?

রণিত:আমি কি করে জানব মামনি?

অরিত্রা:তুমিই… তুমিই রেখেছ ওগুলো, আমি জানি। সেদিনই কেন যে চেক 
করলাম না!

রণিত:প্রমাণ করতে পারবে ওগুলো আমার কাছে আছে, সোনা? যদি পারো তো 
পুলিশ নিয়ে এসে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাও! শোনো খুকুমণি, 
তুমি যতদিন আমার সঙ্গে কাজ করবে, ততদিন ওগুলো আমার কাছেই থাকবে। কথাটা ঢুকলো হেঁড়ে মাথায়? আরে, তোর ছবি অ্যাপ্রুভ হয়ে গেছে। বড় অ্যাসাইনমেন্ট, অনেক কামাবি; আর মনে রাখবি এই ব্রেক তোকে দিয়েছে নান আদার দ্যান রণিত চাকী অ্যান্ড ইউ বেটার আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট! গুডনাইট! 

ফোন রেখে দেয়, অপরদিকে অরিত্রা মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।  



                                                                  Cut to:


Scene:19
Location:Indoor (রণিতের স্টুডিও)
Time:Night

রণিতের স্টুডিও

রণিত একেবারে সোবার, তার মুখ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
চুপ করে বিছানায় বসে আছে। 
ঘড়ির ইনসার্ট, রাত সাড়ে দশটা বাজে, 

তার থেকে কাপে কফি ঢেলে খাচ্ছে, সঙ্গে স্ন্যাক্স। 
রণিতের মনের কথা আমরা সাউন্ডট্র্যাকে শুনতে পাই।

রণিত:আজ আমি কাউকে ডাকিনি, কাউকে না। আজ আমি একা, একদমএকা! 
ভূত মহোদয়া, আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এসে আমার সামনে দাঁড়ান 
দেখি, দেখি আপনার গতরখানা। জাস্ট কাম ইনফ্রন্ট অফ মি; আই ওয়ান্ট 
টু গিভ ইউ আ রিয়াল গুড ফাক।

ক্ষিপ্ত থেকে ক্ষিপ্ততর হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে বোঝা যায়, কথা জড়িয়ে আসছে তার; ঘুম এসে যাচ্ছে। 
একসময় বিড়বিড় করতে করতে শুয়ে পড়ে।

                                                                                                                                           Fade out:

                                                                                       
Fade in
Scene:20
Location:Indoor 
Time:Day

রণিতের গায়ে আলো এসে পড়ে। খালি গায়ে সে ঘুমোচ্ছে, তার গায়ে আলো এসে পড়ে। 
ঘড়িতে দেখা যায়, সকাল দশটা। রণিত তৃপ্ত মুখে আড়মোড়া ভেঙে নিজের মনেই বলে - 

রণিত:দূর সালা, কখন যেন ঘুম এসে গেল! ও হো! দশটা বেজে গেছে! 
এগারটায় দামিনীদির অফিসে পৌঁছতে হবে। 

তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠতে যায়। চাদরের মধ্যে আইফোনটা ছিল, সেটা পড়ে যায়।  
রণিত ফোনটা হাতে নেয়। অন্যমনস্ক ভাবে গ্যালারিটা দেখতে থাকে। 
হঠাৎ থমকে যায়, মনে বিস্ময় জেগে ওঠে, 
ক্রমে সে বিস্ময় একেবারে আতঙ্কে পরিণত হয়। ভয়ে তার মুখ বিকৃত হয়ে ওঠে। ফোনটা তার হাত থেকে পড়ে যায়। আমরা ফোনটার খুব কাছে চলে যাই, দেখি সেটাতে আগের রাতের ঘুমন্ত রণিতের একটা ছবি দেখা যাচ্ছে। 
রণিত ওপরের দিকে তাকায় এবং ভয়ে চিৎকার করে করে ওঠে। 
দেখা যায় একটা দড়ির ফাঁস সিলিং থেকে ঝুলছে আর বাতাসে অল্প অল্প দুলছে -

                                                             Fade out:

                ------------------
                   END TITLES
                ------------------

চিত্রনাট্যকার অনিন্দ্য দত্ত
আন্ধেরী পূর্ব, মুম্বাই, ভারত



 

0 Comments