হৃদস্পন্দন

  • Home


  • Download

  • Social

  • Feature


সুদেষ্ণা দত্ত'র কবিতা 

বাসাংসি জীর্ণানি

দীর্ঘ ক্ষরতপ্ত দুপুর পায়ে হেঁটে পার করে
তোমার শরীরে এখন আসন্ন আঁধারের নৈঃশব্দ
স্নেহময় ঘাম আর সংসারী তেল হলুদের বদলে
তোমার আঁচলে লেগে আছে
সন্ন্যাসী ওষুধের গন্ধ,
তোমার বুকের চক্রব্যুহে দাঁড়িয়ে 
আমি বাঁচার লড়াই শিখেছি..
এখন হেরে বা জিতে যেভাবেই হোক
যেকোন চক্রব্যুহ ভেদ করতে পারি অনায়াসে,
আজকাল ব্যুহের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজেকে
বড্ড বেশিরকম ঈশ্বর মনে হয় ।
গাছের পুরোন বল্কলের মত
শরীর থেকে অনায়াসে নামিয়ে ফেলতে পারি কালচক্র,
দাউ দাউ আগুনের প্রবজ্যা অঙ্গীকারে
পুড়িয়ে ফেলি আমার শৈশব কৈশোর যৌবন কাল,
আগুনের শেষ চিন্হটুকু পায়ে মাড়িয়ে
কিনু গোয়ালার গলি হয়ে ওঠে হাইওয়ে..
আলোর নিচে চাপা পড়ে যায় সমস্ত মানবিক বিষাদ।

তবু কোন এক হৈমন্তী ভোরে
নিভে যাওয়া ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে
ঐশ্বরীক উপসর্গগুলো ক্রমশই ম্লান হয়ে আসে,
চোখে এসে জমা হতে থাকে তোমার শরীরের নোনাঘাম,
বুকের মধ্যে জ্বলতে থাকা দহণকাল থেকে
খুঁজে বার করে আনি আমার মানবিক অতীত,
এক যুগ পার করে তোমার শীতার্ত হাতে হাত রাখি আবার,
তোমার আঙ্গুলের শিথিল বাঁধনে
আজও অবিনশ্বরতার গন্ধ... 

কবি সুদেষ্ণা দত্ত
তারাবাগ, পূর্ব বর্ধমান 



       





গুরুদাস দাসের কবিতা

তুমি চলে যাওয়ার পরে

তুমি চলে যাওয়ার পরে, বুঝে যাই 
এ সময় কতটা আলোকবর্তিকাহীন।

যতদিন তুমি ছিলে একবারও মনে হয়নি, তুমি চলে যেতে পারো, কখনোই ভাবিনি শূন্য উঠোনে নাচবে ক্লান্ত হাওয়ার খেয়া, নোঙরহীন সময় চোখ রাঙাবে,বিপন্ন গোধূলি বলবে "এরপর তো শুধুই অন্ধকার"। 

অথচ যেভাবে আকাশ ভরা থাকতো নক্ষত্রের মায়ায়, সম্পর্কের অনন্য অধ‍্যায়ে লেখা হতো আলোর ইতিকথা, জনাকীর্ণ রাজপথে অলৌকিক মিছিলের দিন, সেভাবেই নদীটিও পোষমানা খেয়ালের মতো শুধুই আরক্তিম ভাষা হয়ে বিন্দু বিন্দু সুরেলা সময়ে ভেসে যেতো।
শঙ্খচিলের ডানার শব্দে যেভাবে বুঝে নিতাম একটি একান্ত দুপুরের ইঙ্গিত, যা আমার একেবারেই নিজস্ব, প্রতিশ্রুতিবান শস‍্যের মতো অকপট।

তুমি চলে যাওয়ার পরেই বুঝে যাই, 
আগুনের পাণ্ডুলিপি ছুঁয়ে ফিরে আসা কতটা কঠিন।

কবি গুরুদাস দাস 
সাতবেড়িয়া, কামারপুকুর, হুগলি 


























মলয় দাস (পরিযায়ী) এর কবিতা 

অর্থ অনর্থ

মুখ ও মুখোশ যদি আলাদা অক্ষর হয় তবে তার অর্থ ভিন্নার্থ। যদি ধরো মুখের উপর মুখোশ বসে যুক্তবর্ণ হয় তবে সহজপাঠে মুখ ও মুখোশের শব্দার্থে মাকড়সা জাল বোনে।আবার মুখ মানে মুখোশ, মুখোশের সমার্থক মুখই হয় তবে ব‍্যঞ্জন বর্ণের ব‍্যঞ্জনা বড়োই বেদনার।

কবি মলয় দাস
কোন্নগর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ 






বিদ্যুৎ মিশ্র'র কবিতা

ব্রাত্য

বন্ধ দরজার ওপাশে ঘুপচি ঘরের একটা
আলাদা গন্ধ থাকে;
কতো মন খারাপের সাক্ষী দিতে দিতে
বিবর্ণ ওই পাঁচিলের পাশে
মাকড়সার জাল জেনে গেছে
মানুষের মন বড়ো বেহায়া।
যেমন বিকেলের রশ্মিচ্ছটায়
আঁধার নেমে আসে ধুলো মাখা
বারান্দার কোণে,
সারাদিনের ক্লান্তি বয়ে তপ্ত মেঝে
একটু একটু করে ঝুঁকে পড়ে
বাগানের শিমুল গাছটার পাশে।
রাতের প্রহর বাড়লে আরও
রহস্যময়ী হয়ে ওঠে সেই ঘুপচি ঘর।
দিনের আলো ব্রাত্য সেখানে। 

কবি বিদ্যুৎ মিশ্র
কাশীপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ 





গোবিন্দ মোদকের কবিতা

শেষ শোকসংগীত

মোহময় এক অন্ধকার 
ভেলভেটমসৃণ প্রতিটি খাঁজে 
লুকিয়ে রাখে বিশ্রম্ভালাপ, 
অগুন্তি নক্ষত্রপতনের শব্দ শুনতে শুনতে 
ক্লান্তি জাগে ভাবনায়, 
তবুও এই ভালো –
আলোর বিপ্রতীপে থেকে 
আজানুলম্বিত অভ্যাসের প্রতিপালন 
অথবা দু’চোখে ঠুলি না বেঁধেও 
নিশ্চিত অন্ধকারযাপন। 

কিন্তু এটাই শেষ কথা নয় 
একদিন আলোর প্রহর 
নিশ্চিত ছিন্ন করবে অন্ধকারের পর্দা 
আর যাপিত জীবনের প্রতিটি কন্দরে
বেজে উঠবে ব্যর্থতার গান 
অথবা অতলান্ত কোনও শোক-সংগীত।

কবি গোবিন্দ মোদক 
রাধানগর, কৃষ্ণনগর, নদিয়া














গৌতম কুমার গুপ্ত'র দুটি কবিতা

জরা 

আরো এক জরা মেঘ পেরিয়ে গেল 
মাথার ওপরে
ঠিক নিদ্রাহীন রাত্রি বারোটায়।

চে্য়ে চেয়ে দেখে মাখ্খন ভুরুর ঝাউপাতা
হ্দকমলে পদ্মনাভি হাত।

ড্রেসিং টেবিলে অসমাপ্ত কাঁটার উল
ক্ষীর একদম মধ্যবয়সী বাদামী ঠোঁট
তিরতির কম্পনে অসবর্ণ লিপস্টিক।

কম্পাস কাঁটায় মেপে নিচ্ছে নিঁখুত জ্যামিতি
কৌণিক ঊরু কিংবা ভূগোলের ছেদবিন্দু

যৌবনে জঙ্ঘার ঘেরাটোপে নিষিদ্ধ উত্তাপ
দেবদাস করেছিল একদা তরল ভাসান
প্রেমের পদ্যে অধরামাধুরী রূপকাহন

এই তাপমাত্রা থেকে নেমে গেল জ্বর কবে
ফ্রিজের শীতল সন্ত্রাসে থেমে আছে জরার ভাইরাস

জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে আততায়ী মেঘ
অঝোর ধারার গর্ভবিষাদ শ্রাবণ 
এই বুঝি বৃষ্টি নামছে

আরো এক জরা মেঘ পেরিয়ে গেল
ঠিক দুপুর বারোটায়।

যে সব অক্ষর 

যে সব অক্ষর এইমাত্র চাপা পড়ে গেল 
পায়ের নীচে
স্বৈর কলমে পদদলিত হবার আগে
তাকে শেষ দেখেছিলাম। 

কাগজ তাকে জায়গা দেয় নি আজও
রক্তপাত হবার ভয়ে।

তার দু হাতে ট্রিগার খুনী চোখের ভাঁজ
চোয়ালে দৃঢ় সবলতা
পদক্ষেপে মৃত্যুর মুমূর্ষু সম্ভাষণ।

পরাক্রমী শব্দের আদলে
সে আমন্ত্রিত ছিল না কোনদিন
বরং রবাহূত ছিল 
কোনো কাব্যজনের কাব্যবাসরে।

অকস্মাৎ হত্যা হয়ে গেল সে
পায়ের নীচে তার দোমড়ানো মোচড়ানো
ক্ষতবিক্ষত লাশ।

চাপা পড়ে রইল একটি অলৌকিক কাব্য ইতিহাস

কবি গৌতম কুমার গুপ্ত
সুভাষপল্লী, বেনাচিতি, দুর্গাপুর







সৌম্য ঘোষের দুটি কবিতা

বেদনার গান

নদীস্রোতে লেখা থাকে প্রাচীন
বটবৃক্ষের গল্প
সাঁকো-পথ দিয়ে হেঁটে যায়
সবুজ সকাল,
বাতাসে শব্দেরা জলকেলি করে-
লিখে রাখে
মায়া ও ভ্রমরের পদাবলী,
তবুও কিছু বিবর্ণ দ্রোহ
ছেঁড়াপাতায় ইতঃস্তত

#

দূরে কে যেন হেঁটে যায় বাউল পায়ে
বাতাসে ভাসে বেদনার গান।।

ডাক

ভুল আর শূন্যের মাঝে আটকে আছে
অবিমিশ্রকারি হৃদয়, নিরবধি
মানুষের কিছু ভুল থাকে, কিছু সাফল্য/
কিছু কিছু শূন্যতাও থাকে
নক্ষত্রঘটিত আকাশের মতো
শূন্যপথে ঝরে পড়ে ব্যক্তিগত বেদনা
সন্তাপহীন অনন্তপথে কেউ
যাত্রা শুরু করে, যেন
সন্ন্যাসীর খড়ম পায়ে ভিজে জোছনায়/
নিঃসঙ্গচারী পর্যটন ...

# 

কেবল নক্ষত্ররা সারারাত ডাকে--
"আয়, আয়..."

কবি সৌম্য ঘোষ 
চুঁচুড়া, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ 
















পীযূষ কান্তি সরকারের অণুগল্প

রঙ-মিস্ত্রি

নির্মীয়মান ফ্ল্যাটবাড়ির তিনতলায় চলছে সুন্দর করে রঙ-মেলানোর কাজ। নিপুণহাতে কাজ চলছে ঘরে ঘরে। এই তিনতলা থেকেই পাশের মাল্টি-স্টোরিড বিল্ডিং-এর অফিসঘরের কাজকর্ম খুব সহজেই দেখা যায়। একটি ঘরে চলছে তথ্য-প্রযুক্তির কাজ। দু'জনের একজন টিফিন সারতে নিচে চলে গেল। দ্বিতীয়জনও দরজাটা টেনে দিয়ে বেরিয়ে গেল। একটু দূরেই সার দেওয়া টয়লেট -- সেদিকেই গেল সে।
     সচল হয়ে উঠল তিনতলার একজন রঙ-মিস্ত্রি। কাঁচা-পাকা গোঁফ-দাড়িতে সেই রঙ-মিস্ত্রিকে পঞ্চাশোর্ধ গোবেচারা মানুষ বলেই মনে হবে। আসলে সে ভয়ঙ্কর চুরি-ডাকাতির নায়ক ট্যাবলেট। রঙ আর তুলি ধরতে সে যেমন পটু
তেমনই দক্ষ ছোরা-ছুরি চালানোয়। ফোন করে সে বলে উঠল"এক কেজি মিহিদানা আর গজা নিয়ে ল্যাপ দিয়ে টপে যা। পাঁচমিনিটে চলে আসবি। টয়লেট পরিস্কার আছে।"
কাছাকাছি যারা ছিল তারা এ-কথার মানে বুঝতে পারল না অথচ কাজ হয়ে গেল। তার দুই শাগরেদ গজা আর মিহিদানা তিনতলার সেই অফিস-রুম থেকে বেরিয়ে এল একটা দামি ল্যাপটপ আর দু-দুটো মোবাইল ফোন নিয়ে। ঠিক তখনই মিসকলের রিং-টোনে ট্যাবলেটের নিপুণ তুলির টানে ঘরখানা রঙিন হয়ে উঠল।

লেখক পীযূষ কান্তি সরকার
কদমতলা, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ




তীর্থঙ্কর সুমিতের কবিতা

সকাল হাসে

কথার পাহাড় জমতে জমতে
সৃষ্টি হয়  হারানোর রসদ
ভালোবাসার সমীকরণে
হারিয়ে যায় দৃষ্টির সাবেকিয়ানা
নদী পথে লিখে রাখা
বেদনা বাহার আজ
পথ ছেড়ে রাজপথে ---
একা একা নদী কাঁদে
ছায়াবৃত্তের অন্তরালে
তবুও সকাল হাসে
প্রতি ঘরের অন্ধকারে অন্ধকারে।

কবি তীর্থঙ্কর সুমিত
মানকুন্ডু, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ


মৃণালেন্দু দাশের তিনটি কবিতা 

দোলন

তোমাকে ছুঁয়েছে ফড়িং আলগোছে, তার
পাখনা দুলছে হাওয়ায়
তুমিও দুলছ

দুজনের সে দোলন যেন সময়ের পেন্ডুলাম

কলঘরে জলের উল্লাস ফেণায় ভাসে জীবন

স্পর্শের অতীত

ছুঁয়েছি শরীর মাত্র, তোমাকে না। তুমি,
তার থেকে দূরে অনেক গভীরে স্পর্শের অতীত

আমার কারবার হাড়গোড় রক্তমাংস মাসমজ্জা অবধি
তারপরেও রয়েছে যে তার নাগাল তো পাইনে

এই না-পাওয়ার বেদন সতত খোঁড়ে অন্তর

নিপীড়িত চৈতন্য

বেরিয়ে পড়েছি অন্বেষণে নিজেকে সরিয়ে রেখে
জ্বেলেছি চকমকি পাথর আপন শরীরী হাড়গোড় দিয়ে

যে হাড়ের ভেতর অনেক কাঠিন্য ও কুটিলতা
কুলষিত আচ্ছন্ন শরীর

ভ্রুভঙ্গে নিপীড়িত চৈতন্য খসে পড়ছে বল্কল

কবি মৃণালেন্দু দাশ
কাঁচরাপাড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ 





অমিত চক্রবর্তী'র কবিতা

সীমিত গুণপণা বা কল্পনা

আমি সেলফিতে মগ্ন আর ডেকে বসা হরিয়াল
ছটফটে তার বিদ্রূপের হাসি নিয়ে,
এইভাবে যে সকালটা শুরু হয় আমি তার আসন্ন প্রেমিক।
প্রতিদিনটাই ধারকরা এখন, হিসেবের খাতা বুজিয়ে
দোকানি গেলেন প্রস্থানের পথে, আমি গ্রাম্য ভিখারি,
আজীবন মাথা নীচু, আপাতত ছাঁদা বেঁধে,
আষ্টেপৃষ্ঠে সিধে গুণে, লোভেলোভে তাকাই একটা মির‍্যাকল খুঁজে।

রক্তমাংসের এই যে মানুষটা, অপটু ভীরু, না                                                                
মনের মধ্যে যে ছবিটা তার বহুদিন ছিল
রাজপুত্র-ব্যঙ্গমা মিশিয়ে একটা রূপকথা,
কোন গল্পটায় যে সে মুগ্ধ এখন আমার বুঝে নিতে
দেরি হয়। আসলেই সীমিত গুণপণা বা কল্পনা,
সময় তাকে আরোই ভোঁতা করেছে।

কবি অমিত চক্রবর্তী
ম্যানহাটান, কানসাস, আমেরিকা


















সত্যজিৎ সেনের কবিতা

ঝরাপাতা

ঝরাপাতা,উড়ে এলে সবুজ শার্টের পকেটে।
আমার আম্রপালি নারী,বুকে এক কান্নার নির্ঝর।
তোমার অশ্রু আমি মুছে দিতে পারি
আমার জামার আস্তিনে। তোমার নিঃশ্বাসে আজও মৃগনাভি গন্ধ,চোখের পাতায় আজও ফুলের শুদ্ধতা।
গ্যালাক্সি ফুঁড়ে দিয়ে বিগত জন্মের সব ট্রেন ছুটে গেছে অজানা ব্ল্যাকহোলে। 
ফেলে আসা পূর্বজন্ম অভিমানে অহল্যা পাথর।
সেই সব দিনগুলো কবিতার পাতা হয়ে 
জ্বলন্ত উল্কার মত উড়ে গেছে রাত্রির নদীতে। 
সেই দিনগুলো যদি হয় পুড়ে যাওয়া কবিতার পাতা
এই বুকে জমে আছে সমস্ত ফটোস্ট্যাট কপির পাহাড়।

কবি সত্যজিৎ সেন
গড়িয়া, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ 
















হামিদুল ইসলামের কবিতা

জীবনের বারবেলায় 

জীবনের মাধুর্য ফিরে আসে না আর 
হারিয়ে যায় উড়ান ব্রীজ
উড়াল শহর 
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়ায় তখনো আমার অজানা শিহরণ ।।

ইচ্ছেগুলো সাজাই 
সেজে ওঠে রাত 
কুহকিনী মায়া । কুহকিনী উপনদী ভেসে চলে দিনরাত ।।

জানি না কোথায় বিছিয়ে রেখেছিলাম আমার শৈশব
এক একদিন গুচ্ছ ফুলে স্বপ্ন দেখি 
শুয়ে আছে ভবিষ্যৎ ।।

কথার গভীরে আজও কারা লুকিয়ে রাখে অবিশ্বাস 
উদাস বৃষ্টির জলে নিজের ছবি দেখি 
মৃত‍্যু ঘনায় নশ্বর চিতায় ।।

কতো কথা জমা করি 
কথাঘরে নিত‍্য উপবাসী হৃদয় 
বিশল‍্যকরণী সুবাস ছড়ায় বুকের মাঝে জমে ওঠে পাথর ।।

জীবনের সহজ শর্তগুলো ভাঙি 
জীবনের ভাঙা গড়ায় আজও ভেসে যায় বেহুলা লখিন্দর ।। 

কবি হামিদুল ইসলাম
 কুমারগঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ 









হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা 

সিঁড়ির অন্ধকার জলঘরে কয়েকটি পা 

১০

গাছপালার ভেতর দিয়ে তুমি হেঁটে আসছো। এক একটা গাছের পাশে তোমার দীর্ঘ দেহ জলভরা মেঘের মতো। ঝরে পড়লে আরও সবুজ হয়ে যাবে ছাদ। ছবিঘরের বারান্দায় আমি অস্থির হয়ে উঠি।

১১

অনেকগুলো বছর ধরে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। যে মুখগুলোকে দেখার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকি তারা কেউ আসে না। হয়তো সেগুলো আমার কল্পনার মুখ। হঠাৎ করে বৃষ্টি এলে সবাই আমার গা ঘেঁষে এসে দাঁড়ায়। পুরোনো স্টেশনের কোনো কোনো মুখকে বৃষ্টিতে হেঁটে যেতে দেখি। বুঝতে পারি, আজকের মতো অনেক বৃষ্টির গল্প তাদের ঝুলিতে আজও ভীষণ ভাবে বেঁচে আছে।

১২

আলো যতো কমে আসে তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই। খালি চোখে কোনোদিন তোমাকে দেখিনি। কুঁড়ের পাশ দিয়ে যতটুকু রাস্তা সেটাকেই পৃথিবী চলাচলের পথ বলে মনে হতো। ঠিক - ভুল, পাওয়া না পাওয়ার হিসাবে না গিয়ে মনে হয় তোমাকে খোঁড়া ভীষণ জরুরী। আমারই প্রয়োজনে বাকি পথে ছিঁটেফোঁটাও যদি বৃষ্টি পাই তাহলে অন্তত বোঝা যাবে সোজা তাকালেই যাকে দেখা যায় এমন সহজ পথে যার বসবাস তাকে তার নিজস্ব আলোতেই পড়া ভালো।

১৩

খুব ভোর ভোর উড়ে যাই। ডানা ভিজে গেলে স্টেশনে এসে বসি। পুঁটলি খুলে দেখি একটি সাদা পাতা। কোথাও কিছু লেখা নেই। 

১৪

আমি ভুলে গেছি তোমার নক্ষত্রের কথা। জাল বুনে যতটুকু সুতো পড়ে আছে ওই সামান্যতেও আমাকে আদ্যপান্ত বেঁধে ফেলা যায়। আমার তো কোনো শরীর নেই। পথ চলতে এতো হিজিবিজি মাথায় ঢুকে গেছে যে তোমার নক্ষত্র আজ আবছা। 

কবি হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
চুঁঁচুড়া, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ  

 







রূপক চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা 

ওই দিন সব বলাকা বলেছি

বেশ কিছুদিন আগে 
অভিমান ফিরে গেছে ঘরে, 
জল বিলাসী কলস তার
জল ছলনায় ওই, ভেসে ভেসে 
দূরত্বে প্রহর তুলে সিন্ধু ভ্রমে হারায়। 

কেউ কোনো দিন এসে 
হাত ধরে ডাকেন বলে 
অভিমান ফেলে গেছো নোলোক
তার চন্দ্রমাসের আলোক ইস্পাতে! 

দুই জোড় হাত বন্ধ করে একাই
শরীর মেনে নিয়েছে আগাছার আগ্রহে
ডুবে যাওয়া সৌখিন ক্ষত ও ক্ষরণ। 

কি যে গেঁথে আছে বুকের অন্ধকারে 
শেকড়ে সোহাগে বালি মাথা নদীর সকলে, 
বুঝেও মনে হয় - এই আগুন মাঠের শেষে 
ঠান্ডা চাঁদ ওঠা রাতের নারি কেও শস্যের
সমাগম ঘরে ফেরাবে কভু,গৃহস্থালি দাওয়ায়! 

তবু অভিমান ফিরে গেছে 
চুলে সাঁঝ লেগেছিলো রসাতল, 
শাঁখা ছিল বিলাপের নরম সেতার, 
দু হাতের হলুদ আর কপালের লবন বিন্দু 
নীচু মুখের আড়ালে টুপ টুপ লেবু ফুল 
ঝরে যাওয়া নয়নের শোকে!

আমার অনন্তে এই 
বলাকা উড়ানের
শেকল বাঁধা সময় টুকু রেখে 
অভিমান চলে গেলো বাতিল বিকেলের দিকে।

নিয়ম ছিঁড়ে 

এমন নীল লবন পাখা পেলে
আমিও সামুদ্রিক সন্তরণে যাবো। 

মাঠ খোলা বুক পেতে সহজ মাটিতে 
জটিল শেকড় সন্ধি মেনে সরলবর্গীয় 
সাজাবো আবার বন বিলাসে। 

বিচ্ছিন্ন ডিঙা গুলির 
মনি কাঞ্চন বেলা শেষে ,
তীরে এসে দুলে দুলে খুলে দেবে 
চুলের অন্ধকার আলাপ। 

সারস শুভ্র নারী রা শঙ্খ বেদনায় 
বাজাবে  মঙ্গল কামনার শাঁখা, যাদের
স্বাতী সজ্জিত বিনুনির ফাঁসে কত
উজ্জ্বল পুরুষ মেনে নিয়েছে শেকলের
কৃতদাস স্বাদ। মনে নিয়েছে মীন রাশি।

এমন অরূপ রতন 
আমি পাগলের প্রলাপ থেকে খুঁজে পেলে
সান বাঁধা গণিত ভেঙে দিঘি কে দেব ইচ্ছে জল। 
জল পাবে নদীর শরীর...।
জাফরানী রঙের হরিণী 
এমন বয়স এলে তোকে মৃত্যু ভেঙে ছোঁবো। 

এমন নীল লবন পাখা পেলে 
আমিও সামুদ্রিক সন্তরণে যাবো

হাত

পথটি ছিলো সামনে থেকে সুদূর
শাল্মলি আর সুজন অপেক্ষায়।
হাতটি ছিলো মনের মতো নদী
অল্প প্রেমে, তুমুল যন্ত্রনায়। 

বিকেল বেলার হংসিনী সাইকেল
ভাঙা বাঁশির ভীমপলশ্রী কাঁপন, 
বুকের ভেতর বসত আরশি নগর
চোখের ভেতর বাষ্প পূর্ণ ভবন। 

হঠাৎ দেখা থমকে যাওয়া পাহাড়
পাদদেশে গ্রামের পরিপাটী। 
কৃষ্ণচূড়ায় রঙ ধরেছে কবেই
উল্টে গেছে আধেক চাঁদের বাটি। 

কেউ তো ছিলো কাঁধের উপর মাথা 
সাঁঝের ফণায় প্রদীপ প্রজ্বলিত। 
অনাহারের শঙ্খধ্বনির পরেও
কেউ তো ছিলো তৃষা মনোমত। 

এমন কোনো গ্রামীন ধূলার খাতা
উল্টে দেখি শুকনো পাতার শিরা। 
দাঁড়িয়ে আছে কান্না কাব্য নিয়ে
কলজে ফাটা প্রলাপে সর্বহারা। 

শস্য আভাষ দিও বন্ধু কভু
সেই হাতটি রাখতে দিও ভুলে। 
সেই হাতটি আবার নদীর মতো
স্রোত সোহাগে আসব হলুদ কূলে।

কবি রূপক চট্টোপাধ্যায়
 রানিবাঁধ, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ 





মীনাক্ষী ঘোষের কবিতা

বিশ্বাস

দুঃখ আমার
কোনো বালুচরী শাড়ি নয় যে অবরে সবরে
তাকে বিলাসিতায় অঙ্গে জড়িয়ে রাখবো।
দুঃখ আমার
জসীমউদ্দিনের কোনও নকসী কাঁথাও নয়, যে
মনখারাপী গল্পগুলোর নকশা এঁকে
মনকেমনের শীতের রাতে
ওম খুঁজবো চোখের জলে ভিজে
বরং
দুঃখ আমার
একটুকরো আটপৌরে শাড়ি
যাকে আমি নিত্যদিনের ব্যবহারে
জীর্ণ করতে পারি।
জনারণ্যের ভীড়ে
নিজের সাথে একলা হয়ে
হলুদ স্মৃতির ছোপগুলোকে
অনায়াসে মুছে ফেলতেও পারি।

পাথর পাথর দুঃখ প্রাচীরগুলো
হড়পা বানে একনিমেষে ভাসিয়ে দিতে পারি
অমাবস্যার রাতের আকাশ সাজিয়ে দিতে পারি
ঠোঁটের ডগায় জমিয়ে রাখা
মিথ্যে  হাসির হীরের কুচি দিয়ে
কেবল
ধূ ধূ করা চোখের নীড়ে
জোনাকির আলো জ্বালিয়ে রেখে
আর অপেক্ষা করতে পারিনা
আরো একটা পৌর্ণমাসীর জন্য

কবি মীনাক্ষী ঘোষ
                       পুণে, মহারাষ্ট্র, ভারত 






দীপক বেরার কবিতা

সম্পর্ক

সম্পর্কগুলো ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে..
বেড়ে যাচ্ছে অপূর্ণতা, শূন্যতা 
বাড়ছে হৃদয়-সম্পর্কের ফোকাস দূরত্ব
ফোকাসের অভাবে চোখের সামনে ঝাপসা প্রান্তর 
আকাশে প্রণয়ের চাঁদ যেন ঘোলাটে ক্ষতচিহ্ন
হৃদয়ের চোরাগোপ্তা পথে উঁকি মারছে
হেমন্তের নানান চড়াই-উৎরাই
বদলে যাচ্ছে দ্রুত, সম্পর্কের সমস্ত ব্যাকরণ!
দু-নৌকোয় পা দিয়ে নদী পেরোনো?
সে তো, —অতি সহজ অঙ্ক নয়!
খানিকটা ই-এম-আই, কিছুটা ত্রৈমাসিক, আর
অর্ধেক উত্তেজনায় মায়াবী প্রেম? নৈব নৈব চ.. 

আজকাল, সন্ধ্যা নামার আগে অন্ধ হই
অজস্র উল্কাপাতে খোঁড়াচ্ছে স্বপ্ন-সংঘাত
কবেকার 'ঝলসানো রুটি'র জোছনা
আজও, ডিপ্রেশানের ইমারতে চুমু খায়
সন্ধ্যা নামার আগে—
পৃথিবীর সব ঝিঁঝিঁরাও, আশ্চর্যজনক বোবা!

কবি দীপক বেরা
   টালিগঞ্জ, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ 
  


















লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরার কবিতা

রহস্য

বাতাসের সঙ্গে সন্ধি ক'রে সাগরে ওঠে ঢেউ
বালুকাময় বেলাভূমে কাঁকড়ার আলপনা 
শুক শারি ডাকে-'রাই জাগো, শ্যাম জাগো'
আঁধার রাতে বন্দি তুমি অনেকের সাথে একা। 

কি নাই এখানে, আছে তো দেশের স্বাধীনতা
তিমির বিনাশী হও,জাগাও আত্মবিশ্বাস 
পাশাপাশি দারিদ্র্য- বৈভব দুর্ভিক্ষ -খাদ্যোৎসব
তোমার পানে চেয়ে চেয়ে খোঁজে একমুঠো গ্রাস। 

বাইরে এসে দেখো অন্ন ও ক্ষুধার শস‍্য ভরা মাঠ
কোন অপরাধ নাই তুমি তো শুধুই সাড়ে তিন হাত
সারাদিন পাথর ভেঙেও ভাঙতে পারনি 
দুর্ভেদ্য রহস্যের জগদ্দল কোথায় লুকানো? 

তোমাকেই দেখছে সবাই চোখ দুটো আগুনের ভাঁটা
অন্যের বোধের কাছে হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছো 
ওঁরাও শোনাতে চায়-'তমসো মা জ্যোতির্গময়'
নিকষিত হেম রজকিনী প্রেম,'সবার উপর মানুষ সত্য'।

কবি লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরা
সুকান্তপল্লী, কালনাগেট, পূর্ব বর্ধমান






সোমনাথ বেনিয়ার মুক্তগদ্য

এক্সট্রা ক্লাস

একটি অপেক্ষা ফুলুরির মতো হাবুডুবু খায়। এই বিপন্নতা দেখে সূর্য চিৎকার করতে করতে ডুবে যায়। হঠাৎ করে পড়ে যায় সাইকেলের চেন। পড়ি-মরি করে তুলতে গিয়ে হাতে কালি লাগলে মনে পড়ে দীঘল চোখের কাজলসমগ্র। প্লুতস্বরে কেঁপে ওঠে ঠোঁট। দৌড়াতে চায় বলগাহীন প্রেমের সিলেবাস। সিলেবেলে ভেঙে উচ্চারিত হ‌ওয়ার মতো কোনো শব্দ থাকে না। এই অপরূপ আনন্দের গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে থাকে দূরবর্তী কোনো সাঁকোর হুড়মুড়িয়ে পড়ার অভিপ্রায়। যদি সে না আসে! আসবে বলেই তো হাতের পাঁচ বিশ্বাস। আপন কথোপকথনের মাঝে ঝরে পড়ে পাতা। নত মাথা ঝুঁকে তুলে নিয়ে মুখের ফুরফুরে হাওয়ায় অনবরত কাঁপিয়ে চলে তার শিরা-উপশিরা। মনে পড়ে এই কাহিনির জন্মবৃত্তান্ত। দেখা হবে সখী নিধুবনের রহস‍্য মিনারে। কিছু আপাত অভিমান পিঁপড়ের চঞ্চলতায় অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ‍্য হয়ে যাওয়া পথের রেখা বাতাসে রাখে কোনো হিমশৈলের ডুবন্ত আদর্শলিপি। বুঝতে গিয়ে ঠোঁটের আধমরা লিপস্টিক রুমালে উঠে আসে। দীর্ঘশ্বাসে এই চরাচরের ধূসর দৃশ‍্যের পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে। সে আসবে তো? কীভাবে? যেভাবে হঠাৎ নদীতে বান আসে। ভাসিয়ে দেয় দু-পাড়ের আকুল অপেক্ষা। ফেলে যাওয়া কাদামাটিতে রাখে উর্বর হ‌ওয়ার স্বপ্ন। এইসব যেন লিখিত বোঝাপড়া। তবুও কপি আনসাইনড থাকে। গলা শুকিয়ে যাওয়ার পেরুজাল নিয়ে মুখের উপর ভেসে ওঠে নাক্ষত্রিক সংশয়। চাঁদ ঠিক সময়ে না উঠলে দিঘির আত্মবিস্মৃতি জোনাকির নিভুনিভু আলো। একটা মধ‍্যপন্থার হলুদ সিগন্যাল হাত তোলে। এসে গেছে বোধ হয়। আর একটু দাঁড়িয়ে যাও। সব ভুল বাদামের খোসা হয়ে যাক। এক্সট্রা ক্লাস মানেই অচেনা অঞ্চলে ভয়ডরহীন ট্রেকিং। এই গল্পের শেষেও নটেগাছ থাকবে। মুড়িয়ে যাওয়ার আগে সাতপাকে প্রজাপতি হাসবে। মনের বৃষ্টিচ্ছায় এলাকায় রামধনু আঁকা হবে ইতিপূর্বের কিছু কথায়... 

গদ্যকার সোমনাথ বেনিয়া
নিমতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ















রবীন বসুর দুটি কবিতা 

আমি ও সে

তাকে আমি দিয়েছি তাড়িয়ে, নাকি সে তাড়ালো 
এই ধন্দ মনে বাজে রোজ। নাবাল জমির ওপর 
শুয়ে থাকি এবড়ো খেবড়ো খড় বালিশে সটান
আমাকে দেখতে থাকে প্রায়, হয়তো বা আমিও 

এই যে দূরত্ব জল মাপে, সাঁতার তাহাকে শেখায়
গভীরতা কতটাই গ্রাহ্য হতে পারে হিসাবসনিকাশ
সবকিছু ঢাকা দেয়, চিরচিহ্ন আগ্রহ জাগায় 
আমাকে দূরত্ব বরাবর সহাবস্থানে ফেলে রেখে

আমি তার সহ্যাতীত ক্রোধ, সেও আমার তথৈবচ
ইশারায় কথা হয় খুব প্রত্যহ বিকেলের মাঠে
সন্ধিচুক্তি হবে না জেনেও‌ যাত্রাপথ সমান্তরাল
উদ্বেগী সন্ধ্যার হাওয়ারা তবু দলবেঁধে হাঁটছে

এইবার কার কাছে যাব? মুষ্ঠিভিক্ষা পাত্রেই থাক্
বৈরিতা বিপুল হয় যদি অন্ধচোখ খুলে পড়ে যাক।

মেঘ সন্ন্যাস নিলে

মেঘ সন্ন্যাস নিলে পৃথিবীর কাঁদনগীত শুরু হবে।

শুষ্কতার অভিমুখ মানচিত্র ভেদ করে ঊর্ধ্বগামী
যাবতীয় রক্ত-জল কেন্দ্রীভূত কোষের উচাটন
বেমানান সহাবস্থানে মেসেজ ডিলিট করে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে বিচ্ছুরিত বর্ণমালা
ডকস্ ফাইলে লিপিবদ্ধ হয়,
তারপর মেলবডি থেকে যাবতীয় বিষাদ
মেঘের সন্ন্যাসধর্ম দেখে বিলম্বে বিগলিত নয়…

তবু, পৃথিবীর কাঁদনগীত বেআব্রু লজ্জার মতো
হিজার পরিহিত মানবতা, সান্ধ্যভ্রমণে হাঁটে!

কবি রবীন বসু
১৮৯/৯, কসবা রোড, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ










পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • আগস্ট (3)
  • জুলাই (22)
  • জুন (8)
  • নভেম্বর (15)
  • অক্টোবর (5)
  • সেপ্টেম্বর (81)
  • আগস্ট (66)
  • জুলাই (55)
  • জুন (56)
  • মে (57)
  • এপ্রিল (46)
  • মার্চ (15)
  • জানুয়ারী (14)
  • ডিসেম্বর (73)
  • নভেম্বর (103)
  • অক্টোবর (97)
  • সেপ্টেম্বর (101)
  • আগস্ট (120)
  • জুলাই (88)
  • জুন (76)
  • মে (63)
  • এপ্রিল (11)

🔴বিজ্ঞপ্তি:

পাঁচ মাসের বিরতি কাটিয়ে আবার ও ফিরছি আমরা। খুব শীগ্রই আসছে আমাদের প্রত্যাবর্তন সংখ্যা।

অনুসরণ করুণ

এক মাসের সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলি:

  • শেষ শোকসংগীত ~ গোবিন্দ মোদকের কবিতা
  • দুটি কবিতায় ~ গৌতম কুমার গুপ্ত
  • ব্রাত্য ~ বিদ্যুৎ মিশ্র'র কবিতা
  • দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প
  • আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা
  • গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক
  • সুমিত রায়ের গল্প
  • সে প্রেম পবিত্র~ প্রেমাংশু শ্রাবণের কবিতা
  • সুব্রত মাইতির কবিতা
  • তিনটি কবিতায় ~ রাগীব আবিদ রাতুল

বিষয়সমূহ

  • Poetry speaks 2
  • অণু কথারা 21
  • আবার গল্পের দেশে 8
  • উৎসব সংখ্যা ১৪২৭ 90
  • একুশে কবিতা প্রতিযোগিতা ২০২১ 22
  • এবং নিবন্ধ 3
  • কবিতা যাপন 170
  • কবিতার দখিনা দুয়ার 35
  • কিশলয় সংখ্যা ১৪২৭ 67
  • খোলা চিঠিদের ডাকবাক্স 1
  • গল্পের দেশে 17
  • ছড়ার ভুবন 7
  • জমকালো রবিবার ২ 29
  • জমকালো রবিবার সংখ্যা ১ 21
  • জমকালো রবিবার ৩ 49
  • জমকালো রবিবার ৪ 56
  • জমকালো রবিবার ৫ 28
  • জমকালো রবিবার ৬ 38
  • দৈনিক কবিতা যাপন 19
  • দৈনিক গল্পের দেশে 2
  • দৈনিক প্রবন্ধমালা 1
  • ধারাবাহিক উপন্যাস 3
  • ধারাবাহিক স্মৃতি আলেখ্য 2
  • পোয়েট্রি স্পিকস 5
  • প্রতিদিনের সংখ্যা 218
  • প্রত্যাবর্তন সংখ্যা 33
  • প্রবন্ধমালা 8
  • বিশেষ ভ্রমণ সংখ্যা 10
  • বিশেষ সংখ্যা: আমার প্রিয় শিক্ষক 33
  • বিশেষ সংখ্যা: স্বাধীনতা ও যুবসমাজ 10
  • ভ্রমণ ডায়েরি 1
  • মুক্তগদ্যের কথামালা 5
  • রম্যরচনা 2
  • শীত সংখ্যা ~ ১৪২৭ 60

Advertisement

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

মোট পাঠক সংখ্যা

লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী:

১. শুধুমাত্র কবিতা, মুক্তগদ্য অথবা অণুগল্প পাঠাবেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ক লেখা সম্পূর্ণ আমন্ত্রিত। ২. লাইনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ৩. লেখা মেইল বডিতে টাইপ করে পাঠাবেন। ৪. লেখা মৌলিক ও অপ্রকাশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্য কোনো ব্লগ, ওয়েবজিন অথবা প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না। ৫. মেইলে আপনার লেখাটি সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত, কথাটি উল্লেখ করবেন। ৬. লেখার সাথে আবশ্যিক ভাবে এক কপি ছবি ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা পাঠাবেন।  ৭. লেখা নির্বাচিত হলে এক মাসের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না এলে লেখাটি অমনোনীত ধরে নিতে হবে। ৮. আপনার লেখাটি প্রকাশ পেলে তার লিঙ্ক শেয়ার করাটা আপনার আবশ্যিক কর্তব্য। আশাকরি কথাটি আপনারা মেনে চলবেন। আমাদের মেইল- hridspondonmag@gmail.com
blogger-disqus-facebook

শান্তনু শ্রেষ্ঠা, সম্পাদক

আমার ফটো
পূর্ব বর্ধমান, India
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

সাম্প্রতিক প্রশংসিত লেখা:

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক

গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক

হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন

© হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন। শান্তনু শ্রেষ্ঠা কর্তৃৃক পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে প্রকাশিত।

Designed by OddThemes | Distributed by Gooyaabi Templates