অন্তরা দাঁ এর মুক্তগদ্যফিরে ফিরে আসাসব আসা আর যাওয়া শুধু ফিরে ফিরে বারবার দুয়ারে দাঁড়ায় ! তবু চৌকাঠ পেরোতে পারে কই? ফিরে যে আসে, সে, যে ফিরে গেছে সে নয়। অন্য একজন, তার দুঃখকাতরতা নিয়ে গভীর অভিনিবেশে এসে দাঁড়ায় শূন্য আঙিনায় অথবা রিক্ত...
সমর সুরের কবিতারাধাকৃষ্ণচূড়াট্রেনে যেতে যেতে দেখিএই গ্রামে কোথাও কৃষ্ণচূড়া নেই।সবুজ ধানের ক্ষেতে রাধিকার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে একটি রাধাচূড়া তার দিকে অপলক চেয়ে থাকি।পরবর্তী স্টেশন মাঝের গ্রাম বলে মেয়েটি আড়াল হয়ে গেলএখানে ক্রশিং,ট্রেনটি দাঁড়াবে দু'চার পাঁচ মিনিটআহা ! দেখি এই স্টেশনে একটি কৃষ্ণচূড়া ভরিয়ে রেখেছে সুরে...
সূর্য মণ্ডলের কবিতা ডুব সাঁতার ডুব দিয়েছি গহীন জলেউথালপাতাল ঢেউ...জলের নীচে ভাবতে থাকিটের পাইনি কেউকোথায় ছিল পানকৌড়ি শুকনো মরা ডালে?ডোবার কথা রটিয়ে দিলআকাশ জলস্থলে।মেঘের শুধু নদীর কানেবলা, গোপন কথাহাওয়া যখন জানল শেষে পূর্ণ হল কলা !...কবি সূর্য মণ্ডল পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত    ...
শৌভিক চট্টোপাধ্যায়ের গল্প প্রভাকরকাকুগল্পটা ঠিক গল্প গল্প নয়।গাল গল্প তো একেবারেই নয়।আবার সবটা সত্যিও নয়।অন্যদিকে মিথ্যে হওয়ার প্রশ্নও নেই।তাই গল্পটা অনেকটা জীবনের মত বলা চলে।     তখন ফাল্গুন মাস।রাঢ় বাংলার এদিকটায় সচরাচর পলাশ টলাশ দ্যাখা যায় না।যেটুকু যা পলাশ ফুল বিছিয়ে থাকে তা মানুষের...
অর্ঘ্য দে'র কবিতা চৈত্র দিন আমার গায়ে বয়সের জামা, আশ্রয় নিয়েছি সংসারে।চৈত্রের ধুলোয় আবছা চলাচল ঘষা কাচের মতো দিন, সাদা-কালো অভিজ্ঞতাদের উল্টেপাল্টে দেখি, ফাঁকে-ফাঁকে উদাসী হাওয়া; ইমন। কোনও হাঁকডাক নেই, কোনও রকম চঞ্চলতা অর্থহীন বৈশাখী মেঘের ছায়ায় গিটার বাজায় তরুণ। কবি অর্ঘ্য দে চুঁচুড়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ  ...
আলোলিকার কবিতা অবাধ্য স্বপ্নেরা আমিত্বের আঁশটে গন্ধ মেখে পুড়ছি প্রতি সায়াহ্নে আমার একলা ক্ষত, এলোমেলো চিন্তাযেন দিক হারানো পাখির নিশ্চুপ ব্যর্থতা!উষ্ণতা নেই প্রেমে, উপবাসী মনতোমার ক্লোরোফিল বুকে অবাধ্য স্বপ্নের উঠোনতবু ব্যাকরণ মানে নাকেঁপে ওঠা অহল্যা শরীরবৃষ্টিস্নাত শালিকের মত গা ঝেড়ে উঠে বসিউন্মত্ত অশ্বের আঘাতে ছিন্নভিন্ন স্বপ্নের পাপড়ি,দেখি...
শ্রাবণী গুপ্ত'র কবিতা প্রশ্ন আমি কি তোমার কাছে চেয়েছি শুদ্ধতর আলো!অথবা শোকের অজুহাতে গেছি কি নিবিড়ে নেমেতত, যতটা গহীনে গেলে ভিন্নতর তোমায় জানা যায়,গাছের শিকড়ে নেমে যেভাবে নিজেকে চেনেপুন্যবতী জল!আমি কি তেমন করে আলেয়াপ্রবাহে দিয়েছি ভাসিয়ে, যেভাবে আলোররেখা ভেসে যায় অনন্তের টানে…তবে কেন মানুষীর কাছে...
যাজ্ঞসেনী গুপ্ত কৃষ্ণার কবিতা যুদ্ধক্ষেত্র - একদিনের কুঁড়িগুলো ফুটে ওঠার আগেইপেট খসা নাজায়েজ বাচ্চা সন্ধ্যের কুয়ায়।আমি কোনো যাচনায় না গিয়ে পুরোনো ট্রেঞ্চের গায়ে হেলান দিয়ে আঙুলের বারুদ কামড়ে রাষ্ট্রীয় জায়েজ খুঁজি, খুঁজি কার্তুজের খোলে লেগে থাকাসৈনিকের আপাদমস্তক  বাধ্য নফর। আজও অদূরে ঘাসের উপর টাটকা রক্তের অপরাধ, খুনের পরে ...