গৌতম কুমার গুপ্ত'র দুটি কবিতা
জরা
আরো এক জরা মেঘ পেরিয়ে গেল
মাথার ওপরে
ঠিক নিদ্রাহীন রাত্রি বারোটায়।
চে্য়ে চেয়ে দেখে মাখ্খন ভুরুর ঝাউপাতা
হ্দকমলে পদ্মনাভি হাত।
ড্রেসিং টেবিলে অসমাপ্ত কাঁটার উল
ক্ষীর একদম মধ্যবয়সী বাদামী ঠোঁট
তিরতির কম্পনে অসবর্ণ লিপস্টিক।
কম্পাস কাঁটায় মেপে নিচ্ছে নিঁখুত জ্যামিতি
কৌণিক ঊরু কিংবা ভূগোলের ছেদবিন্দু
যৌবনে জঙ্ঘার ঘেরাটোপে নিষিদ্ধ উত্তাপ
দেবদাস করেছিল একদা তরল ভাসান
প্রেমের পদ্যে অধরামাধুরী রূপকাহন
এই তাপমাত্রা থেকে নেমে গেল জ্বর কবে
ফ্রিজের শীতল সন্ত্রাসে থেমে আছে জরার ভাইরাস
জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে আততায়ী মেঘ
অঝোর ধারার গর্ভবিষাদ শ্রাবণ
এই বুঝি বৃষ্টি নামছে
আরো এক জরা মেঘ পেরিয়ে গেল
ঠিক দুপুর বারোটায়।
যে সব অক্ষর
যে সব অক্ষর এইমাত্র চাপা পড়ে গেল
পায়ের নীচে
স্বৈর কলমে পদদলিত হবার আগে
তাকে শেষ দেখেছিলাম।
কাগজ তাকে জায়গা দেয় নি আজও
রক্তপাত হবার ভয়ে।
তার দু হাতে ট্রিগার খুনী চোখের ভাঁজ
চোয়ালে দৃঢ় সবলতা
পদক্ষেপে মৃত্যুর মুমূর্ষু সম্ভাষণ।
পরাক্রমী শব্দের আদলে
সে আমন্ত্রিত ছিল না কোনদিন
বরং রবাহূত ছিল
কোনো কাব্যজনের কাব্যবাসরে।
অকস্মাৎ হত্যা হয়ে গেল সে
পায়ের নীচে তার দোমড়ানো মোচড়ানো
ক্ষতবিক্ষত লাশ।
চাপা পড়ে রইল একটি অলৌকিক কাব্য ইতিহাস
1 Comments
অপূর্ব
উত্তরমুছুন