
হারাণ চাষির দিনলিপি
হেমন্তের শেষে হালকা শীতের আমেজে সকালের সূর্যের আভায় হারান চাষি ঘরের দাওয়ায় বসে নিজের হেজে যাওয়া হাত দুটোর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। দীর্ঘ সময় ধরে জলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাঠের পাকা ধান কাটতে কাটতে কৃষকের হাত নরম হয়ে যায়। হারাণ মনে মনে ভাবে, "তাতে কী? কৃষকদের খেটে খাওয়া হাত এমনই হয়।
তবুও, তাকে তো আর বসে থাকলে চলবে না। এই হাত নিয়েই,আজ আবার তাকে মাঠে যেতে হবে।"
হারাণ চাষি মাথায় গামছার পাগড়ি বেঁধে নিয়ে হাতে একখানা কাস্তে নিয়ে ক্ষেতের পানে রওনা দেয়। যেদিকে চোখ যায় মাঠের পর মাঠ ভরে গেছে সোনালী রঙের ধানে। হারাণের প্রাণটা খুশিতে ভরে ওঠে। এক কোমর জলে নেমে পড়ে হারান। তারপর, ধান গাছের বিচুলি কেটে কেটে এক এক করে আঁটি বেঁধে রাখে। একটা বক ঠোঁটে মাছ ধরে নিয়ে উড়ে যায়। হারাণের চোখ এড়ায় না। দেখে আর ভাবে, "আগে কত কাদাখোঁচা পাখি, সাদা বক, ডাহুক, মরাল, মাছরাঙা আসত। কেটে রাখা বিচুলির তলায় ইঁদুর ছুটে বেড়াত। আজকাল আর ওসব দৃশ্য দেখা যায় না। ছোটবেলায় বাবার সাথে ক্ষেতে আসত হারাণ। চোখের সামনে যেন সেদিনের চেনা দৃশ্যগুলো ভাসছে হারাণের। এখন সময়ের সাথে সবকিছু হারিয়ে গেছে। কীটনাশকের বিষ দূষণে ভরে গেছে মাঠ ঘাট চারপাশ।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়,পেটটা খিদেয় চোঁ চোঁ করে হারাণের। "আর পারছি না, এবার উঠতে হবে"... মনে মনে ভাবে হারাণ।
বিকেল গড়িয়ে ঘরের পানে পা বাড়ায় হারাণ।
পুকুর ঘাটে হাত পা ধুয়ে দাওয়ায় বসে পড়ে হারাণ একরাশ খিদে আর ক্লান্তি নিয়ে।
খড়ের গাদায় খেলছিল ছেলেটা, বাপকে দেখে ছুটে এসে বাপের কোলে উঠে বসে। হারাণ সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকে। ছেলেও বাপের বুকে মুখ গুঁজে আদর খায়।
বউ জাম বাটিতে মুড়ির সাথে লঙ্কা, পিঁয়াজ দিয়ে যায়। ছেলের সাথে মিলে হারাণ মহানন্দে খায়।
সূর্য ডুবে যায় পশ্চিম দিগন্তে। কৃষকদের গ্রামে সন্ধ্যে নেমে আসে। বউ তুলসীতলায় সন্ধ্যা-প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করে।
চাষিবউরা তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে সংসারের মঙ্গল কামনায় এভাবেই গৃহদেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করে। দূর থেকে শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসে।
শ্রীবাসের ছেলেটা সুর করে বই পড়ছে, হারাণের কানে আসে। অভাবের তাড়নায় নিজের ছেলেকে জামা-প্যান্ট কিনে দিতে পারেনি বলে ছেলেটাকে ইস্কুলে পাঠাতে পারেনা। নাহলে, তার ছেলেটাও ওরকম সুর করে পড়তে পারত। হারাণের মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।
ঘরে ঘরে নবান্নের গন্ধ এসে লাগে গরম ভাতের থালায়। গরম ভাতের বাসের সাথে মিলে মিশে যায় কাঁচা কাঠের ধোঁয়ার গন্ধ। আলুভাতের সাথে গলা ফেনা ভাত তারিয়ে তারিয়ে খায় ওরা চারজন।
"ওরে হারু, এবার শীতে আমায় একটা খদ্দরের চাদর কিনে দিস তো", বলেই বুড়িমা এক গ্রাস আলুমাখা ভাত মুখে তুলে নেয়, আর তার দাঁতহীন মাড়িতে কোনওরকম করে চিবিয়ে গিলে নেয়।
রাতের খাওয়া শেষ করে হারাণ চাষি ছেলেকে কোলে নিয়ে শুতে যায়। ছেলেকে গল্প বলতে বলতে ক্লান্ত শরীর জুড়ে অবসন্নতায় ঘুম এসে যায়।
রাতশেষে আবার একটা ভোর হয়। উঠোনের পাশে শিউলি গাছটা থেকে একরাশ শিউলি ঝরে বিছিয়ে পড়েছে প্রাঙ্গণে। সুন্দর সুবাসে ভরে উঠেছে চারপাশ। চারিদিকে গাছের পাতা থেকে ঝরে ঝরে পড়ছে শিশিরের ফোঁটা। হেমন্তের শিশির পরম মমতায় মেখে নেমে পড়তে হবে হারাণকে ধানক্ষেতের এক কোমর জলে ধান তুলতে। খুব কষ্টের কাজ, তবুও হারাণকে এই কাজ করতেই হবে। তা নাহলে বুড়িমা, বউ, ছেলের মুখে দু'মুঠো ভাত তুলে দেবে কী করে? ভাবতে ভাবতে মাঠের দিকে রওনা দেয় হারাণ চাষি।
জল থই থই ধানের ক্ষেতে রোদের ছটা এসে পড়েছে। সুবল জলে নেমে ধানের বিচুলি কাটতে শুরু করে।
"আরে ও হারাণ কাকা, কী ব্যাপার! কিছু কথা তো বল, একমনে যে কাজ করে চলেছ?"
পাশের ক্ষেত থেকে পরাণের ছেলে সুবল চিৎকার করে বলে।
"কী আর বলি বল? মনের মধ্যে হাজার চিন্তা রে!".. হারাণ উত্তর দেয়।
সুবল জিজ্ঞেস করে, "কেন গো কাকা, কিসের এত চিন্তা তোমার?"
"আরে এই ধান চাষের কথাই বলছি। দেখছিস না, মাঠের পর মাঠ দখল করে নিচ্ছে ভেড়ি মালিকরা। মাঠ জুড়ে চাষের বদলে এখন মাছের ভেড়ি। ভাগচাষের যেটুকু জমি পড়ে আছে, সেই জমিতে লাঙল ঠেলে, সার কীটনাশক দিয়ে ধানচাষে আর তেমন লাভ থাকে না রে সুবল!".. হারাণ বেশ হতাশার সুরে বলে।
"তা যা বলেছ, হারাণ কাকা, একদম ঠিক কথাই বলেছ",... সুবল, হারাণ কাকার কথার সুরে সুর মেলায়।
"তাহলে, আমাদের পরিণতি কী হবে, হারাণ কাকা?"...সুবল জিজ্ঞেস করে।
"কী আর হবে, নিয়ে নেবে জমি অন্য কেউ, অন্য কোনও বড়লোক, যারা টাকার গদির উপর বসে আছে। তারা এই জমিতে মাছের বড় বড় ভেড়ি বানিয়ে মাছের চাষ করে আরও সম্পদশালী হবে, ধনতান্ত্রিক বৈভবে ঐশ্বর্যশালী হবে।
চাষি আর থাকবেনা রে সুবল, চাষি একদিন বিলুপ্ত প্রজাতির খাতায় নাম লেখাবে।
"বেশ বুঝতে পারছি, আমরা আর বাঁচব না, হারাণ কাকা।".. সুবল বেশ আশঙ্কা নিয়ে বলে।
হারান বলে, "দূর বেটা, বাঁচবি না কেন? চাষিরা না কৈ মাছের জাত, ওরা ঠিক মরে মরে বেঁচে থাকবে।
বুঝলি সুবল,.. চাষিরা ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে বৃদ্ধি পাবে শ্রমিক। এখন দেখছিস না, চারিদিকে এখন শ্রমিকের বাড়বাড়ন্ত। মাঠের শ্রমিক, কলের শ্রমিক, কারখানার শ্রমিক, ক্ষেতের শ্রমিক, ইমারতের শ্রমিক, বাড়ির কাজের শ্রমিক...,এখানেই শেষ নয় রে সুবল, এর সাথে এখন আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে 'পরিযায়ী শ্রমিক'! বুঝলি,বাপের জন্মে এমন নাম শুনিনি রে ভাইপো। সবেতেই এখন শ্রমিক। হায়রে কপাল, কী দিন এলো!
এদিকে, চাষিদের আজ নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।শেষে পান্তা ভাতেও জল ঢালতে হয় পেট ভরানোর জন্য। দু'দিন পর দেখবি, চাষিরা কাস্তেতে শান দিতেও ভুলে যাবে।"...মনের মধ্যেকার নিদারুণ যন্ত্রণা আর ব্যথায়, ভীষণ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো একনাগাড়ে বলে চলে হারাণ।
সুবল, হাঁ করে হারান কাকার কঠিন হলেও,বাস্তব কথাগুলো শুনছিল চুপটি করে।
"চল চল সুবল, বাড়ি যাই এবার সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে।".. হারাণ, পাড়ার ভাইপো সুবল কে তাড়া দেয়।
সুবল যেন অন্য জগৎ থেকে বাস্তবে ফেরে। সম্বিত ফিরে সুবল বলে, "হ্যাঁ হ্যাঁ, চল কাকা, বাড়ি যাই।"
কোমরের গামছা খুলে হারাণ মুখের ঘাম মুছতে মুছতে ঘরে ফেরে।
ছেলেটা উঠোনে খেলছিল। বাপকে দেখতে পেয়ে, "বাপ এয়েছে, বাপ এয়েছে", বলে দৌড়ে আসে।
ছেলেকে দেখেই সব ক্লান্তি ভুলে গিয়ে হারাণের মন খুশিতে নেচে ওঠে। হারাণ ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে গায়ের ধুলো ঝেড়ে দেয়।
বউকে ডাক দেয়, "ও বউ, কোথায় গেলে, ছেলেকে লক্ষ্য নজর রাখতে হবে তো না কি? দেখো, কেমন গায়ে ধূলো মাটি মেখে চেহারার কেমন দশা করেছে,দেখো!"
বউ ছুটে আসে,.. বলে, "কী করি বল দেখিনি, আমার কি এই একটা কাজ? সংসারের হাজারটা কাজ আমাকে সামলাতে হয়।"
"আরে বাবা, জানি জানি, এই নিয়ে আর গোল করতে হবে না।".. হারাণ বউ এর মেজাজ গরম দেখে চেপে যায়, বউকে থামানোর চেষ্টা করে।
রাগে বউয়ের মুখটা অস্তগামী সূর্যের অস্তরাগে আরও লাল হয়ে ওঠে। হারাণ, বউয়ের দুই বাহু ধরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে বউয়ের সুন্দর রাঙা মুখখানার দিকে। বউ লজ্জায় আরও রাঙা হয়, হারাণের হাত ছাড়িয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে পালায়।
হারাণ মুচকি হাসে। ভাবে, এটাই তো জীবন। এত কষ্টের মাঝেও জীবনের কিছু কিছু মুহূর্ত আবার নতুন করে বাঁচতে শেখায়, নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পলেস্তরা খসা দেয়ালে নতুন করে রঙের পোচ দিয়ে যায়।
হারাণ ঘরে বউয়ের কাছে গিয়ে বলে, "জানো, ছেলেটাকে তো বড় করতে হবে, মানুষ করতে হবে। আমাকে আরও খাটতে হবে, আরও সকাল সকাল উঠতে হবে। উঁচু ক্ষেতিটায় যেতে হবে, মাটি কুপিয়ে আলু, বেগুন, লঙ্কাচারা লাগাতে হবে। ওই এক ধান চাষে আর হবে না, বুঝলে বউ?"
বউয়ের আক্ষেপ হয়, কষ্ট হয় স্বামীর জন্য, বলে, "এছাড়া আর কী উপায় আছে বল? শুধুমাত্র ধানচাষ করে আর তো কোনও লাভ দেখছি না। খাটতে খাটতে তোমার গতর পড়ে গেল। তবু ঘরে আসে মাত্র এইকটা ফসল! সারাবছর পেট চালাতে হিমশিম খেতে হয়।"
হারাণ, ছেলের গায়ে হাত বোলায়, আর মনের জোর বাড়ায়।
বউকে বলে, "বাবুদের দু'বিঘে জমিতে চাষ করতেই তো হবে। বাবুদের ঘরে বেশি ফসল ওঠে ঠিকই, তবে, আমাদের ঘরে যে দু' মুঠো আসে, সেটাই বা কম কী, দু'পয়সা তো আসে? নাহলে, চলবে কী করে বল? ছেলেটা আমাদের বড় হচ্ছে!"
রাতের আঁধার জড়িয়ে ধরে ওদের লোনাধরা খড়ের কুঁড়েঘরটিকে চারপাশ থেকে।
পরম মমতায় হারাণ হাতের কাস্তেটা খড়ের চালে গুঁজে রাখে। কাঁধের গামছাটা মাটিতে ফেলে বসে পড়ে।
বউকে বলে, "এবার আম্ফান্ ঝড়ে ঘরের চালটাকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছে। বর্ষাকালে চালের ফুটো দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে ঘরটাকে একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আর ফেলে রাখা যাবে না, এবার চালটাকে সারিয়ে নিতেই হবে। ছেলের পাতে একটু মাছ দিতে হবে।
এদিকে দুপুরে বুড়িমার পাতে মাছ পড়েনি বলে বুড়ি বউয়ের সাথে ঝগড়া করে সারা পাড়া মাথায় করেছে। সেকথা বউ হারাণকে জানিয়ে চোখের জল ফেলে।
হারাণ বউয়ের মাথায় হাত রেখে আশ্বস্ত করে।
আজকাল, সন্ধ্যে হলেই বুড়ি কাঁথার তলায় ঢুকে যায়।
পাড়ার সুধীর ডাক্তার বুড়িকে বলেছে, "তোমার বয়স হয়েছে বুড়ি, এখন রাতে খেওনা। আর এখন শীত পড়তে শুরু করেছে, ঠান্ডা লাগিও না। সন্ধ্যে থেকেই কাঁথার তলায় ঢুকে যাবে, দেখবে, শরীর ভাল থাকবে।"
ছেঁড়া কাঁথায় ঢুকে বুড়ি কখনও ঘুমায়, কখনও জাগে। মাঝে মাঝে সংসারের কথায় নাক গলায়। বউয়ের সাথে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করে। বউয়ের ভাল লাগে না। মাঝে মধ্যেই হারাণের কাছে নালিশ করে।
হারাণ বলে, "মায়ের বয়স হয়েছে। রোগে ভুগতে ভুগতে শীর্ণকায় হয়ে গেছে। তাই খিটখিটে হয়ে গেছে। তুমি বুড়ি মায়ের কথা গায়ে মেখো না।"
আজকাল, বুড়িমার সত্যিই শরীর ভাল নয়। বুড়ি যে বেঁচে আছে, সেটা বুড়িমা কথা বললেই বোঝা যায়।
রাতে বুড়িমার বাতের ব্যথাটা খুব বাড়ে। বুড়ি চিৎকার করে বউকে ডাকে গরম তেল মালিশ করে দেওয়ার জন্য। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে বউ রসুন তেল গরম করে দিয়ে বুড়ির পায়ে মালিশ করে দেয়। বুড়িমার ব্যথার উপশম হয়। বুড়িমা বউমাকে বলে,"তোর কাপড়টা তো ছিঁড়ে গেছে রে! হারুকে বলিস, "একটা নতুন কাপড় এনে দেবে।" তার প্রতি শাশুড়ির দরদ দেখে বউ অবাক হয়।
হারুকে বুড়িমা কাছে ডাকে। হারু বুড়িমার কাছ গিয়ে জিজ্ঞেস করে, "কী বলছ মা?"
বুড়িমা বলে, "শোন হারু, আমি যে তোকে খদ্দরের চাদর এনে দিতে বলেছিলাম, তোকে আনতে হবে না।"
হারাণ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, "কেন মা?"
"না, মানে বলছিলাম কি, সংসারের অভাব আমি বুঝি। আমার তো বয়স হয়েছে, বেশিরভাগ সময় তো কাঁথার তলায় থাকি, চাদর আর কী দরকার? তার বদলে বরং বৌমাকে একটা কাপড় কিনে দিস। বৌমা ছেঁড়া কাপড় পরে কাজ করে, আমার খুব খারাপ লাগে।" বলতে বলতে বুড়িমা ঘুমিয়ে পড়ে।
হারাণের চোখে জল এসে যায়। হারাণ বউকে জড়িয়ে ধরে, লক্ষ্য করে, বউয়ের চোখও জলে চিকচিক করছে।
এটাই জীবন, এটাই জীবনের অদ্ভুত রঙ!
ঘরের কোণে টিমটিমে লন্ঠনের আলো নিভিয়ে হারাণ বউকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। চারদিকটা ঘন অন্ধকারে ডুবে যায়। অন্ধকারে ঘুম জড়ানো চোখ, ঝগড়াঝাটি, আহ্লাদ, দুষ্টুমি...সবই আসলে জীবনের বেঁচে থাকার প্রয়াস!
বাইরে, নিঝুম রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।গাঢ় অন্ধকারে হারাণ কৃষক দম্পতির ক্লান্তির সর্বংসহা হাত- পায়ের পেশীতে অঘোর ঘুম নেমে আসে, আবার একটা নতুন দিনের স্বপ্ন আশা নিয়ে।
0 Comments