দুটি কবিতায় ॥ গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত'র দুটি কবিতা 

জীবন

ঝিম ধরা বাতাসে ঘোর লাগে 
নিদ্রামোহিনী চোখে শীতল স্বভাব স্নায়ু
আলুথালু শীতার্ত আলোকে ওম খোঁজে জোনাকির আয়ু
ডানায় ডানায় কিম্ভূত কাঁপন তার
আমি তার সহজ এক সজীব মাত্র

দূরে উড়ে যায় একটি নীলাভ আকাশী পাখি
মেঘমালা দিয়েছে আদর চুম্বন- জল
প্রেমজ পিপাসায় বৃষ্টি ঝরে অনীক মৃত্তিকা কপোলে
বারংবার দূরবর্তী হয় জীবন প্রমুখ ব্যবধানে

নৈকট্যে এলে দৌরাত্ম্য হ্রাস পেত সুষুম্না প্রশাখায়
বয়ে যেতো  সচকিত আলোকপ্রবাহ
অনুবর্তী তার নিম্নগামী ধারা সরলরেখায়

ক্লান্তিমোচনে কোন ভূমিকা নেই আগুনের
জ্বলে ওঠে দাউদাউ দ্বিগুণ সতেজে
কোন এক স্নেহার্দ্র জল এসে মুছে ফেলে প্রদাহ দ্বেষ

বাতাসে সুগন্ধ ভাসে শুধু সপুষ্পক জীবনীবৃত্তে
স্মৃতি তাকে ঘিরে রাখে চিরায়ত নির্বাহ রসায়নে

সুচেতনা

আমার বাম হাত জানে না ডান হাত কি করেছে
ডান চোখ খবর রাখে নি বাম চোখের
দৃষ্টি সজাগ ছিল কিনা কে জানে জল্পনা কল্পনায়

সময় দু হাতে গুটিয়ে নিচ্ছে বয়স
এরই মাঝে নিজেকে ভেঙেছি গড়েছি
চাক্ষুষ করেছি দৃশ্যযাপন প্রহসন বুঝেছি

শৃগালেরা ঘুরে ফেরে ডাকে প্রতি প্রহরে
জোনাকিরা নিঝ্ঝুম পাখিরা নীরব প্রশাখায়
সুচেতনা ডাক দিয়ে যায় দ্যুলোক অবচেতনায়

আমার ভেতরে জেগে থাকতে হয় হুংকারে
আমিও শিখেছি ব্যাঘ্র গর্জন শ্বাপদের হিসহিস
ভেসে থাকি থাকতেই হয় স্থাপত্যের জঙ্গলে

শেষমেষ নদীটি কথা শোনে পাখিটি গান গায় 
শিশুটি হেসে ওঠে খিলখিল 
পিপীলিকাও ডেকে ওঠে অনিচ্ছার নীরবে

কবি গৌতম কুমার গুপ্ত 
সুভাষপল্লী, বেনাচিতি, দুর্গাপুর 





















0 Comments