পরজীবী পুরুষ শরীর ~ নিমাই জানার কবিতা


পরজীবী পুরুষ শরীর
নিমাই জানা 

উলঙ্গ ঈশ্বরের মতো বাবার পোশাক ও শীতল

খুলে রাখলো দেবী ধূপের বৃত্তাকার মায়া
দুই চরম বাহু নিয়ে উড়ে গেল হিমাদ্রির সবুজ অরণ্য সমতলের দিকে
পাথরের কথা ভাবতেই মেহগিনির স্তন জোড়া,পাতা ঝরিয়ে ভরিয়ে গেল আমার জন্ম ঘরের দুধেল দাঁতকে যা ক্রমশ পরজীবী
আমি কাঁদছি অসম্পূর্ণ সঙ্গমের জন্য , শুয়ে পড়ছি এক হিস্টামিনিক সমুদ্র ঘুমের জন্য
বিছানা কখনো আমাকে চাঁদের বিষ খাওয়ায়

আমি এক আকাশ নিরাসক্ত অর্পণ শিখে সাংখ্য যোগের অনুশীলন পৃষ্ঠা হয়ে গেছি
দুটো পুরুষ মানুষের কথা ভাবতেই ফুরিয়ে যাচ্ছে তারা অমাবস্যা তিথির গভীর অনন্তে
তাদের দাঁতেরা বিচ্ছিরি মাটির পুতুল খায়
পুড়ে যাচ্ছে তাপস,ওই বিন্দুটির দিকে বিছানো জরা,  মৃত্যু,নক্ষত্র পাশাপাশি রেখে
জীবিত জীবাশ্মের কাছে দাহের মন্ত্র শিখে নিচ্ছে দ্বিঘাত সমীকরণের ধ্রুবপদ

আসলে মায়ের জরায়ু নদী পেরিয়ে যাওয়ার পর আমার চোখে যে বালক অপার বিস্ময়ের অশ্রু এঁকে দেয়
আমি তাকে বিবিধ দূর্বাঘাস বলি
হাতে আগুন, চোখে ভয় , মুখে আগুনের ধ্বংসলীলায় সৃষ্টি করছে ঐশ্বর্য পুর
তুমি দীর্ঘ হও মারীচ আমার এই সুকান্ত তনয়ের কাছে নীল পোশাক খুলে রাখো, বৈতরণী
তোমাকে মৃত সন্তানের নাভি ভেবে খাই পাথরকুচি পাতার অশ্রু মিশিয়ে
মরীচিকা আর ক্যাকটাসের ভেতর গান্ধারী হেঁটে যাচ্ছেন অভিশপ্ত ভান্ডারের দিকে 
পরমেশ্বর লাল পোশাকের বাঁধনে তুলসী পাতার মায়াঘর বাঁধছেন

বাবা,আমি ও মা মধুপুরের দিকে ক্রমশ চলে যাচ্ছি ময়ূর বিছানা ফাঁকা রেখে

কবি নিমাই জানা
রুইনান, সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর

0 Comments