সুদেষ্ণা দত্ত'র কবিতা
বাসাংসি জীর্ণানি
দীর্ঘ ক্ষরতপ্ত দুপুর পায়ে হেঁটে পার করে
তোমার শরীরে এখন আসন্ন আঁধারের নৈঃশব্দ
স্নেহময় ঘাম আর সংসারী তেল হলুদের বদলে
তোমার আঁচলে লেগে আছে
সন্ন্যাসী ওষুধের গন্ধ,
তোমার বুকের চক্রব্যুহে দাঁড়িয়ে
আমি বাঁচার লড়াই শিখেছি..
এখন হেরে বা জিতে যেভাবেই হোক
যেকোন চক্রব্যুহ ভেদ করতে পারি অনায়াসে,
আজকাল ব্যুহের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজেকে
বড্ড বেশিরকম ঈশ্বর মনে হয় ।
গাছের পুরোন বল্কলের মত
শরীর থেকে অনায়াসে নামিয়ে ফেলতে পারি কালচক্র,
দাউ দাউ আগুনের প্রবজ্যা অঙ্গীকারে
পুড়িয়ে ফেলি আমার শৈশব কৈশোর যৌবন কাল,
আগুনের শেষ চিন্হটুকু পায়ে মাড়িয়ে
কিনু গোয়ালার গলি হয়ে ওঠে হাইওয়ে..
আলোর নিচে চাপা পড়ে যায় সমস্ত মানবিক বিষাদ।
তবু কোন এক হৈমন্তী ভোরে
নিভে যাওয়া ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে
ঐশ্বরীক উপসর্গগুলো ক্রমশই ম্লান হয়ে আসে,
চোখে এসে জমা হতে থাকে তোমার শরীরের নোনাঘাম,
বুকের মধ্যে জ্বলতে থাকা দহণকাল থেকে
খুঁজে বার করে আনি আমার মানবিক অতীত,
এক যুগ পার করে তোমার শীতার্ত হাতে হাত রাখি আবার,
তোমার আঙ্গুলের শিথিল বাঁধনে
আজও অবিনশ্বরতার গন্ধ...