শৌভিক চ্যাটার্জী🔸কালনা, পূর্ব বর্ধমান🔸
যখনই কখনো কবিতা লিখতে চেয়েছি,
যারা পড়েছে,বলেছে এ কবিতা না,এ যে দুর্বলতা !
আমি যে কবিতা লিখতে গেলেই,অজান্তেই
মামাবাড়ি চলে যেতাম !
খামার,বকুল গাছে দোলনা !
পুকুরপাড়ে চাঁপা গাছে বক বসতো,বিকেল হলেই !
একটা ভিখিরি এসে খালি নাম জিজ্ঞেস করতো !
কতগুলো ছেলে রোজ ইস্কুল থেকে ফিরতো,হাতে সুটকেস নিয়ে !
আমি বল হাতে দাঁড়িয়ে থাকতাম মায়ের পাশে !
আরো বিকেল হলে,
অনেক গুলো শাঁখের জমানো আওয়াজ জড়িয়ে নিয়ে অস্ত যেতে যেতেও কিছু লাল আলো দিত !
ওরা সেই আলোয় খেলতো ।
আমি কাছে গেছি বহুবার ! খেলা নিল কই !সে আমি ফর্সা বলেই কি !
কী করে লিখি কবিতা! লিখতে গেলেই যদি,কলার পেটোয় বাতি জ্বালিয়ে হাজির হয় উজ্জ্বল দীনতা !
'ঘেঁটু ঘেঁটু ঘোষ পাড়া...'
চাল আলু সম্বল করে,হাসতে হাসতে পালাতো,আমায় হাসতে নিলো না কখনো !
কী করে লিখি কবিতা !
তবে বাবা বলতো,বেশ হয়েছে! আরো লেখ !
বাবাই বোধহয় সঠিক শনাক্ত করতো আমায় !
ছবিতে মহাভারত কিনে দিলো একদিন !
আমি তো মায়ের কোলে শুয়ে,পশ্চিমের ঘরে,পড়ছিলাম সে বই !
ধর্মতলার কাছে কোথাও ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে গিয়েছিলো !
করুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধ কি ?
বাবার কপালে নাকি বিকেলের সূর্যের আভাস্নাত রক্তিম জয়টিকা পড়িয়ে দিয়েছিলো কোনো অদম্য দুর্বল শক্তি!
বাবাকেও কেউ শনাক্ত করেনি !
আমার কবিতাও আজ বেওয়ারিশি দুবর্লতার দুর্গন্ধে নষ্ট হয়ে গিয়েছে !
'বাবা আমার আর কবিতা লেখা হয়নি !
কেউ শনাক্ত করে না যে
0 Comments