আশ্চর্য ফোন
বসতে না বসতেই জিনিসটা চোখে পড়ল অনিন্দ্যর।সকালের নরম রোদ পড়ে চক্ চক্ করছে জিনিসটা।লকডাউনের পিরিয়ড।তারউপর উত্তর কলকাতার এ তল্লাটটা কন্টেনমেন্ট এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।দশটার মধ্যেই দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।আজ খুব সকাল সকাল বাজারে বেরিয়েছে সে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই।চারদিন পরে বাজারে এসেছে অনিন্দ্য।এই সাতসকালে জিনিসপত্র এসে গেছে বাজারে।সবজি,মাছ,ফুল--রাস্তার দু'ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে গেছে সব।এত সকালে কোত্থেকে আসে এরা!গাড়িঘোড়া তো চলছে না!এখন লোকজন কম। মাছ-সবজির বিক্রেতারা এখনও ঠিকঠাক সেজেগুজে বসতে পারেনি।অনিন্দ্য চটপট বাজারটা সেরে নেয়।
বাজারের পুবদিকে রাস্তার গা ঘেঁসে একটা বড় খেলার মাঠ।এসময় মাঠে বড়-ছোট, কচিকাঁচাদের ভিড় গিজগিজ করে।যে যার এরিয়া ভাগ করে নিয়ে ফুটবল,ক্রিকেট,ভলি--ক্যারাটের আসর বসায়।মাঠের বাউন্ডারি ঘিরে বয়স্করা মর্নিংওয়াক সারেন।বাজারের ব্যস্ত জীবনের পাশে আর এক জীবনের জয়গান!অনিন্দ্য যেদিন সকাল সকাল বাজারে আসত,তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করত এসব।জীবনউচ্ছল মাঠটা তার বাল্য,কৈশর,যৌবনকে ফিরিয়ে আনত পরীর ডানায় ভর করে।সেই চিরচঞ্চল প্রাণউচ্ছল মাঠটা এখন ধু ধু করছে।নিস্তব্ধ মাঠটা এখন পাতা পড়ার আওয়াজ শুনিয়ে যাচ্ছে।দু'দিকের দু'টো গোলপোস্ট মাথা তুলে জানান দিচ্ছে,যেন,কোন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগে এখানে খেলাধুলার আসর বসত।মাঠটা মনমরা হয়ে যেন ঝিমিয়ে পড়েছে।যেন এখনোও তার ঘুম ভাঙেনি।মাঠটা অনিন্দ্যকে আর টানছে না।তার বোধগম্য হল না,মাঠটা তাকে টানছে না নাকি,সে নিজে মাঠটাকে টানছে না!মাঠের দু'মাথায় কংক্রিটের বেঞ্চ পাতা। পৌরসভার সৌজন্যে বুক চিতিয়ে হাসছে। খেলাচলাকালীন হত্তাকর্তারা বেঞ্চগুলোর শোভা বাড়ান।
অনিন্দ্য একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।একটু আরাম করে ফাঁকা মাঠটাকে দেখা আর সকালের নির্মলবায়ু সেবন করার উদ্দেশ্যে লকডাউনে জীবন একেবারে থমকে গেছে।ফাঁকা মাঠটা প্রকট ভাবে সে কথাই জানান দিচ্ছে।
জীবনের কথা মনে আসাতে,পঁয়তাল্লিশ বছরের জীবনটা চোখের সামনে পুব আকাশে সূর্যের মত ভেসে উঠল অনিন্দ্যর।এইতো সেদিনও এ মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সে।মার বকাবকি,বাবার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই।এই মাঠে দৌড়োতে দৌড়োতে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক--কমার্স গ্ৰ্যাজুয়েশনের বেড়া টপকেছে সে।একটা সরকারি চাকরি জোটাতে পারেনি অনিন্দ্য।কলেজ থেকে বেরোনোর পর দুম করে বাবা চলে গেল সিভিয়ার হার্টঅ্যাটাকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মাও!অবশ্য চাকরি একটা জুটিয়েছে সে।বড়বাজার হোলসেলের একটা বড় কাপড়ের দোকানে ক্যাশিয়ারের চাকরি। মাইনে যা দেয় মাস চলে যায়। দুপুরের খাবারের পয়সা,ওভারটাইম করলে বাড়তি পয়সা--টুকটাক এসব তো আছেই।
লকডাউনের পাল্লায় জীবনটা রুদ্ধ হয়ে গেছে।গতমাসে পুরো বেতন পেয়েছিল।এ মাসে বেতন হয়নি।মালিককে ফোন করতে বলেছিল,কোত্থেকে দেব?ব্যবসাপত্তর সব লাটে উঠেছে।অনিন্দ্য আর কথা বাড়ায়নি। একমাস বেতন না দেয় দিক।চাকরিটা যেন থাকে।করোনার থেকে পেটকে তার এখন বেশি ভয়!তিন তিনটে পেট।জমানো টাকা যা ছিল সব নিঃশেষ হতে চলেছে।আর ক'একটা দিন চলবে।তারপর!
সকালের শিশুসূর্যের নরম আলো জিনিসটার উপর পড়ে প্রতিফলিত হচ্ছে।প্রতিফলিত রশ্মিতে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে !চোখ কচলে চকচকে জিনিসটার দিকে আবার নজর গেল।আগাছার ঝোপের ফাঁক গলে তীর্যক আলোটা তার চোখে পড়েছে।জিনিসটা পরখ করে দেখতে অনিন্দ্য এগিয়ে গেল।একটা দামি মোবাইল ফোন পড়ে!ফোনটা হাতে তুলে নিল অনিন্দ্য। একেবারে নতুন অ্যনড্রয়েড ফোন!ঝোপের চারপাশে সিগারেটের টুকরো,চানাচুরের খালি প্যাকেট,শশার ছাল,ফরেনলিকারের খালি বোতল---চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেন আবর্জনার স্তূপ!অনিন্দ্যর বুঝতে বাকি রইল না,ফোনটা এখানে পড়ে থাকার রহস্য!
ফোনটা কি সে বাড়ি নিয়ে যাবে!এখানে পড়ে থাকলে অন্যকেউ তো নিয়ে যেতে পারে।যার ফোন সেকি এখানে আসবে!পুলিশের হাতে তুলে দিলে অনেক হ্যাপা--- সাতপাঁচ ভাবছে সে।ভাবনার আকাশ যেন ভেঙে পড়েছে মাথায়!নাহ,ফোনটা নিয়েই যাই।ফোনের মালিক নিশ্চয়ই ফোন করবে।তখন নাহয় যার ফোন তাকেই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।অনিন্দ্য ফোনটা প্যান্টের পকেটে গলিয়ে দিল।
দু'হাতে দুটো ব্যাগ ঝুলিয়ে বাড়িমুখো অনিন্দ্য।হাঁটতে হাঁটতে আশ্চর্যজনকভাবে সে আবিষ্কার করল,ব্যাগ দু'টো ভারহীন।একেবারে ওজোন শূন্য!দাঁড়িয়ে পড়ে বাজার ভর্তি ব্যাগ দু'টোকে ভালকরে পরীক্ষা করল সে।সত্যিই ভরহীন ওজোনহীন !অনিন্দ্যর নিজের শরীরটাকেও ভরহীন লাগছে!যেন হাওয়ায় ভর করে উড়ে যাচ্ছে সে!ঠিক যেমন কুড়ি-পঁচিশ বছর বয়সে যেরকম ফিল করত।তার হাঁটার গতি বেড়ে গেছে অনেক।শরীর চনমনে ফুরফুরে লাগছে।কোনো কষ্ট নেই।ভার নেই।পাখির পালকের মত হাল্কা!
এরকম অনুভূতি তার একবার হয়েছিল!
যেদিন সে ঐশীকে প্রপোজ করেছিল।যেদিন ঐশী চোখ নত করে ঠোঁটের কোণে হাসি টেনে তার সম্মতি জানিয়েছিল।আশ্চর্য !এমন কী করে সম্ভব!হঠাৎ ধক্ করে উঠল বুকটা।এই ফোনটার জন্য নয় তো!ফোনটার কী কোনো কারসাজি আছে!
বাড়ি এসে ঐশী আর বুবানকে দেখালো ফোনটা।বুবান ফোনটার কভার খুলে বলল,"বেশ দামি এম আই ফোন"।গত বছর ছেলেকে একটা অ্যানড্রয়েড ফোন ইনস্টলমেন্টে কিনে দিয়েছে অনিন্দ্য।বুবান এসব ভাল বুঝবে।তার নিজের ফোনটা সেই আদ্দিকালের বোতামটেপা ফোন।নিজের জন্য টাচফোন কেনার সামর্থ্য কোথায়!ফোনটাকে ঘিরে সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।ফোনটা নিয়ে তারা কী করবে!সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিল,যার ফোন,সে ফোন করলে তার হাতে তার জিনিসটা তুলে দেওয়া হবে।
দুপুরে অনিন্দ্যর নিজের ফোনে একটা কল এলো।দোকানের মালিকের ফোন।"তোমার অ্যাকাউন্টে তিনহাজার কেটে বেতন পাঠিয়ে দিয়েছি।চেক করে জানিয়ো।"অনিন্দ্য তড়াং করে লাফিয়ে উঠল।যেন সে এইমাত্র এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছে।অভাবের সংসারে টাকার যোগান--এর থেকে ভাল সংবাদ আর কী হতে পারে! পরক্ষণে মনে হল,বাড়িতে ফোনটা আসার পর শুভ সংবাদটা এলো।তার মনে হল, ফোনটার কোনো এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে!অনিন্দ্য ফোনটার আশ্চর্য ক্ষমতার ব্যাপারে কাউকে কিছু বলল না।সে ঠিক করল,এ ব্যাপারে সে কাউকে কিছু বলবে না।বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর,ঐশী চায়ের কাপ হাতে কাছে এসে দাঁড়িয়েছে।
"এই টাকাটা কাছে রাখ। পাঁচহাজার আছে। প্রতিমাসের সংসার বাঁচিয়ে টাকাটা জমিয়েছি।লকডাউন কবে উঠবে ভগবান জানে!ভেবেছিলাম একটা আলমারি কিনব।পেটের থেকে বড় দায় আর কী আছে!"অনেকদিন পর ঐশীকে ভালকরে দেখছে অনিন্দ্য।বিশবছর আগে যে চোখে তাকিয়েছিল সে।হাত বাড়িয়ে ঐশীকে গায়ে লেপ্টে নিল অনিন্দ্য।
সবই কী ফোনটার মাহাত্ম্য!অনিন্দ্য আনন্দসাগরে ঢেউয়ের ফেনা হয়ে ভাসতে থাকে।
একটানা একটা অদ্ভুত সু্রেলা শব্দে মাঝরাতে অনিন্দ্যর ঘুমটা ভেঙে গেল।একটা মিষ্টি শব্দ ভেসে আসছে-- টুংটাং--টুংটাং--টুংটাং--উঠে পড়ল সে।শব্দটা কোত্থেকে আসছে!এমন শব্দতো আগে শুনিনি!শব্দের উৎস সন্ধানে শোয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে এল অনিন্দ্য।ডাইনিং টেবিলের উপর চোখ আটকে গেল তার।একটা হাল্কা মিষ্টি ময়াবী সবুজাভ আলো ছড়িয়ে ফোনটা সেই মধুর ধ্বনি করছে!এই গভীররাতে কে ফোন করছে! ভয়ে ভয়ে,কাঁপা, কাঁপা হাতে কলটা রিসিভ করল সে।"--হ্যালো--হ্যালো--"ফোনের ওপার থেকে একটা ভারী স্পষ্ট গলা ভেসে এল।কোনো ভণিতা না করে বলল,--"ফোনটা আমার।যেখান থেকে পেয়েছেন,ভোরবেলায় ওইখানে এসে বসবেন।ফোনটা সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন।আমি ঠিক আপনার কাছ থেকে নিয়ে নেব।"কলটা ওপারের ভদ্রলোক ঝট্ করে কেটে দিলেন।একেবারে স্পষ্ট সুনির্দিষ্ট নির্দেশ! অনিন্দ্য ফোনটা হাতে নিয়ে স্থানুবত দাঁড়িয়ে থাকল।এখন চারপাশে ঝিঁঁঝিঁঁর ডাক ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই।
ফোনের নির্দেশ মত অনিন্দ্য ভোর হতে না হতেই মাঠের সেই সিমেন্টের বেঞ্চটায় গিয়ে বসেছে।শীতল হাওয়ায় মন প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।ধরিত্রী এখন বড় শান্ত।চারদিক সুনসান।লকডাউনে থেমে থাকা জীবনে পাখির কলতানে জীবনের উচ্ছ্বাস।পৃথিবী জেগে উঠছে মৃত্যুপুরীর আগল ভেঙে। এক এক করে ব্যবসায়ীরা আসছে।ধরিত্রী ধীরে ধীরে জাগছে।কী আনন্দ!কী আনন্দ!অনিন্দ্যর উদ্বেগ নিমিষেই কোথায় উধাও হয়ে গেছে যেন!লোকটা কথা দিয়েছে সে আসবে।সে আসবে।ফোনটা আসল লোকের হাতে তুলে দিতে পারলেই সব উদ্বেগের অবসান !
আটটা পর্যন্ত ঠায় বসে রইল অনিন্দ্য। কারো আসার নামগন্ধ নেই।রাতদুপুরে লোকটাকি তার সঙ্গে মসকরা করল !ঐতো একজন আসছে।হ্যাঁ তাকে লক্ষ্য করেই এগিয়ে আসছে।আরে,এ তো সমরেশ!তার বাল্যবন্ধু কাম ক্লাসমেট। তাহলে ফোনটা সমরেশের!এখন তাহলে সমরেশ মাঠেঘাটে আখড়ায় বসে!কতদিন পর সমরেশকে দেখছে সে!মাধ্যমিকের পর সমরেশরা কলকাতা ছেড়ে আসানসোল চলে গিয়েছিল।বাবার ট্রান্সফার অর্ডার হতে পরিবারসুদ্ধ সবাই আসানসোলে চলে যায়।তা প্রায় বছর দশেক তো হবে।তাহলে সমরেশরা কি আবার কলকাতায় চলে এল!
--"কিরে এখানে বসে যে বড়!একা একা এই ফাঁকা মাঠে!বিশেষ কেউ কী দেখা করতে আসবে নাকি!" সমরেশ হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করল।অনিন্দ্য কী বলবে বুঝতে পারছে না।কিছু বলে ওঠার আগেই সমরেশ আবার মুখ খুলল।--"তোর কষ্টটা আমি বুঝি রে।ক্লাসের সেকন্ডবয় হয়েও একটা সরকারি চাকরি জোটাতে পারলি না!জানিস বোধহয়,আমি এখন একটা প্রাইভেট ব্যাংকের ম্যানেজার।এমাসে বাবা রিটায়ার করেছে।আমরা আবার কলকাতায় চলে এসেছি।আমার ব্রাঞ্চটা সল্টলেকে।ভাবছিলাম তোর সঙ্গে দেখা করব।লকডাউনে আর তোদের বাড়ি যাওয়া হয়ে ওঠেনি।তোর সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভাল লাগছে।ছোটবেলার কথা,স্কুলের কথা,সব সব মনে পড়ছে--"কথা বলতে বলতে সমরেশ অনিন্দ্যর পাশে এসে বসল। সমরেশের মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে অনিন্দ্য।কত পরিবর্তন হয়েছে!শরীর জুড়ে আভিজাত্যের ছোঁয়া।স্মার্ট সুঠাম প্রশংসনীয় ব্যক্তিত্ব!অনিন্দ্যর বুকটা ধুকপুক করছে।সমরেশ নিশ্চয়ই এবার ফোনটার কথা তুলবে!নাঃ,ফোন-টোন নিয়ে কোনো কথাই বলল না সমরেশ।অনিন্দ্য ফোনটার কথা কিছু বলতে চাইছিল, সমরেশ হাত তুলে থামিয়ে দিল।"তোর মনে আছে,পাঁচশো টাকা তোর কাছে ধার করেছিলাম।এই নে আমাকে ঋণ মুক্ত কর।"কড়কড়ে দু'টো পাঁচশোটাকার নোট সামনে মেলে ধরেছে সমরেশ।অনিন্দ্যর মনে পড়ল,কি যেন একটা দরকারে সমরেশ পাঁচশো টাকা ধার করেছিল তার কাছ থেকে।সে অনেক দিন আগের কথা।অনিন্দ্য ভুলেই গিয়েছিল।কিন্তু হাজার টাকা কেন!সমরেশ মুচকি মুচকি হাসছে।"আমি ব্যাঙ্কার,তোর টাকা এতদিন ডাবল হয়ে গেছে।এটা তোর পাওনা।"সমরেশ যেমন হুট করে এসেছিল,তেমন হুট করেই বেরিয়ে গেল।অনিন্দ্য ফ্যালফ্যাল করে সমরেশের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।সত্যি সমরেশ কত পাল্টে গেছে!মনে মনে বিড়বিড় করতে থাকে সে।যাক,এই অসময়ে টাকাটা এলো।এ যেন না চাইতেই জল!
পরক্ষণেই তার মনে হল,এটা এই ফোনটার কেরামতি নয় তো!কিন্তু যার জন্যে এতক্ষণ বসে থাকা সে কোথায়?
আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল অনিন্দ্য।ধীরে ধীরে রোদের তেজ বাড়ছে।আর একটু পরে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যাবে।এখানে এভাবে বসে থাকলে,
পুলিশ এসে তুলে দেবে।
অনিন্দ্য উঠে দাঁড়াল।পকেটে হাত দিয়ে দেখল, ফোনটা ঠিক আছে কিনা।ধড়াস্ করে বুকটা নেচে উঠল।খানিকটা রক্ত বুক থেকে মুখে উঠে এলো যেন!ফোনটা কোথায় গেল!পকেটে তো নেই!অনিন্দ্যর স্পষ্ট মনে আছে,প্যান্টের পকেটে করে ফোনটা সে নিয়ে এসেছিল।ধপ্ করে বসে পড়ল অনিন্দ্য।ফোনটা কোথায় গেল! হাওয়ায় মিলিয়ে গেল নাকি!
0 Comments