অন্তরা দাঁ🔸পূর্ব বর্ধমান🔸
মাঝরাতে আজকাল বিড়াল-পায়ে ঘরে আসে মা, বুঝতে পারে বুবান। এটাওটা দ্যাখে, এ.সি.'র টেম্পারেচার'টা বাড়িয়ে দেয়, মাথা'র কাছ থেকে সরিয়ে রাখে মোবাইল ফোন, ট্যাব, বইপত্র। টেবল গুছোয়, গায়ে'র চাদর'টা বুক অবধি টেনে দিয়ে নিঃশব্দে চ'লে যায়। মা কি আমায় কোনোদিনও বড়ো হ'তে দেবে না? এরকম ওভার-পজিসিভনেস চললে তো মুশকিল, রাকা আবার যা সেন্টিমেণ্টাল!
আজকাল বুবানে'র শার্টে ডিও'র গন্ধ ছাপিয়ে আরও তীব্র কিছুর গন্ধ ঝাপটা দেয় নাকে। সারাদিন কোথায় যায়, কী করে?! শরীরে'ই বড়ো হয়েছে শুধু, এখনও বালিশে লালা'র দাগ লেগে থাকে স্পষ্ট দেখেছি। সারদিন উপোস ক'রে বিপদতারিনী মা'র তাগা বাঁধতে গেলাম, কিছুতেই পরলো না, কপালে ঠেকিয়ে ঠাকুরের ঘটে'র পাশে রাখা ছাড়া উপায় কী !
বুবান আর মা কেউই জানেনা এ সংসারে হাজার হাজার বুবান স্রেফ চোখ বন্ধ ক'রে জেগে থাকে একটু নিজস্ব জায়গার জন্য, লক্ষ লক্ষ মা'ও বিপদতারিনী'র ডোর বাঁধতে চায় একই কারণে।
2 Comments
অনেক না-বলা কথারা নিঃশব্দে মুখরিত হয়ে অণুগল্পটিকে বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
উত্তরমুছুনঅনেক না-বলা কথারা নিঃশব্দে মুখরিত হয়ে অণুগল্পটিকে এক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
উত্তরমুছুন--------পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।