নাসিম বুলবুলের কবিতা



আস্তরণের ঘুমবাসর

১.

বিষণ্ণতার আমন্ত্রণ হোক বা অন্ধ রাত্রির নৈবেদ্য
অথবা পালকলাগানো ঘুমবাসরের প্রিয় ঘুম,
সবটাই জটাজটিল ছেড়ে দুয়ার খুলে দাঁড়ায়
ঘুমিয়ে পড় বলে চুপি প্ররোচনায়,
কেন যে এই বাঁধা দিনেরা ঝিমোয়,অজানা...

২.

সর্বময় রাত্রিযাপন এখন ক্লান্তির কফিন
ছায়াস্তৃত শুধু একখানা মুখ দুরন্ত চোখে,
বারংবার অকৃপণ আকাশ হয়ে গোপনে ডাকে...
বিদ্যুত্ বাসরে মায়া ভিজে ভিজে হার মানে,
পরিপূর্ণ মুখে যে ক্ষীণায়ু ভালোলাগাটা কষ্ট ভুলে ছিল
বিষণ্ণতার মুক্ত লেখক সেখানে শব্দজাল খুলে
জানু পেতে নিজের হাতে ভিক্ষা করতে ভালোবাসে!

৩.

মনুমেন্ট স্লোগানে আবহমান হল্লা পাশে সরিয়ে
যেখানে দুপুরগুলো সুপুরি রঙে ঢাকা,
ইমানহীন বিজ্ঞাপনে চোখের কোনে মর্মবেলায়
এতিমের মতো যাওয়া আসার ছন্দ তাতে নেই
পক্ষাঘাতের ভিতরে ভিতরে গরিমা জমে গ্যাছে,
ঘুম দিয়ে না হয় সে দাহ ঢেকে নেওয়া হোক।

৪.

শরীর ঘেঁসড়েও আশ্রয়টুকুর জানবার কথা না
দশচক্রে বিগ্রহ যদি জন্মঠোঁট ছুঁয়ে,
পাথরে পাথরে খোদাই করে নিজের বিরুদ্ধে বলে
একদিন বিষণ্ণতা এসে দাঁড়ায় ভুল মানুষের ভাগ্যে
আসলে আচ্ছন্নতা আলো আঁধারের অসংলাপ,
এককথায় বলা যায় আপন মজ্জার ভিতর সমুদ্রভূক!

৫.

মৃতের চোখ ভরে দীর্ঘতম শেষ কথার আদলে
হেরিটেজ ট্রামের মতো ধ্বংসমুখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
হলুদডোবানো নিরর্থের অলীক হাতে
কাতরতা ভেঙে,আয় ঘুম আয় বলে
আমরা কিন্তু ইতিমধ্যেই কত কলা শিখে নিয়েছি
আর যেটুকু বাকি থাকে,সময়ের হাতে থাক না,
আজ না হয় বিষণ্ণতা ও প্রিয় ঘুম নিয়েই কাটুক!

কবি নাসিম বুলবুল
সুলতানপুর, মিনাখাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা 


















0 Comments