বাউন্ডারি
একবার জলের দিকে তাকাও
একবার আকাশে
একদিকে রক্তপাতের পর রক্তপাত
অন্যদিকে সবুজ ঘাসফড়িং
বল গড়িয়ে যাচ্ছে
ডিপ ফাইন লেগের দিকে
বাউন্ডারি আটকায় সাধ্য
কার আছে ?
কবিতা
কবিতা তোমাকে খাওয়ায়
চান করায় শয়ান দেয়
কবিতা তোমার বন্ধু
সপ্তলোকবাসী সিন্ধু
একদিন ভালবেসে ঘরে দিয়েছিলে ঠাঁঁই
কে কার পিছনে কাঠি
কার কাঁচি কোথায় সরব
অপরিণামদর্শী,এসেছিল ন্যাকামি ছাড়াই
এরকম কেন হয় !
অ কবি, ভ কবি হে আপামর কবিকূল
সত্যিই তো এরকম কেন হয় ?
এটাই তো আপনাদের প্রশ্ন
ধূসর স্মৃতির মতো, পরকীয়া প্রেমের মতো
নন্দন সদনে কবি সভা
পথভ্রষ্ট উদাসীন চক্রাকারে অযথা মুখর
টেবিলে টেবিলে কাধে ঝোলা পাজামা পাঞ্জাবী
পার্থক্য ভুলে যায় নির্জনে ও ভিড়ে
এরকম কেন হয়!
এটাই তো আপনাদের প্রশ্ন
কবিতার ক টিও না জেনে
নি:শব্দে আকাশে কেন সময়ের ফেনা
ভেবেছো কি পাঠক বুঝি কিছুই বুঝবে না
তবু তুমি চেষ্টা ছাড়োনি
আমি জানি
এতসবের পরে ও কবিতা তোমাকে খাওয়ায়
চান করায় শয়ান দেয়
কবিতাই তোমার অপূরণীয় দারুপুষ্করিণী
যাকে বলে সাফল্য
আমার টাইম লাইন যুক্ত হল এইমাত্র
তোমার ঘুমন্ত শরীরের সঙ্গে
সম্পর্কের ফাঁস আপ্যায়ন আর চক্রান্ত আমাদের
দূরে সরিয়ে রেখে ছিল এতদিন
ডিপ ফাইন লেগের দিকে ঠেলে দিয়েছিল
এতদিন আমরা শুধু পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থেকেছি বোমাবুলেটের নীচে
রেডক্রসের সাহায্য গাড়ির আড়ালে
আজ কেমন সব ওলটপালট
আজ কেমন হালকা হয়ে গেছে শরীর
আজ সারাক্ষণ মঞ্জরী মঞ্জরী বলে
হেদিয়ে মরছি, পেরিয়ে যাচ্ছি ছোট ছোট বাড়ি
একতলা পাড়া, তারা ঢাকা মেঘ
আজ ফের আবার ডিকশনারিকে ডিকশনারি
বলতে ইচ্ছে করছে, কৌটো শব্দটির কথা
এমনকি কিংবদন্তি শব্দটি, বিশেষ করে সীমার
মাঝে অসীম বললেই রাবীন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে
আজকের কথাই তো হচ্ছিল
ছোট ছোট মেয়েরা আমার পা ছুঁয়ে যেই না
প্রণাম করতে এসেছিল অমনি আমার নিষ্কাম
শরীর জাম্প দিয়ে দু পা পিছিয়ে গেল কী আশ্চর্য তুমিই না বলেছিলে রিফ্লেক্স আ্যকসান।
বিশ্বাস করবে কীনা জানি না
আমি যতবার বলছি মা আমি মাখন খাই নি,
চুরির কথা ছেড়েই দাও আজ আমার সেই দিন যাকে বলে সাফল্য...
কবি হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
মালঞ্চ , দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান
0 Comments