
প্রিয় মনমরা, প্রিয় স্লিপিং পিল
জোনাকির মতো একটি বিষণ্ণতা আছে। সব সময় জ্বলে, নেভে। জ্বলে উঠলে পূর্ব দিক ভালো আর নিভলে পশ্চিম দিক। পশ্চিম মানেই একটা মনমরা আলোর মঞ্চ যেখানে কালো মেঘের হাতছানি ভীষণ রহস্যময়, মায়াজালের অভূতপূর্ব ঠিকানা, অতল গভীরে ডুবে যাওয়ার ঠান্ডা ইথার। সেই বিষণ্ণতার শিকড় আছে যা মাকড়সার জাল। সেখানে প্রিয় অনুভূতির হতচকিত, দিকভ্রান্ত উপাদানগুলি এক উপমাহীন রাত্রির রগরগে অভিমান নিয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছে বিন্দুবৎ ঝুলে থাকে। আচ্ছা বিষণ্ণতা কি উড়ালপুল? যার দু-দিকের ঢাল বেয়ে নামতে শুরু করলে মনে গন্তব্যের প্রশ্ন নিয়ে সংশয় জাগে। তখন স্নায়বিক উত্তেজনা নিস্তারের দর্শন খুঁজতে বের হয়। হাঁপিয়ে যখন দাঁড়ায়, দেখে পুরোটাই নো ম্যানস ল্যান্ড! সেখানে হাত ধরার গল্প রূপকথা, নিজের সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গি কবিতার দুর্বোধ্যতা।
মনে পড়ে রেলগাড়ির ওগরানো কালো ধোঁয়া কেটে একটি কাক উড়ে গিয়েছিল। সেই ধোঁয়া রেলগাড়ির ঘুসঘুসে বিষণ্ণতা যা বাস্তবে অসংখ্য যাত্রীর অপ্রয়োজনীয় আপশোস আর কালো কাক প্রকৃতির বিষণ্ণতা যার গায়ে হেলান দিলে মন অতিকষ্টে ভাবে আলগা পিরিত পশ্চিম দিকের বেলগাছ, রাজ্যপাঠ আনবে সংসারে। কোনো চোখের নিচে বলিরেখা, সেও কি বিষণ্ণতার স্ট্রেচমার্ক, কোনো হারানো যৌবনের পেজমার্ক! এই বিষণ্ণতা কত ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বেসমেন্ট হয়ে ক্যাপিটালিজমের পরিধি বাড়িয়ে তোলে, যাকে প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে অস্বীকার করতে গিয়ে আসে ক্লান্তি, আসে প্রিয় ঘুম।
ঘুমের তীব্রতা বাড়াতে স্লিপিং পিল দশমহাবিদ্যার রূপ নিয়ে হাজির হয়, যেন সে-ই মোক্ষদাত্রী। সমস্ত দুঃস্বপ্ন দূরে রাখতে বালিশের ভিতর তিনটে এলাচ, তিনটে লবঙ্গ আর একটি পাঁচ টাকার কয়েন রেখে লালাসিক্ত বালিশের পাকস্থলীতে রোদের পুরিয়া ঢুকিয়ে দিতে হয়। সেই স্থবির ঘুম ব্লাইন্ড লেন, ডেড এন্ড, যেন অন্তহীন লক ডাউন, সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন! ঘুমের ভিতর কত সৌরবছর ধূলিসাৎ হয়ে যায়। তবুও জাগরণের স্যানিটাইজার পাওয়া মুশকিল নয়, সময় নষ্ট করার অজুহাত বটে। অন্যদিকে সেই ঘুম রোলার কোস্টারও নয় যে এদিক-সেদিক নড়বে। বাইরের থেকে যারা দেখবে তারা যেন বলতে পারে, এই তো প্রিয় শবের অভিনয়, বার্নিং ঘাট নয়, বার্নিং এগজাম্পিল। যেন পোড়-খাওয়া পরিচালকের ক্ল্যাসিফায়েড ডকুমেন্ট। যেন স্টার্লিং আইসবার্গ, হাত দিলে শীতলতার ফিলিংস মাইনাস টু হানড্রেড সেভেনটি থ্রি, পরমশূন্য উষ্ণতা। এই পরমের কালো বিষণ্ণতা দেবী কালি, প্রিয় ঘুম শিব! যেন অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট ...
মনে পড়ে রেলগাড়ির ওগরানো কালো ধোঁয়া কেটে একটি কাক উড়ে গিয়েছিল। সেই ধোঁয়া রেলগাড়ির ঘুসঘুসে বিষণ্ণতা যা বাস্তবে অসংখ্য যাত্রীর অপ্রয়োজনীয় আপশোস আর কালো কাক প্রকৃতির বিষণ্ণতা যার গায়ে হেলান দিলে মন অতিকষ্টে ভাবে আলগা পিরিত পশ্চিম দিকের বেলগাছ, রাজ্যপাঠ আনবে সংসারে। কোনো চোখের নিচে বলিরেখা, সেও কি বিষণ্ণতার স্ট্রেচমার্ক, কোনো হারানো যৌবনের পেজমার্ক! এই বিষণ্ণতা কত ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বেসমেন্ট হয়ে ক্যাপিটালিজমের পরিধি বাড়িয়ে তোলে, যাকে প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে অস্বীকার করতে গিয়ে আসে ক্লান্তি, আসে প্রিয় ঘুম।
ঘুমের তীব্রতা বাড়াতে স্লিপিং পিল দশমহাবিদ্যার রূপ নিয়ে হাজির হয়, যেন সে-ই মোক্ষদাত্রী। সমস্ত দুঃস্বপ্ন দূরে রাখতে বালিশের ভিতর তিনটে এলাচ, তিনটে লবঙ্গ আর একটি পাঁচ টাকার কয়েন রেখে লালাসিক্ত বালিশের পাকস্থলীতে রোদের পুরিয়া ঢুকিয়ে দিতে হয়। সেই স্থবির ঘুম ব্লাইন্ড লেন, ডেড এন্ড, যেন অন্তহীন লক ডাউন, সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন! ঘুমের ভিতর কত সৌরবছর ধূলিসাৎ হয়ে যায়। তবুও জাগরণের স্যানিটাইজার পাওয়া মুশকিল নয়, সময় নষ্ট করার অজুহাত বটে। অন্যদিকে সেই ঘুম রোলার কোস্টারও নয় যে এদিক-সেদিক নড়বে। বাইরের থেকে যারা দেখবে তারা যেন বলতে পারে, এই তো প্রিয় শবের অভিনয়, বার্নিং ঘাট নয়, বার্নিং এগজাম্পিল। যেন পোড়-খাওয়া পরিচালকের ক্ল্যাসিফায়েড ডকুমেন্ট। যেন স্টার্লিং আইসবার্গ, হাত দিলে শীতলতার ফিলিংস মাইনাস টু হানড্রেড সেভেনটি থ্রি, পরমশূন্য উষ্ণতা। এই পরমের কালো বিষণ্ণতা দেবী কালি, প্রিয় ঘুম শিব! যেন অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট ...
0 Comments