হৃদস্পন্দন

  • Home


  • Download

  • Social

  • Feature


অনন্য বিশ্বপথিক অলোকরঞ্জন

কবি অলোকরঞ্জনের কবিতার ভাষা চিরকাল ক্ষুধা,  তৃষ্ণা, রোদবৃষ্টি, স্বপ্ন ও ভালোবাসায় পুষ্ট

অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত  বাংলা আধুনিক কবিতার আলো অন্ধকার আয়ুু ...এক অলৌকিকযান...
কবিতা কি বা কবিতা কেন,কবিতা দুর্বোধ্য 
হবে না সহজবোধ্য হবে, এসব তর্কে না গিয়ে বরং কবিতার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ান যাক...

...এখন লিখতে গেলে সমগ্র স্নায়ুতরঙ্গ কাঁপে /
এখন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে মনে হয় /
তার দিকে ত্রুটি ছিল.../আর তাই ,/এসব বলতে চাই,  বলা হয় না ,/তবুও আমার /বকুলপিসির সঙ্গে বচসা,  মথুরা প্যাসেঞ্জারে ...

কী অদ্ভুত এই ঐশ্বর্যমন্ডিত কবিতাটি যা এক আত্মীয়তার সম্পর্ক রচনা করে অতি সহজেই !
এই বকুলপিসিকে আমরা চিনি ,তার ছেলেরা 
প্রতিষ্ঠিত,তাই তারা বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকে অন্যত্র,ফ্ল্যাটবাড়িতে ...বকুলপিসি একা থাকে
তার একটাই সাধ অন্তত একবার মথুরা বন্দাবন তীর্থ করে আসা,একবার মুখ ফসকে বলেওছে সে কথা আমাকে...কবিতার এই আমি হলাম তার পড়শি... আমিতো সেররম কিছু করি না।  
সকালে দুটো টিউশ্যনি ,বিকেলে ক্লাব ,অফুরন্ত সময় ! যাই না ,একবার বকুল পিসিকে তীর্থ করিয়ে আনি, কবিরা কত কিছু জানেন ...
এই সামাজিক ঘটনাটুকুও তার চোখ এড়ালো না...
এই কবি এখন থাকেন জার্মানে,কিন্তু  বাংলা ভাষায়  লেখা তার কবিতাগুলিকে আমরা কি ফেলতে পারব কখনো ...

...মাকে আমি আজ হাত ধরে ধরে এ পথ করাবো পার, /মা আজ আমার শিশু,/সতর্কহাতে ঢাকি দুএকটি রুপালি চুলের গুছি/
আপাতত এই ক্ষুধিত পথের ক্ষুরধার চক্রান্ত /কাম ক্রোধ মোহ মোহান্ত ব্যবসায়ী /পার হয়ে যাই /মা কিছু জানে না ,/মা আজ আমার শিশু.../....

এত নিঁখুত বর্ণনা ,শ্বাসরূদ্ধ হয়ে আসে।এই সব কবিতা সামনে এলে সত্যি বাংলা কবিতার ঐশ্বর্য বলতে উদাহরণস্বরূপ উল্লেখিত করার মহিমা বর্তায়...মায়া ভালবাসা সম্পর্কের যে ছবি পূর্বতন কবিরা এঁকে গেছেন তাকেই সমর্থন করে...মা আজ আমার শিশু...

কিন্তু এ কথাও তো ঠিক যদিএই বিশ্ব না থাকতো,তাহলে?তাহলে কোথায় থাকতো এই সম্পর্কের বিশ্বাস? ছিল এবং নেই,হয়তো ঠিককথা আবার আছেও তো,...পঞ্চাশেরই এক কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন সেকথা :ছিল,নেই -মাত্র এই আট মাত্রায় ধরা চারটি শব্দ জীবনের সবকিছু যেন বলে দিল ...

এ প্রসঙ্গে অলোকরঞ্জনের যুক্তি নামে একটি কবিতার কিছু অংশ উল্লেখযোগ্য:

...স্টেশন মাস্টার,আপনি দয়া করে এই /
লোকটিকে ছেড়ে দিন,বুড়ো লোকটার/ ত্রিসংসারে কেউ নেই .../
একজন আছে বটে ,দূর সম্পর্কের ,সেও টিকিটবিহীন /খুড়ো বলে ডাকা সেই সৌদসের ছোট্ট ছেলেটা ,/খুড়ো  বলে কেন ডাকে ঈশ্বর জানেন ! খুব ক্ষীণ ,

আরো একজন আছে ,হয়তো দূরতর সম্পর্কের,/
অথচ আত্মীয় ওর,আমি সেইজন ...

এমন  চিরন্তন জাগ্রত করার কবিতা এর আগে কোথাও পেয়েছি কি আমরা ?

সুনীল গাঙ্গুলি তার এক কবিতাতে লিখেছিলেন:
রৌদ্রে এসে দাঁড়িয়েছে রৌদ্রের প্রতিমা/
এ যেন আলোরই শস্য ,দুপুরের অস্থির কুহক...

এমন এক অবিনাশী শব্দমালা ,চাপা বেদনাবোধ  এবং সর্বোপরি সঠিক ছন্দে গ্রোথিত পঞ্চাশের কবিরা,প্রোথিত করেছে এবং সম্পূর্ন করেছে বাংলা আধুনিক কবিতার পাঠ...
অলোকরঞ্জনের ফাইন আর্ট সুকুমার চিত্রকল্পের জাগরণ ঘটায় !
কবিতা হয়ে ওঠে জীবনের মুক্ত সংগীত যেন ...
এই সব কবিতা আজকের তরুণ কবিদের কাছে এক একটি মাইলস্টোন ,এই অল্প পরিসরে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তকে ধরা খুব কঠিন...নিশ্চয়ই একদিন সুযোগ পাবো তার রচনার পূর্নাঙ্গ আলোচনার...
জয় হোক বাংলা কবিতার  ।তবুুও 
যেতে যেতে কবির রচিত কিছু অসামান্য
ঐশ্বর্য না বলে গেলে পাঠকদের মধ্যে পাঠের অতৃপ্তি থেকে যাবে।

১. মাকে বলতে সংকোচ নেই, দিন ফুরোলে আমি/তোমার কাছে গিয়ে গিয়েছিলাম, তোমার পায়ে মুখ/রেখে অগাধ শান্তি পেয়েছিলাম/ভ্রূকুটিহীন সন্ধ্যাতারা উঠল যখন/নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উঠে অর্পিত দেহের/ দ্বায়িত্ব যে নিয়েছিলাম, সেসব কথা মাকে/বলতে বলতে
পাগল হয়ে যাবো....

সত‍্য /// অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

ঋজু টান টান এই কবিতায় আমরা দেখতে 
পাই আবহমান সম্পর্কের কথা।আমাদের সামাজিক জীবন, আমাদের প‍রিবার,সংসার ভাঙচুর হতে হতে  শেষ পর্যন্ত কোনো না কোনো সম্পর্কে এসে ঠেকে।মাকে তো সমস্ত কিছু বলা যায়।মা শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই অধিকার।
বলা যায়, কিন্তু সত্যিই কি সবকিছু বলা যায়।
প্রেম ভালোবাসার চিরগোপন,চিরজটিল কথা?
এখানে এই ভ্রূকুটিহীন সন্ধ্যাতারা র ব‍্যবহার চমৎকার।আর ঠিক এই কারণেই কখনও কখনও মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে,বিশ্বপথিক কবি অলোকরঞ্জনের কবিতার মূল ভরকেন্দ্রটি কিন্তু লুকিয়ে আছে এই মনকেমনে,এই বাঙালিআনায়।

২.ও শিশুমহিলা ,আমি এ পার্কে তোমায় প্রতিদিন ই দেখেছি আমার ভাই পিন্টুর সঙ্গে,ক্রীড়নক আমারও  হৃদয় যেন তোমার দুখানি হাতে, ঋণী/তোমার দিঠির কাছে।হালকা গোলাপি হলদে ফ্রক/লাল নীল রিবন আর সেলুলয়েডের কুরুবক/ব‍্যবহার করো তুমি।মাঝে মাঝে মিন্টু রুবি মিনি/খেলায় যোগ দেয়, তুমি বাধা দাও না,হাওয়ায় অলক/সূর্যকেও প্রভাবিত অপ্রতিভ করে, বিজয়িনী /তোমার প্রহরী এক পুরুষ দেখেছি/প্রৌঢ় তিনি।বাবা কিংবা মেজোকাকা--কীরকম সে অভিভাবক?/
হে শিশুমহিলা, তুমি কবে হবে পিন্টুর গৃহিণী?


শিশুমহল:অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত:যৌবন বাউল।

যৌবন বাউল এবং নিষিদ্ধ কোজাগরী
অলোকরঞ্জনের বিখ্যাত দুটি কাব্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য।
উপরোক্ত কবিতায় দিঠি শব্দের ব‍্যবহার উল্লেখযোগ্য।এমনকি কুরুবক শব্দটি, এবং কুরুবকের আগে সেলুলয়েডশব্দটিও প্রণিধানযোগ্য।
শেষ পর্যন্ত পিন্টুর গৃহিনী হওয়ার আহ্বানে
অদ্ভুত এক সুন্দর স্নেহ স্নিগ্ধ কৌতুকের অবতারণা ঘটেছে।পাঠক যেন শেষ পর্যন্ত
শিশুমহলে যোগ দিতে বাধ্য হয়।একজন বড়ো মাপের কবির এটাই হল ইউ এস পি।

কবি হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
   মালঞ্চ , দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান

*ছবি- গুগল 

















রোজানা

আমি রোজ দেখি।
রোজ দেখতে তোমার মত কোথায়!

কেমন নিস্পন্দিত, নিস্পলক চাউনি রোজকার রোজটার!
প্রশ্ন করে কেন চেয়ে থাক রোজ রোজ রোজের আশায়।

তবে রোজকার দিকে তাকিয়ে থাকতে মন্দ লাগে না! 
ইদানীং মেঘাত্যয় রোজের গভীরেও যত্নে লালিত রোজকার যত্নশীলা জলের গুঁড়ো দেখতে পাই।

'তুমি আগে বাড়ি,এস,তারপর খাব,'কিংবা 'ঠান্ডা লাগিও না,'খুঁজে পাই আজও রোজ।ফেলে আসা রোজ মেঘের চেয়েও ভারিক্কে।

আজ,যে রোজ,সেই রোজ পূর্ণিমাতিথির।সাদা আলো ছেয়ে আছে হয়ত!

সে আলো আসেনি কাছ অব্দি!
ঈষৎ আঁধারে দাঁড়িয়ে আছি।

সাহস করে অনেকটা মরু উপত্যকা পেরিয়ে যে রোজ পাব,সে রোজ তোমার।
যেখানে আলো হয়ে থাকে রোজানা!

শৌভিক চ্যাটার্জী 
কালনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ


















ছিপ
সময়ের তীব্রতায় আত্মতুষ্টি ও মারণব্যাধি!
টগবগে নদী, লাস্যময়ী রুপ
মাছেদের উন্মাদনা, নেশা বিভোর নৃত্য 
সারি সারি বক, মাছরাঙা
বঁড়শির ফাঁদ পেতে প্রহরগুনে।

নতুন স্রোতের পূণ্যস্নানে
ভাঙতে থাকে বংশ, পরিচয়, স্তম্ভ
দিশাহীন তবু, আত্মভোলা খেলায় মত্ত
ছিপের ডগায় লাফিয়ে দেখে
পৃথিবীটা ভীষণ বিষাক্ত ! 

চোখের জল

হৃদয় ফেটে চৌচির হলে
লাভা হয়ে অশ্রু ঝরে 
নীরব যন্ত্রণার জলোচ্ছ্বাস
বুক ভাসিয়ে দুকূল ভাসায় ;
আর তুমি নৌকা বিহারে 
জোছনার প্রেমে উন্মত্ত হয়ে
কৃষ্ণের বাঁশি বাজাও; 
নোনাজল মিশতে থাকে ক্রমশ
নদী ছাড়িয়ে সাগর মহাসাগরে
অজানা গন্তব্যস্থল,শূন্য সীমানা  
চোখের জলে জোছনার ঝিলিক 
সবকিছু মায়া মায়া লাগে!  

কবি মুহাম্মদ ইসমাইল
ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ   







  






ফিরে এস

কতদিন হল চলে গেছ,ফিরে এস প্লাবনের মত
একাকী বাউল দেখ হারিয়েছে পথ
বাঁকা পথ এলোমেলো 
কত গ্রাম কত শহরের শেষে 
ঘুমিয়ে পড়েছে ওই পথের ওপাশে।
আলতো আদরে তাকে দেখাও নিশান
আবার উঠুক জেগে, বাজুক সে গান

কতদিন হল চলে গেছ,ফিরে এস প্লাবনের মত

পুরুষ স্তনের মত নিতান্ত নিস্ফলা
এজীবনে এনে দাও সপুষ্পক স্মৃতি।
আমাকে নরম শান্তি দাও নারী, ধীরে খুব ধীরে
আমাকে শেখাও তুমি পরিমিতবোধ।
একাকী গাছকে তুমি শেখাও কিভাবে
স্পন্দন ঘর্ষণ শেষে উত্তেজনা পরিতৃপ্ত হয়।
সমুদ্রের মত নারী বহুধা বিস্তৃত,
নারী শুধু নদী নয়।

মহাজাগতিক যাযাবর

আলোকবর্ষ পেরিয়ে উড়ে চলেছি 
আলোর চেয়েও জোরে

অনেক দূরে পড়ে রয়েছে 
ছোট্ট পৃথিবী আর বিবাদমান ধর্মগ্রন্থগুলো

পৃথিবীর সব ছেঁদো আইনের বই থেকে
খসে পড়ছে এক একটা পাতা

জাতপাত ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে
সাদা কালো বলে আর কিছু নেই

সময়কে পাত্তা দিচ্ছি না
মুখ ভেংচে এলাম গ্রাভিটিকে

সামনে একটা রেড জায়েন্ট তারা
জিরিয়ে নিচ্ছি হীরের তৈরি একটি প্রাচীন গ্রহে

হঠাৎ মনে পড়ল মাটির পৃথিবীর স্মৃতি  
সবুজ গ্রামের মত তোমার নরম মুখ
টিনের চালে সেই রাতভোর বৃষ্টি

কবি সুদীপ্ত বিশ্বাস
রানাঘাট, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ 





















পাশপোর্ট

ভাঙনের সূত্র মেনে হৃদয় ভেঙে পড়ে
জীবনের প্রতিটি পাতায় লেখা হয় ভুলের কবিতা
পৃথিবী রঙের দুঃখ দিয়ে আমরা সাজাই বাসর
চাঁদের করুণ আলোয় ভেসে যায় সম্মোহনী রাজ‍্যপাঠ

অসহায় সাঁতার কাটছি মরুভূমির মাঠে
নগ্ন দুঃখ গুলো কপালে তিলক এঁকে দিব‍্যি গাইছে রামধুন গান
ধর্ম বাবারা সম্ভ্রম খোয়ানোর দীক্ষা দিচ্ছে প্রতিদিন
রুক্ষ শহর খালিপেটে ছুটছে নিছক প্রসাদ পাওয়ার আশায়
হাহাকারের বাজনা বাজছে ভোরের উপত্যকায়

ঠিকানা হারিয়ে যায়
দলে দলে জড়ো হয় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে
তিলক আঁকি কপালে
মোক্ষ লাভের  অলীক ঈশ্বর পাসপোর্ট দেয় 
জর্জরিত আবেগ নিয়ে হেঁটে চলেছি
রক্তশূন্য আত্মারা বিষন্ন পোশাকে ঢেকে দিচ্ছে শরীর

দীর্ঘ মরণ চেটে নিচ্ছে জীবনের ঘ্রাণ
ভাঙনের সূত্র মেনে ই হৃদয় ভাঙ্গার অঙ্ক শিখছি প্রতি দিন।

অসহায় ছুটে চলেছে

আমরা বেঁচে আছি
নির্বাক অভিনয় করে চলেছি প্রতিদিন

মাঠে রাখালেরা বাঁশি বাজায় না এখন
সময় নেই
ইউটিউব কেড়ে নিচ্ছে সময়
হয়তো বা গরু চরানোর  মাঠ নেই
ইতিউতি কিছু ভ্রান্ত কাক কা কা করছে তার খুঁটির মাথায়

বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার শুষে নিচ্ছে ভারতবর্ষের চাঁদ
অসম্ভব কষ্ট পাওয়া দিন গুজরান হয়
কিশোরী আগুন দাউদাউ করে জ্বলে

প্রেমের উৎস মুখে জলসাপের আনাগোনা
জল ছুঁই ছুঁই আত্মহত‍্যা

ছায়ারা হেঁটে চলে

আর পাঁচটা লোকের মতো মনখারাপ দানা বাঁধে
সভ‍্যতার অকাল বৃষ্টি ধুয়ে দেয় পরজন্মের সকাল
মাথা গরম করা সূর্য ওঠে প্রতিদিন
শূন্য বোধের মাঠে শকুনেরা মাতে উল্লাসে টপ আনাগোনা

বেঁচে আছি অথবা মরে গেছি বলতে ভয় হয়
করোনা সন্দেহে ছূঁয়েও দেখবেনা কেউ
বিষ্ময়ের দরজায়  গর্জে ওঠে অপমান
রক্তের ক্ষরণ চলে ধর্মের গুঁতোয়

বিপন্ন সময়
মানবতা মৃত্যু পথে ধাবমান
পুঞ্জীভূত হতাশার ঘটে পরাগমিলন
অসহায় ছুটে যায় নির্ঘুম ছায়া পথের হাত ধরে

কবি আবদুস সালাম
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ










নিঃস্বতা

মুঠো টা খুলে গেছে হাওয়ায় 
আমি ঘর ছাড়ার জন্য প্রস্তত হচ্ছি 
কেউ খুঁজে চলেছে ঘর 

কারও জন্য পৃথিবীটাই একটি বাড়ি 

এবার শরীরটি অর্ধস্বচ্ছ হচ্ছে 
যোগীবাদ ছেড়ে দেখো মিলিয়ে যাচ্ছি পৃথিবীতে 
অর্ন্তদৃষ্টি ধুয়ে যাক গরম রক্তে 

চোখ খোলো মানুষ একপশলা কেঁদে নিয়ে 

 কবি প্রসাদ সিং 
মারাইখুন্তি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ 

















বিষধর

মনের অভিসারে চলা পথে,
কিছু শ্যাওলা আর ছত্রাক বীজ বুনেছে। 
স্যাঁতস্যাঁতে একটা ভিজে গন্ধে ভরে গেছে রক্তঘর। 
অলিন্দের ঘন কুয়াশায় হারাচ্ছি পথ,
চোখ জ্বেলে চলতে চলতে বিরামহীন এক রাত্রি চলমান। 
ধমনীর অলিতে গলিতে চুঁইয়ে পড়ছে চর্বি। 
অভিসারের থেকে জন্মানো অপ্রত্যাশিত চর্বি। 
পথ হারানোরও নেই অবকাশ,
সামনে গোটা শরীরে বয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ। 
বইব তিরতির করে সমস্ত অঙ্গে,ছড়িয়ে দেব বিষ। 
বয়ে নিয়ে যাবো আজ সেই বিষ,
যে বিষ খেতে একসময় ভুলে যেতাম রোজ। 

কবি অর্পিতা আদক
 বাঙালপাড়া ২য় বাইলেন, নবান্ন, হাওড়া 


 








*প্রচ্ছদ শিল্পী- তানিয়া ইসলাম 

সম্পাদকীয়:

সব হারানোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো পাওয়ার গল্প। অনেকটা ঠিক,সময়ের কাঁধে চড়ে দুঃখ পেরোতে চাওয়ার মত।আসলে প্রতিটি উৎসবই প্রাণের কথা বলে,বেঁচে থাকার গল্প শোনায়।  

করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা যখন একটু একটু করে আনন্দ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ঠিক তখনই বেজে উঠেছে উৎসবের নির্ঘণ্ট। 
এ ব্যাপারে বলে রাখা ভাল,উৎসব বলতে বাঙালী মাত্রই দুর্গাপুজা কেই বোঝে।দক্ষিণী দের কাছে যেমন পোঙ্গল আর মারাঠি দের কাছে গণেশ পুজো, আমাদের কাছে তেমনই শারদ উৎসব। 

তাই পুজো মানেই নস্টালজিয়া। ছেঁড়া ছেঁড়া স্মৃতির মালা গেঁথে দুঃখ ভুলে থাকা। পুজোর সেই আনন্দ ও বয়সের সাথে সাথে সাথে বদলে যায়। আর সেটাই স্বাভাবিক। তবু শুকতারা,চাঁদমামা আঁকড়ে বড় হয়ে ওঠা প্রজন্ম ও জানে পুজো প্রেম, শপিং,ঘোরা আসলে তাদের নস্টালজিয়ার ই এক্সটেনশন পার্ট । 

কবিগুরু তো সেই কবেই বলে গেছেন, 
"প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দিন একাকী কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ,সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ,সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ।” দুর্গাপুজো তাই বাঙালীর আবেগের আরেক নাম। সিনেমা,সাহিত্যে বার বার উঠে এসেছে তাই শারদ উৎসব প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে বলতে গেলে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'উমা' সিনেমাটির কথা প্রথমেই মনে আসে। ক্যান্সার আক্রান্ত একটি মেয়ের ইচ্ছেপূরনের গল্প হয়েও সিনেমাটি আসলে বেঁচে থাকারই গল্প বলে। 

হিন্দু শাস্ত্রে দুর্গা শব্দটি ব্যাখায় বলা হয়েছে 
“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
অর্থাৎ দৈত্য, বিঘ্ন,রোগ,পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন,তিনিই দুর্গা।" দুর্গা তবু দেবী হয়েও আমাদের মানসপটে বাড়ির একজন মেয়ে হয়ে ওঠে যে বহুদিন পর তার সন্তান দের নিয়ে বাবার বাড়ীতে ফেরে। এই প্রসঙ্গে অনেক আগমনী ও বিজয়া গান তৎকালীন বঙ্গদেশে বহুল প্রচলিত ছিল।  

কথিত আছে তাহেরপুরের রাজা কংশনারায়ন বা নদীয়ার ভবানন্দ মজুমদার বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজোর প্রচলন  করেন। লোককথা মতে পারিবারিক দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন দিনাজপুর- মালদার জমিদারেরা। সেই আদি দুর্গার চোখ ছিল গোলাকার ও উজ্জ্বল এবং দেবী সাদা বাঘ ও সবুজ সিংহের উপর বিরাজ করতেন।

শোনা যায় ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর রাজা নবকৃষ্ণদেব লর্ড ক্লাইভের সন্মানে কলকাতার শোভা বাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। শিকাগো ধর্মসম্মেলনের পর স্বামী বিবেকানন্দ কে ওই বাড়ির নাটমন্দিরেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। 

তৎকালীন বাংলাদেশে জমিদারেরা দুর্গাপুজোর প্রভূত প্রসার করেছিলেন। সেই সময় শরৎকালে মাঠ ঘাট জলে পরিপূর্ণ থাকতো। তারই মধ্যে প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে দুর্গাপুজো হত।পশুবলি সেইসময় দুর্গাপুজোর সাথে আবশ্যিক ভাবে জড়িত ছিল। থিয়েটার,কীর্তন,যাত্রা প্রভৃতি অনুষ্ঠান পুজোর আনন্দকে সেই সময় আরো দ্বিগুণ করে তুলতো। 

নস্টালজিয়ায় ডুব দিতে দিতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে এবার আমাকেও থামতে হবে। আপনারা সবাই মেতে উঠুন শারদ আনন্দে তবে সতর্কতা বজায় রাখুন।  ভাল থাকুন সবাই । শুধু সঙ্গে রাখুন সাহিত্য আর হৃদয়ে রাখুন হৃদস্পন্দন। 

*তথ্যসূত্র: গুগল 



সূচিপত্র:


কবিতা লিখেছেন 

মুহম্মদ মতিউল্লাহ্ ॥ গোলাম রসুল ॥ তৈমুর খান ॥ অসিকার রহমান ॥ অনুপম দাশশর্মা ॥ অশোক অধিকারী ॥ হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ রবীন বসু ॥ সুধাংশুরঞ্জন সাহা ॥ জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ॥ প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ ॥ চন্দন মিত্র ॥ রুমা ঢ্যাং অধিকারী ॥ নিমাই জানা ॥ চিরঞ্জিৎ বৈরাগী ॥ ঋভু চট্টোপাধ্যায় ॥ শুভঙ্কর দাস ॥ অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ তুলসীদাস ভট্টাচার্য ॥ লক্ষণ দাস ঠাকুরা ॥ হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ অনুশ্রী যশ ॥ বর্ণজিৎ বর্মন ॥ তন্ময় ধর ॥  সাত্যকি ॥ সোমা ঘোষ ॥ সুদীপ ব্যানার্জী ॥ চিত্তরঞ্জন গিরি ॥ মোনালিসা নায়েক ॥ মোনালিসা পাহাড়ী ॥ নবনীতা সরকার ॥ সুমন সরকার ॥ বিকাশরঞ্জন হালদার ॥ কথিকা বসু ॥ অরূপ ॥ সমর সুর ॥ অক্ষয় কুমার সামন্ত ॥ সুমন্ত কুণ্ডু ॥ চন্দন সুরভি নন্দ ॥ মোহাম্মদ আকমল হোসেন ॥ সুকুমার হালদার ॥ সৌমিত্র শীল ॥ অমৃতা খেটো ॥ মীরা মুখোপাধ্যায় ॥ দেবব্রত রায় ॥ ইন্দ্রাণী পাল ॥ সব্যসাচী বাগ ॥ সূর্য দত্ত ॥ 

      অনুবাদ কবিতা: স্বপন নাগ


ছোটগল্প ও অণুগল্প লিখেছেন-

সিদ্ধার্থ সিংহ ॥ পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ সমাজ বসু ॥ শৈবাল মুখোপাধ্যায় ॥ সুমন সেন ॥ অদিতি ঘোষদস্তিদার ॥ দীপক বেরা ॥ সৌমী গুপ্ত ॥ উত্তম সিংহ ॥ সৌমী আচার্য্য ॥ শুক্লা মুখার্জি ॥ সোনালী জানা ॥ বিকাশ বর ॥ জয়তী ধর পাল ॥ সোমা কুশারী ॥ ডা: করণ দেবদ্যুতি ॥ মৌমিতা চক্রবর্তী ॥ উত্তম কুমার পুরকাইত ॥ পার্থ সারথি চক্রবর্তী ॥ দীপঙ্কর বেরা ॥ 

বড় গল্প: তপতী বাসু

উপন্যাস: ডা:নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়


মুক্তগদ্য লিখেছেন:

চমক মজুমদার ॥ সোমনাথ বেনিয়া ॥ অন্তরা দাঁ ॥ সায়ন ॥ শুভ্রাশ্রী মাইতি ॥ অনামিকা দে রায়চৌধুরী ॥ 

প্রবন্ধ : দেবব্রত মণ্ডল 

নিবন্ধ: সুজিত রেজ ॥ বারিদ বরন গুপ্ত ॥ 

ভ্রমণ ডায়েরি: মেঘনা রায় 

শ্রুতি নাটক: সুদীপ পাঠক 

ফিল্ম স্ক্রিপ্ট: অনিন্দ্য দত্ত 

চলচ্চিত্র সমালোচনা: অভিষেক ঘোষ 

স্মৃতি আলেখ্য: প্রবীর দে 

রম্য রচনা: সংগ্রামী লাহিড়ী ॥ নীতা বিশ্বাস ॥ দেবদাস কুণ্ডু ॥ সুষ্মিতা রায়চৌধুরী ॥ 






















































রাত্রি

রাত আরও গভীর নিকষ রাত্রি হয়ে উঠল
তুমি অপেক্ষায় থাক, ভোর এখনও অনেক দূরে

রাত্রি জমাট পাথর। কিভাবে ভাঙবে তাকে
রাত্রির ভেতরে রাত্রি।তোমার বসবাস ওষুধে ইনজেকশনে
একে তুমি অবকাশ ভাব
ইনসুলিনের সূঁচে দুলছে তোমার অবকাশ

তোমার হাতের ওপাশে বুদ্ধদেব বসুর গদ্যগ্রন্থগুলি
মাথার উপরে উঁকি দিচ্ছেন সার্ধশতবর্ষের রবীন্দ্রনাথ।..
তারুণ্যস্পৃষ্ট রকমারি কবিতার বই

মোমবাতির আলো তিরতির কাঁপে 
শবেবরাতের রাত পাহারা দিচ্ছে মুর্শিদ ফকির
তোমার লেখার টেবিল দুলছে শব্দে অক্ষরে স্বপ্নভাষায়

অবসান নয়, তুমি তাকে অবকাশ ভাব।..

কবি মুহম্মদ মতিউল্লাহ্
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ 





































তবু দিগন্তে ফোটে অলীকফুল

ভাদর থেকে আশ্বিনের শিউলি পথে যেতে যেতে 
চোখে পড়ে মানুষের শূন‍্যতা
চারদিকে কত ছোট ছোট দেয়াল, ছিন্ন আশার ছাই
উড়ছে বাতাসে
তার-ই মধ‍্যে মানুষের একক সন্তরণ যাঁর যাঁর
নিজস্ব অন্ধকারে 
এসব আদিগন্ত চর্যাপদ যা আবছা শ্বাসটুকু নিয়ে 
খুলে ফেলে অদৃশ্য জট
বুনোফুল ফোটে প্রাচীরের গায়ে 
নির্বিকার ব‍্যস্ততায় তখন পৃথিবীতে রোদ্দুর কিনছে
মহাজনেরা অক্লান্ত দাপটে।

তবু প্রতীক্ষা তবু অনাবিষ্কৃত গ্রহের খোঁজে আজও
পাখিদের উড়ানে মানুষ বিস্তার করে চিত্তকে।

কবি অনুপম দাশশর্মা
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত










নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • আগস্ট (3)
  • জুলাই (22)
  • জুন (8)
  • নভেম্বর (15)
  • অক্টোবর (5)
  • সেপ্টেম্বর (81)
  • আগস্ট (66)
  • জুলাই (55)
  • জুন (56)
  • মে (57)
  • এপ্রিল (46)
  • মার্চ (15)
  • জানুয়ারী (14)
  • ডিসেম্বর (73)
  • নভেম্বর (103)
  • অক্টোবর (97)
  • সেপ্টেম্বর (101)
  • আগস্ট (120)
  • জুলাই (88)
  • জুন (76)
  • মে (63)
  • এপ্রিল (11)

🔴বিজ্ঞপ্তি:

পাঁচ মাসের বিরতি কাটিয়ে আবার ও ফিরছি আমরা। খুব শীগ্রই আসছে আমাদের প্রত্যাবর্তন সংখ্যা।

অনুসরণ করুণ

এক মাসের সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলি:

  • শেষ শোকসংগীত ~ গোবিন্দ মোদকের কবিতা
  • দুটি কবিতায় ~ গৌতম কুমার গুপ্ত
  • ব্রাত্য ~ বিদ্যুৎ মিশ্র'র কবিতা
  • দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প
  • আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা
  • গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক
  • সুমিত রায়ের গল্প
  • সে প্রেম পবিত্র~ প্রেমাংশু শ্রাবণের কবিতা
  • সুব্রত মাইতির কবিতা
  • তিনটি কবিতায় ~ রাগীব আবিদ রাতুল

বিষয়সমূহ

  • Poetry speaks 2
  • অণু কথারা 21
  • আবার গল্পের দেশে 8
  • উৎসব সংখ্যা ১৪২৭ 90
  • একুশে কবিতা প্রতিযোগিতা ২০২১ 22
  • এবং নিবন্ধ 3
  • কবিতা যাপন 170
  • কবিতার দখিনা দুয়ার 35
  • কিশলয় সংখ্যা ১৪২৭ 67
  • খোলা চিঠিদের ডাকবাক্স 1
  • গল্পের দেশে 17
  • ছড়ার ভুবন 7
  • জমকালো রবিবার ২ 29
  • জমকালো রবিবার সংখ্যা ১ 21
  • জমকালো রবিবার ৩ 49
  • জমকালো রবিবার ৪ 56
  • জমকালো রবিবার ৫ 28
  • জমকালো রবিবার ৬ 38
  • দৈনিক কবিতা যাপন 19
  • দৈনিক গল্পের দেশে 2
  • দৈনিক প্রবন্ধমালা 1
  • ধারাবাহিক উপন্যাস 3
  • ধারাবাহিক স্মৃতি আলেখ্য 2
  • পোয়েট্রি স্পিকস 5
  • প্রতিদিনের সংখ্যা 218
  • প্রত্যাবর্তন সংখ্যা 33
  • প্রবন্ধমালা 8
  • বিশেষ ভ্রমণ সংখ্যা 10
  • বিশেষ সংখ্যা: আমার প্রিয় শিক্ষক 33
  • বিশেষ সংখ্যা: স্বাধীনতা ও যুবসমাজ 10
  • ভ্রমণ ডায়েরি 1
  • মুক্তগদ্যের কথামালা 5
  • রম্যরচনা 2
  • শীত সংখ্যা ~ ১৪২৭ 60

Advertisement

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

মোট পাঠক সংখ্যা

লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী:

১. শুধুমাত্র কবিতা, মুক্তগদ্য অথবা অণুগল্প পাঠাবেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ক লেখা সম্পূর্ণ আমন্ত্রিত। ২. লাইনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ৩. লেখা মেইল বডিতে টাইপ করে পাঠাবেন। ৪. লেখা মৌলিক ও অপ্রকাশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্য কোনো ব্লগ, ওয়েবজিন অথবা প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না। ৫. মেইলে আপনার লেখাটি সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত, কথাটি উল্লেখ করবেন। ৬. লেখার সাথে আবশ্যিক ভাবে এক কপি ছবি ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা পাঠাবেন।  ৭. লেখা নির্বাচিত হলে এক মাসের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না এলে লেখাটি অমনোনীত ধরে নিতে হবে। ৮. আপনার লেখাটি প্রকাশ পেলে তার লিঙ্ক শেয়ার করাটা আপনার আবশ্যিক কর্তব্য। আশাকরি কথাটি আপনারা মেনে চলবেন। আমাদের মেইল- hridspondonmag@gmail.com
blogger-disqus-facebook

শান্তনু শ্রেষ্ঠা, সম্পাদক

আমার ফটো
পূর্ব বর্ধমান, India
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

সাম্প্রতিক প্রশংসিত লেখা:

সুজিত রেজের কবিতা

সুজিত রেজের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন

© হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন। শান্তনু শ্রেষ্ঠা কর্তৃৃক পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে প্রকাশিত।

Designed by OddThemes | Distributed by Gooyaabi Templates