
গাছে জল দিও
গাছে জল দিও প্রতিদিন বৃষ্টি হয়নি কতকাল,শুষ্ক মাটি ফুটিফাটা ।
শিকড়ে জলহীন নিষ্প্রাণ হাহাকার
নীরস তপ্ত পৃথিবী ।
শিকড়ে জলহীন নিষ্প্রাণ হাহাকার
নীরস তপ্ত পৃথিবী ।
তোমার ঘরেও তো অসহনীয় খরা
গরম বালিতে পিঠ রেখে রাত্রিযাপন করছ কষ্টে ।
ছুটে ছুটে মরছ প্রতিদিন
লাস্ট ট্রেন ধরার উলঙ্গ তাগিতে ।
পিপাসায় ছাতি ফেটে হাপর টানছে
শ্বাসে জড়িয়ে ধরছে নিদারুণ শ্বাসকষ্ট
তবু জল পাচ্ছ না কোথাও ।
তোমার ঘরের দেওয়ালেও ফাটল বাড়ছে
শুকিয়ে মরছে শিকড়ের মাটি ।
ছুটে ছুটে মরছ প্রতিদিন
লাস্ট ট্রেন ধরার উলঙ্গ তাগিতে ।
পিপাসায় ছাতি ফেটে হাপর টানছে
শ্বাসে জড়িয়ে ধরছে নিদারুণ শ্বাসকষ্ট
তবু জল পাচ্ছ না কোথাও ।
তোমার ঘরের দেওয়ালেও ফাটল বাড়ছে
শুকিয়ে মরছে শিকড়ের মাটি ।
ওরাও তোমারই মতো পিপাসার্ত।
গাছে জল দিও প্রতিদিন, বাঁচিও নিজেকে !
বিশ্রাম নেওয়ার সময়
পৃথিবীর পাঁজর ভেঙে ভেঙে অনেক পথ পেরিয়ে অবশেষে নিজের কাছে ফিরে এসেছ তুমি।
আকণ্ঠ পিপাসা ছিল তোমার শুকনো গলায়
ছিল মিছিলের বুভুক্ষ ভিকারির মতো ক্ষিদে আর
পৃথিবীর সব সুখ আত্তীকরণ করে নেওয়ার উলঙ্গ চাহিদা ।
পৃথিবীর সব সুখ আত্তীকরণ করে নেওয়ার উলঙ্গ চাহিদা ।
এখান থেকে সেখান,ওদিক থেকে সেদিক
ছিটকে যেতে যেতে অবশেষে ফিরেছ নিজের কাছে ।
তুমি ক্লান্ত হৃদয়,এবার একটু বিশ্রাম নাও।
কবি সুমন্ত কুন্ডু
হরাদিত্য, আরামবাগ, হুগলি
হরাদিত্য, আরামবাগ, হুগলি
0 Comments