লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরার কবিতা


হে,মাঠের দেবতা!

য় !কৃষকের জয়!
পৃথিবীর মাটির ভিতর তুমি 
জাগিয়েছিলে সবুজের প্রাণ এক দিন। 
লাঙ্গলের ফলায় লিখেছিলে জীবনের মহাকাব্য।
বুকের ফুটন্ত প্রেমে জাগল ঘুমন্ত জীব।
আজ মুখে তুলে দাও অন্ন,দেখাও নক্ষত্রের আলো। 
মৃত্যুকে অতীত করে পথ হাঁট পায়ে ঝরে রক্ত। 
পিপাসায় শিরায় শিরায় তোলো ভালবাসার ঢেউ।
লোনা জলেও ধুয়ে দেয় না কেউ এক টুকরো ব্যথা।
মুকুলে মুকুলে শিশিরের চুম্বন নাই
নাই পাখির পালকের মায়ার পরশ। 
কুয়াশায় ঢেকে দেয় সকালের নরম রোদ্দুর।
ক্ষেতে ক্ষেতে সবুজ ফসলে ঝরায়
কীট দংশনে যন্ত্রণার রুধির। 
ভাদ্রের গুমোট রাতে হানা দেয় মহাজনী ঋণ।
খামারে গতর ঢেলেও মৃত্যু পিছনে হাজির। 
মেঘের আড়ালে শকুনের ঘোরাফেরা।
নয়া কৃষিনীতি ঝোলায় সোনালী ধানের গায়।
প্রতিদিন ভোরে দেখো তুমি লেখা অক্ষর গুলো
বড্ড আঁকা বাঁকা বলদ বাঁধা দড়ার মতন। 
হে মাঠের দেবতা!
অন্ধকারে ধানকাটা নাড়ার মতো
দাঁড়িয়ে আছো একা। 

 কবি লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরা
সুকান্তপল্লী, কালনাগেট, পূর্ব বর্ধমান





















0 Comments