হৃদস্পন্দন

  • Home


  • Download

  • Social

  • Feature


হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন
শীত সংখ্যা ॥ ১৪২৭
প্রথম বর্ষ ~ দশম সংখ্যা

কবিতা:

উত্থানপদ বিজলী ॥ অসিকার রহমান ॥  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ॥ নিমাই জানা ॥ কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায় ॥ অনুশ্রী যশ ॥ বর্ণজিৎ বর্মন ॥ নিশিকান্ত রায় ॥ দীপক বেরা ॥ সোমা ঘোষ ॥ সাব্বির হোসেন ॥ দীপঙ্কর সরকার ॥ প্রসাদ সিং ॥ সুজিত কুমার মালিক ॥ সৌমিত্র চ্যাটার্জী ॥ মীরা মুখোপাধ্যায় ॥ বিষ্ণু চক্রবর্তী ॥ অনুপ কুমার সরকার ॥ স্বপন নাগ ॥ শান্তনু গুড়িয়া ॥ রাজু মন্ডল ॥ পার্থ সারথি চক্রবর্তী ॥ চন্দন বিশ্বাস ॥ সুমন দিন্ডা ॥ তন্ময় ঘোষ ॥ কৌশিক ঘোষ ॥ পলাশ পোড়েল ॥ দেবব্রত রায় ॥ বিশ্বদীপ ঘোষ ॥ সুদেষ্ণা দত্ত ॥ অনুপ মণ্ডল ॥ মনোজ সাহা ॥ অনির্বাণ রায় ॥ অমিত চক্রবর্তী ॥ চিত্তরঞ্জন গিরি ॥ হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ কৃষ্ণ রায় ॥ অসীম বিশ্বাস ॥ শুভজিৎ দাস ॥ সূর্য দত্ত ॥

গল্প:

সুপ্তা আঢ্য ॥ সৌমী আচার্য্য ॥ শৈবাল মুখোপাধ্যায় ॥ সমাজ বসু ॥ লোপামুদ্রা সিংহ দেব ॥ বিকাশ বর ॥ শুভ্রশোভন রায় অর্ক ॥ সুষ্মিতা রায়চৌধুরী ॥ বিকাশরঞ্জন হালদার ॥ স্বাতী রায় ॥ দেবদাস কুণ্ডু ॥

মুক্তগদ্য:

সুকুমার হালদার ॥ অন্তরা দাঁ ॥ সৌমী গুপ্ত॥

একাঙ্ক নাটক: সুদীপ পাঠক

রম্যরচনা: ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায় ॥  অমিতাভ সরকার ॥

চলচ্চিত্র সমালোচনা: অভিষেক ঘোষ

নিবন্ধ: শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ


সম্পাদক কথা: 

সম্পাদক কথা যখন লেখা চলছে তখন আমরা সবাই একটু একটু করে শীতের মায়াবী চাদরে মুড়ে ফেলেছি নিজেদের কে। বড়দিন কে সাক্ষী রেখে নতুন করে বেঁচে ওঠার স্বপ্ন দেখছি। 

সব ডিসেম্বরের শহরেই শীত নামে।নিয়ন আলোর নিচে নতুন নতুন স্বপ্নের রূপকথারা লেখা হয়। কিছু হারিয়ে যায় আর কিছু পড়ন্ত বিকেলে স্মৃতির জীবাশ্ম হয়ে ফিরে ফিরে আসে।তবু শত বিচ্ছেদ,কষ্ট,দুঃখ কোনোকিছুই স্বপ্ন দেখা থেকে আমাদের বিরত রাখতে পারেনা।আমাদের প্রতিটি শীতঘুমেই লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো স্বপ্নের অনুষঙ্গ।হয়তো এরকমই কোনো স্বপ্নের অনুষঙ্গের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল  হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিনের জন্ম রহস্য। শীতজন্মের নাভিকুন্ড ছুঁয়ে এভাবেই আমাদের এগিয়ে চলা।একটু একটু করে বেড়ে ওঠা। 

আমরা আরো অনেক পথ এভাবেই আপনাদের পাশে নিয়ে হাঁটতে চাই।
পাশে থাকুন। ভরসা দিন। 
সকল লেখক ও পাঠকবৃন্দ কে জানাই বড়দিন ও নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা। 
শুভ হোক সব সাহিত্য যাপন। 

























সে এক একা নির্জনতা

সে এক একা নির্জনতা!নিঃসীম দ্বীপের মতো।যেন মাঝ সমুদ্রের জল শান্ত অঞ্চল!একা এবং একার মতো।চেয়েছিলাম বিরহী অভিমানের মতো নির্জনতা!ভোরের রোদ্দুরের মতো নির্জনতা পেলাম কই!শহরের প্রকষ্টে প্রকষ্টে ঘুণ পোকা।কুরে কুরে খেয়েছে সমস্ত নির্জনতা।সমস্ত সম্বন্ধ,সম্পর্ক,সাহচার্যগুলো গনগনে চিৎকার ঝগড়াতে বারুদ ঠাসার মতো,কেবল একটু আগুন তাহলেই দাবানল।বনে জঙ্গলেও নেই আমার ব্যাভিচারের মতো নির্জনতা।সেখানে গাছচোর, মধুচোর আর শিয়ালের হুক্কা-হুয়া।শিকারীর ফাঁদ পেতে বসে থাকার মতো বা সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগের মুহূর্তের স্তব্ধতার মতো নির্জনতা চেয়েছিলাম।কিন্তু!ভয়ঙ্কর কিচির মিচির পৃথিবীতে আমরা!
কাল রাতে সমস্ত হৈচৈ এর কবিতাগুলোকে জলের বালতির মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছি।সারারাত ওদের মাথা ঠাণ্ডা হোক।সকালে উঠে যখন দেখব-অক্ষরবৃত্ত দলবৃত্ত নিটোল বরফের মতো নির্জন!কাব্যধ্যান ছেড়ে আশ্রম থেকে বেরিয়ে এসে কৃত্তিবাস আমার মাথায় হাত রাখবে।জীবনানন্দ একবার বাঁকা চোখে তাকাবে ঠিক বসন্তের রোদ ঈষৎ বেঁকে যেভাবে পড়ে কিশোরীর গালে।আমি তখন নিরব নির্জনে সঙ্গমে যাবো।সঙ্গমের শেষ শীৎকারে যে নিরবতা নিয়ে অবনত হয় দুটি মানুষ একে অপরের প্রতি,ঠিক সেই নিরব নির্জনতা নিয়ে আবার ভোরের রোদে শিউলির মালা গাঁথবে আমার অক্ষরবৃত্ত দলবৃত্তরা।

এক কাপ গরম কফির ধোঁয়ার নির্জনতা নিয়ে আমি হোসে সারামাগোর “ব্লাইন্ডনেস”বা মার্কেসের “লাভ ইন দি টাইম অফ কলেরা” মহামারীর চূড়ান্ত উপন্যাস পড়ব আমার ইজিচেয়ারে নির্জনতার গায়ে হেলান দিয়ে।অবশ্য মাঝে মাঝে আমার টোলের পন্ডিত ঠাকুরদার হুঁকোটা যেটা  বাবা যত্ন করে স্মৃতির মাদুলি করে রেখেছে,সেটাতে সুড় সুড় টান দেব আর ভাবব-“কবিতা কখন কবিতা হয়ে ওঠে- এই মেঘাচ্ছন্ন প্রশ্নটা কবিতা পাঠকদের কাছে প্রতারণা ছাড়া আর কি,এই প্রশ্নটাই মাঝে মাঝে ধূসরতার দিকে ঠেলে দ্যায় কবিতা পাঠকদের।আর “মাল্টিডাইমেনশনাল ভাবুক” এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে আধো ঘুমে দেখব জীবনানন্দ জেব্রাক্রসিং পেরোচ্ছে।আর জেব্রাক্রসিংটা নির্জনতা বাড়াচ্ছে নিরবতা বাড়াচ্ছে, নৈঃশব্দ্য নিয়ে ট্রামটা এগিয়ে আসছে,এগিয়ে আসছে ধান খেতের ইঁদুরের কুঁইকুঁই,প্যাঁচার নির্জন চিৎকার ট্রাম লাইনে আছড়ে পড়ল।ট্রাম লাইন জুড়ে লাশকাটা ঘরের রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে – হঠাৎ তন্দ্রা ভেঙে দেখি সিলভিয়ার বিষণ্ণ অবসাদ আমার ইজিচেয়ার ঘিরে আমার সর্বাঙ্গ ঘিরে!আসলে আমি তখন বরফ শীতল মৃত্যুর নির্জনতার অন্তরঙ্গ সঙ্গমে! 

গদ্যকার সুকুমার হালদার
৪/১ যাদবগড়, হালটু, কলকাতা


















আবাদ

ভিতর ভিতর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াটা ঘিরে ধরে। উদ্বাস্তু লাঙলের কর্ষণ রাজপথের বুক চিরে নাভি বেয়ে নেমে আসে।মধ্যবিত্ত পৃথিবী জুড়ে যোনি আঁকা হলে থেমে যায় ফলা। 

শুধুমাত্র নিষিদ্ধ বিপ্লবের বীজ পুঁতবে বলে.. 
উবু হয়ে শুয়ে, মগ্ন শিশুর মতো গর্ত খুঁড়ে চলেছ বহুকাল। অথচ তুমি মানুষের শিকড় পেলে না চাষি! 

কবি অনুশ্রী যশ 
সুহারি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ







 



জীবনরেখা

১


থেমে গেছে পানসের স্রোত
নিলামে উঠেছে শুঁড়িখানা
চাবুকের মত ফোটে সেঁকোবিষ
দাম পায়নি চাঁদ-বণিকের সোনা
 
২

উৎস মুখে চোরাবালির টান
শুকিয়ে গেছে নদীর জলস্তর
উপরদিকে তাকিয়ে থাকা দায়
মাটি খোঁজে নিজের জীবন রেখা
 
৩

তোমাকে কখনও খুঁজিনি সমর্পিতা
নিস্তরঙ্গ বিজ্ঞাপনের পাতায়
ভালোবাসার অক্ষর ছুঁয়ে আছে
তোমার গোপন কাজলরেখায়
 
৪

বদলে গেছে অমর উপত্যকা
ছাড়তে হবে মোহ
আকাশ আছে অন্য ঠিকানায়
ছাড়তে হবে গ্রহ
 
৫

ঘরের মধ্যে ঘর,হিমশীতল অঙ্গ কাটাছেঁড়া
সঙ্গ পেতে চায় দূরের খঞ্জ হাড়মাস
অন্ধকারের সাগরে ডুবুরিকে খোঁজে
সারি সারি ঠান্ডা বেওয়ারিশ লাশ…

কবি সৌমিত্র চ্যাটার্জী
শংকরপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ 




















 



গত ঋতু ও শরৎ 

সদ্য বিদায়ী এ শরতের নীল নভস্তলে সময়েই হিমের পরশ নেমেছে।
তবুও মহামারীর যাঁতাকলে পরে শিউলির গন্ধ পৌঁছেছে দ্বারে দ্বারে।
এ শরতের কাশবনে বৃষ্টির অবসর না মেলায়,
নেতিয়ে; কোনোটা আবার ছিঁড়ে ছিঁড়ে গেছে খানিকটা।
কোথাওবা মুথা ঘাসের কুশি গজানোর সুরাহা মেলেনি।
এ শরতে মজেছিল পচে যাওয়া নাড়ার খাদোলে বৃষ্টির জল।
সিঁধলি পড়া মাটির রাস্তায়,
বিকেলের আড্ডায় চুড়ুইয়ের গায়ে গতরে ধূলোমাখা অধরা।
এ শরতের যৌবনা নদীর উপরে পড়া জল
পথ ঘাটের ইলেকট্রিক খুঁটির গোড়া গেছে ছুঁয়ে চলে। 

হৃদ্য অবভাস

ফিল্টার করা কথাগুলো সাজানো আছে,
কন্ঠদেশের হিমঘরে লকআপ করা।
রোজ রোজ প্রজনন না হলেও,
আরো গভীরে থিতিয়ে;ওজন বারছে।
লাঞ্ছনা-বঞ্চনা আর অপরদিকে অভিমান ও জেদ
পাল্লাপাল্লিতে কে প্রথম বা দ্বিতীয়।
হৃদি অনুভূতির গাঢ় প্রগাঢ় নিঃশ্বাস,
পিচ ঢালাইয়ের গরম পাথর বালির সাথে।
তোমার অহংকার স্তূপ পর্বতসম দাঁড়িয়ে বজ্রকঠিন।
দাগকাটা ক্ষত ডান বাম পাশে এখনও নিভৃতে জেগে।
স্ব-অক্ষমতার অপরাধ ঢাকতে ঢাকতে আধিক্লিস্ট।
অন্তর্বাস্পের স্যাঁতসেঁতে মনে ভিজে থাকবে অনন্তকাল।
গরম নিঃশ্বাসের ছোঁয়া এখনও বুঁদ হয়ে আছে গারদে।


কবি অনুপ কুমার সরকার
দক্ষিণ চরলক্ষীপুর, আইহো, মালদা












































ভীষণ রকম একা 

সেদিন মাথার উপর ছায়া ছিল,
আকাশ মাড়িয়েছি পৃথিবীর ইতিহাসে,
জয়ী হয়েছি ভেবে দু'আঙ্গুল উচিয়ে আনন্দে বলে উঠলাম হে মৃত্যু,বল তুমি কতদূর?

আমার চাওয়া পাওয়া পূর্ণ না হলেও
বিশ্বাস বেচে নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম
সবুজ ক্ষেতের নীড়ে।

টলমল পানি ছুঁয়ে শান্তির খোঁজে
ঘুরেছি অলিগলি,রাজপথ আর
হাতপাতা মানুষের ভিড়ে।

অভাবে অলিন্দ ঘেঁষে
অমলিন দেয়াল হেসে
পিতার পৃথিবী মরে
জীর্ণ শার্টের ভেতর।

হঠাৎ কোথায় কখন যেন বেজেছিল ধুন
আকাশের তারা হয়ে ধরে ছিল সুতো
কন্যার আঙ্গুলে দশটি রঙিন বেলুন।

শিরশিরে বাতাসে উড়ে পড়া কৃষ্ণচূড়ার পাতা
চুলের গোঁড়ায় গেঁথে গেঁথে বৃষ্টির আগমন জানিয়ে দিলে
আমি ছুটে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম তিস্তার বুকে।

আবারও সেদিন আকাশ মাড়িয়েছি পৃথিবীর ইতিহাসে,
জয়ী হয়েছি ভেবে দু'আঙ্গুল আনন্দে বলে উঠলাম হে মৃত্যু,বল তুমি কতদূর?

কবি সাব্বির হোসেন 
রংপুর, বাংলাদেশ























কাপ অফ টি

অবহেলার পর্যায় সারণীতে
যোজ্যতা মাপে ঘটনাক্রম,
বিন্দু বিন্দু স্বেদ জমাট বেঁধে
গোমড়া মুখো মেঘ
সময় সময় দুকূল ভাসায়।
অপেক্ষারত বাসন্তিক প্রেম
অদূরে শীতঘুমে আচ্ছন্ন।
আদুরে আদুল উষ্ণতা
মুছে দেয় কুয়াশার চাদর,
উড়ে যায় বিবর্ণ ঝরাপাতা।
ভেসে যায় অভিমানী বেলা,
উড়ন্ত বাষ্প কণায়
উষ্ণতা সন্ধানী মন
ডুব দেয়--এক কাপ চা-য়।

কবি সুজিত কুমার মালিক
মইখণ্ড, হেলান, আরামবাগ















চিলাপাতা
জ্বলে ওঠা বনফায়ারের আগুনে
উষ্ণতা লেগেছিল তোমার গালে
সবুজপাতার আঁকসিতে নেমেছিল গভীর অরণ্য;
আদিম গভীরতার আরেক নাম চিলাপাতা
মাতাল করা বুনো ফুলের গন্ধে যেন অজানা পাখির কবিতা।
দূর থেকে ময়ূরগুলো দেখেছিল তোমাকে
জয়ন্তী পাহাড় আলিঙ্গন করেছিল আমাকে
ডিমা নদীর বুকে ভেসে ছিল আমাদের ভেলা;
কালজানি বাঁকে বাঁকে ছিল ক্যানভাসের রকমারি
চিকচিক চোখে তাকিয়ে ছিল অভয়ারণ্য চাপরামারী।
বানভাসি জলোচ্ছ্বাস নল রাজার গড়
ভারী বুটের আঘাতে ক্ষত হয়েছে হৃদয়,
আর দুষ্টুমি নয় এবার গর্জে ওঠো নারী-
বিরণভূমি তাই ধুলো লাগেনি তোমার পায়ে
ফিসফিস করে করা এখনো বলে চলে তোমার ছায়ে।
বানান ভুলে কুপোকাত ছিল যত বুনোহাঁস
ঝিরঝির বৃষ্টি কণা স্নিগ্ধ চাঁদের মত হাস,
আচ্ছা নদীর এ চর কি তোমার?
বাইনারি তো কেবল এক ও শূন্যের দর্পণ
তোর্সাটা দশমিক,রূপ পরিবর্তনে পাল্টাই জীবন দর্শন।
রামগুনার সিক্ত রস রক্তের ইতিহাস বলে
মন্দ বলনি কারণ তখন তুমি ছিলে অন্ধ
আর দখল রাখা যাবে না সিট রুমালে;
এ যেন নাড়ির টান বার বার ফিরে আসার সফর
চিলাপাতা অক্ষয় হোক তোমার ভাস্কর।

কবি তন্ময় ঘোষ
নরেন্দ্রপুর, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ
























হিমঘরে


স্বপ্ন আর কিছুতেই জোড়া লাগছে না

প্রতিদিন কেমন করে ভেঙেছে টের পাইনি

হঠাৎ সব অন্ধকার চারিদিকে,কালো ছায়া

এক নির্জন দুপুরে কেউ চিৎকার করে বলছে

স্বপ্ন জোড়া লাগাবেন...

 

আমি বাইরে বেরিয়ে দেখি সে নেই

সন্ধ্যায় আবার সে এসে,চকিতে হারাল

গভীর রাতে মশারির ঘেরাটোপে থেকে

দু’হাত মেলে দেখি কোথাও কেউ নেই

এদিকে সব স্বপ্ন টুকরো টুকরো

কিছুই করার নেই ভেবে,

সাজিয়ে রাখলাম হিমঘরে,

যদি কোনোদিন কেউ আসে

সব জুড়ে দিয়ে আবার স্বপ্ন দেখায়!


কবি কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়
১২, চণ্ডী ঘোষ রোড, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ 























বরং

...বরং বাতিল শব্দের পাশে পাখির মতো করে উবু হই। এদিক-ওদিক আধডোবা মাছের চোখে জমা কৌতুক। সরু হয়ে আসা রাত ছেলেবেলার মতো দুলে দুলে। পুরনো সম্পর্কের মতো নিচু হয়ে আসা স্বর—দু হাত জলের মতো দীর্ঘ—
সাম্যবাদী মেঘের তালে তালে বাদ্যযন্ত্রের মতো।
মুলতুবী সংসারে চরে জেগে থাকা মাঝি কখন জলদস্যুর নিদারুণ ভঙ্গিমায়।ওঁত পাতা আড়চোখা মাকড়সা ধীর গতি ক্রমশ ই...

কবি সোমা ঘোষ
১/১৬ রূপচাঁদ মুখার্জী লেন, ভবানীপুর, কলকাতা










অবৈধ আমির সাথে 

কেউ কেটে নেয় মাটি। তুলে নেয় বালু।
নদীর কংকাল ঘিরে স্তব্ধতার ঢেউ। 
নদীটাই অবৈধ এখন।
অবৈধ দিনরাত বয়ে চলা জলের যৌবন। 

যারা ছিছি করে তারাই অসহ্য এখন। 
তাদেরই দৃষ্টিশক্তি ক্ষয়ে ক্ষয়ে রাত নেমে আসে। 
অন্ধত্বের মহোৎসবে আলোর ক্রন্দন। 
ফসলের জমি পোড়ে 
পুড়ে যায় কৃষকের বুকের পাঁজর 
ইঁট ভাঁটার আগুনে পুড়ে যায় মেঘের পালক 
বোবা আমি ভাস্কর্য হয়ে যাই।

আধিবাসী রোদে নিজেকেই দাগী  মনে হয়। 
ছাল চামড়া সহ পুড়ে যায় ভেতরের জমি
উঠোন বাগান,অন্তঃসলিলা 
নদী থেকে তুলে আনা জল 
এবং আমি। 
পাখি ও মানুষের চোখের আগুনে 
ছাই হয়ে যায় আমির ভেতরের আমি। 
নামগোত্রহীন আমি 
শূন্য শূন্য অনুভব নিয়ে বনবাসী। 

কবি নিশিকান্ত রায় 
লালমনিরহাট, বাংলাদেশ































শীতবিন্দু অথবা ড্রপবক্স

জানালার রেলিং এর বয়স জানতে দরজার নিচে থাকা ঘুটঘুটে অন্ধকারের স্পন্দন মেপে নিতে হয়
কোনো ত্রিকোণ সম্পর্কের শরীর থেকে শূন্য কোণে ঘরের মাঝখানে দাঁড়ালে দেখা যাবে একটি পূর্বপুরুষ ঘুড়ি নিয়ে নেমে যাচ্ছে কুয়াশার মিথুন শহরে

পুরনো চাঁদ থেকে যে হিমোগ্লোবিনের গন্ধ উড়ে আসে তাতে দু-চারটি লেবুদানা রাখলে মৃত্যু গন্ধ উড়ে যাবে চিরতরে
সমুদ্রের অন্তহীন লাল রং বেপরোয়া বাঁশি
প্যাস্টেলে আঁকতে আঁকতে ক্রমশ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে পাক রস
তাই মৃত পেন্সিলের বয়স সিক্স এইচ বি

জমাট পায়ে পদ্ম ফুটছে উঠোন অথবা মন্দিরতলার ধানখড়ে
পরপুরুষের জন্য হলদে ফুল রাক্ষস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে দরজার মাঝখানে
রাত ক্রমশ যৌগিক হয়ে ওঠে মৃত্যুর কাছাকাছি এসে
মৃত মায়ের পানের কৌটায় জন্ম নিচ্ছে শালুক

আয়ু রেখা কেমন গুণিতক পেঁচানো শাঁখ
বাড়ির ভেতর সকল সম্পর্ক ভাঙছে এঁটো বাসন এর সাথে
প্রতিটি দিন গুহার ভেতরে ঢুকে গেলেই আমার মৃত্যুদিন লেখা হয়ে যায় জন্মবার্ষিকীর খাতায়
বরফ হয়ে যাই অশৌচের সাথে

কবি নিমাই জানা
রুইনান, সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর




মেঘটোপ

ঝিমুনো আকাশটিকে মেঘটোপ
হিসেবি বাঘ টানে মুগ্ধ শিকার।
চিনচিন স্নায়ুর তরঙ্গ অভিঘাত

নিরালাদুপুর ধোয়া বৃষ্টির তড়বড়
পালকপলকে ব্যস্ত উষ্ণ রোমকূপ
শিথিলপেশির ভারে শ্লথ হয় দিন।

বালির উপর জল জাগে অণুদ্বীপ
প্রসাধন ধোয়া জলে কলঙ্ক ঘাম
কাদার উপর ফুটে স্বপ্নফুল ছাপ।

তুমি সেই মিলনবেলার মনখারাপ
যেখন সবুজ লোটে অকরুণ বেলা
ক্লান্ত ঠোঁটের কোণে ভুলসুরে গান।

আকুপাংচারে ছিন্ন বুক ও মগজ
দয়াহীন কাঁটা গাঁথা কোমল তিতির
প্রতিরোধ বলে কিছু নেই অবহেলা।

ঝিমুনো আকাশটাকে মেঘটোপ
কে যেন জাগিয়ে দেয় বাসনাধনুক
সবুজের লতাপাতা জড়ানো সংসার।

একটি পাতার মতো ঝুলে থাকি
ধুলো ঝড় বৃষ্টি রোদ ক্লেদ ও আগুন
অবিরত সাজায় যাকে সেই তো প্রেমিক।

            কবি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
গোপেশ্বরপল্লি, বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া
















বাতাসে শীতের শিস দিয়ে কেউ ডাকে... 

ক্যালেন্ডারের পাতায় নভেম্বর উলটে যেই না ডিসেম্বর এসেছে, ঠান্ডা ঠান্ডা,নরম একটা হাওয়া নাকের ডগা'য়,কে যেন বুলিয়ে দিলো আলতো করে! তার ঢের আগে থেকেই বাহারি টুপি আর সোয়েটারে সেজে উঠেছে বড় বড় শো-রুমে'র ম্যানিকুইনেরা, কালি পুজো'র পর থেকেই টিভির বিজ্ঞাপনে, মধু রঙে'র চোখের তারা'র সুন্দরী'রা নিভিয়া আর পন্ডস্ এর কোমল লাবণ্যে ভাসছে, ময়শারাইজারের ক্রিমি টেক্সচারে ডুবিয়ে নিচ্ছে ম্যানিকিওর করা আঙুল, আর আদি অকৃত্রিম 'বঙ্গ জীবনের অঙ্গ' মার্কা এ্যাডে, চওড়া লালপেড়ে শাড়ি'র ঠাকুমার ফোকলা হাসিতে বনেদিয়ানার হাতিমার্কা ছাপ দিতে গিয়ে কমার্শিয়াল সাইটে ফুরফুরে উত্তুরে হাওয়া'র ইন্ট্রো! এইবার রে রে করে বাজার ধরতে হামলে পড়বে ই-কমার্স আর কর্পোরেট হাত ধরাধরি করে। ওদিকে জগুবাবু'র বাজারে ফুলকপি এখন পনেরো টাকা জোড়া, সুন্দরী সিমলা মির্চ তার সবুজ যৌবন ঢলিয়েও ওই মেরেকেটে চল্লিশ টাকা কিলো, মটরশুঁটি'র কচুরি তো বাঙালি এই শীতের সময়টুকুতেই একটু আয়েস করে খায়,তাও কমের দিকেই। শুধু আলু'র দাম... যাকগে! হচ্ছিলো ডিসেম্বর, সেখানে আলু কেন ভাই? আরে শীতকালে একটু নতুন ছাল-ওঠা কচকচে আলু'র তরকারি আর দু'পিস কচুরি,শেষপাতে নলেনগুড়ের সন্দেশ একখানা, তা সে নকুড় বা বাঞ্ছারাম না হয়ে নিদেনপক্ষে ওই লোকাল কেষ্টবিষ্টু'র দোকান হলেও চলবে বড়'দা! তা নয় শালা, ইউটিউবে রেসিপি দেখে বাড়িতে, ফোটা-ফুলকপি দিয়ে 'গোবি মাঞ্চুরিয়ান' হচ্ছে, মাজাকি মারার জায়গা পাওনি? কী দিন এলো রে ভাই, অঘ্রাণে ফুলকপি মুখে রুচছে না, ধনেপাতা হলদেটে, এঁচড় উঠে গেছে, ইলেক্ট্রিক শক লাগার মতো দাম! কার্তিক-অঘ্রাণ মাস জুড়ে সারাদুপুর লেপ-তোষকওয়ালাদের ধুনুরি'র টং টং আওয়াজ, জয়নগরের মোয়া হেঁকে যেত ফেরিওয়ালা, খেজুরগুড়ের নাগরি নিয়ে বসে থাকতো ব্যাপারি, হাটে নদীর মানা'র টাটকা ফসলে'র গায়ে যেন শীতের শিশিরটুকু লেগে থাকতো! আমাদের ছোটবেলায়, গ্রামে-গঞ্জে, আধা-মফঃস্বলে এত বড়দিনের হিড়িক ছিলো না। পৌষমাসে ধান ওঠার পর তখন গেরস্তের হাতে পয়সা-কড়ি থাকতো,বনভোজন, নদীর চরে ফিস্টি'র রেওয়াজ ছিলো আর ওই বড়দিনের হপ্তাখানেক আগে থেকে রাস্তার ধারে, ঝলমলে রঙিন কাগজে মোড়া,গজগজে মোরব্বা আর কাজু-কিসমিস দেওয়া কেক বিক্রি হতো। মুদি'র দোকানেও রাখতো দু'চার পিস, হাইস্কুলে'র উঁচু ক্লাসে তখন পি.কে.দে সরকারে'র গ্লোবালাইজেশন পড়ছি। এখন তো বড়দিনে চার্চে না গেলে, টেবল বুক করে ডিনার না করলে, বারবিকিউনেশন আর পার্কস্ট্রীটে'র মদির আলোয়, পাউট করা ছবি ফেবু'তে আপলোড না করলে ঠিক জাতে ওঠা যায় না! ছোটখাটো রেস্তোরাঁগুলোও সেজে ওঠে ক্রিসমাস ট্রি আর টুনিবাল্বের টুইংক্লিং-এর সাথে,দেশি খোকাখুকু'রা হ্যাট-কোটে গ্রুমড্, হরিণ-চোখের হর্নি মুখোশ এঁটে, ডি.জে. আর রক সং এ কোমর দুলিয়ে,প্রি-ক্রিসমাস ইভে'র সে এক মার-কাটারি সেলিব্রেশন, মচ্ছব আর কী! জামাইক্যান রাম ফ্রুট কেক কিম্বা জার্মান মারজিপান, বাঙালি জিভ ছুঁয়ে দেখবে না, তাও কি হয়?! তবে যাই বলো বাপু গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারের তিনশ' ঊনষাটতম দিনে ক্রিশ্চান মতে যীশুবাবা আদৌ জম্মেছিলেন কিনা সে নিয়ে বিস্তর টানাহেঁচড়া আছে! লোকে বলে অ-খ্রিষ্টানদের, খ্রিষ্টান করার জন্যই নাকি এমন প্রথা'র শুরু, যীশু জন্মেছিলেন অক্টোবর মাসে! তবে এও ঠিক ওইদিন সব চার্চে ধর্মানুষ্ঠানের জন্য জ্বলে উঠবে রঙিন মোমের আলো।ঘন্টা, টুনিবালবে'র টিপটিপে সেজে উঠবে ক্রিসমাস ট্রি, হৃদয়াকার আইভিলতায় ছেয়ে থাকবে টম-ডিক-হ্যারিদের ছোট্ট কটেজ! ক্যাকটাস, মিসলটো আর বে-লিফে আচ্ছন্ন পুরো ক্রিসমাস উইক। এরই মধ্যে রেন-ডিয়ারে টানা স্লেজগাড়িতে চেপে সাদা দাড়ি উড়িয়ে আসবে সান্টাক্লস, তুষারধবল পথ দিয়ে, ঘন-সবুজ পাইনের বনের ভেতর দিয়ে তার রক্ত-লাল প্রকান্ড জোব্বা'র পকেটে হাত চালিয়ে বের করে আনবে চকোলেট, কেক আরও কতরকমের উপহার! ছেলেভুলানো গল্পে'র মতো তখন ধাড়ি খোকাদের'ও মোজা ভরে উঠেছে গিফ্টে, উষ্ণ লাল টার্কি'র মাংস, দুম্বার পাছা'র ডেলিকেসিতে ভেসে গেছে মধ্যবিত্ত সংস্কারের বাঁধ! উৎসব চিরদিন ছাপিয়ে যেতে চেয়েছে ধর্ম'কে, এইই যা সান্ত্বনা মনুষ্যত্বে। স্প্যানিশ কবি প্রুডেন্টিয়াসের ক্যারল তখন নেশা গাঢ় করে তুলেছে পেটরোগা বাঙালি'র দু-পাত্তর শখের রেড-ওয়াইন পড়া মস্তিষ্কে। ভার্জিন মেরিমাতা'র কোলে যীশুবাবা'র ছবি, পবিত্রতম দৃশ্যের মধ্যে অন্যতম, সন্দেহাতীত। তাঁকে ঘিরে এই যে অনুষঙ্গ তা তো মনের, মননে'র কাছে একটা চিরস্থায়ী দাগ রেখে যাবে তা সত্যি, তবুও আম-জনতা, তা জাত-ধর্ম নির্বিশেষে,পাশে'র বাড়ি'র মর্নিং-ওয়াক করা মাসিমা, ফ্ল্যাটবাড়ির তিনতলা'র সেন-বউদি,গোমস দম্পতি,কিম্বা পাড়া'র শিবুজেঠু, কবে যে এরা ফিসফিস করে বলা থামাবে যে —
'অমুকে'র আইবুড়ো মেয়েটা তো পোয়াতি হয়ে গেসলো!, 'কী ঘেন্না'র কতা মা, কী বলবো, ওই কলেজে-পড়া ছুঁড়ি, আবরশন নাকি করাতে গেয়ে তো যমে-মানুষে টানাটানি 'অথবা 'কী দিন এলো বাবা,মরণ, আইবুড়ি, ধাড়ি মেয়ে! কোতা থেকে ছেলেকোলে নিয়ে এসে সিঙ্গেল-মাদার নাকি সব, ছ্যা ছ্যা! ' এরাই ঘটা করে ক্রিসমাস সেলিব্রেট করে, প্রতিবেশীদের ডেকে কেক-মিষ্টি খাওয়ায়! যাচ্চলে! এখনকার ছেলেছোকড়াদের নাকি ভক্তিছেদ্দা একেবারে নেই, শুধু ঢপ আছে, বাওয়াল আছে, ঝাড়ি আছে, আর...তাই বুজি! এখন তো সবকিছুই সেলিব্রেশন, যে বাবা-মা ধর্ম বোঝেনা, মনুষ্যত্ব বোঝেনা, উদযাপন বোঝেনা শুধু ছুটি বোঝে, খাওয়া-দাওয়া আর আউট অফ দ্য ট্র‍্যাক, ডে-আউট বোঝে তাদের বাই-প্রোডাক্ট'রা কী 'আমেন' বলে শান্তি খুঁজে নেবে নাকি বয়োজেষ্ঠ্যদের প্রণাম করে বলবে 'আশীর্বাদ করুন যেন সত্যের পথে থাকি '! এখন সবই 'হাওয়া-হাওয়া' রে ভাই তারই মধ্যে জীবন বইয়ে নেওয়া, বাওয়া! তা বড়দিন এসেই গেলো মশায়'রা, টিপেটুপে এই দুর্মূল্যে'র বাজারে, তুলনামূলক সস্তায় ভালো একখানা কেক-পেস্ট্রি যাহোক বাগিয়ে রাখুন, না'হলে পরে আর পাওয়া যাবেনা। দুম্বা-টুম্বা ট্রাই করতে যাবেন না, টার্কি পাওয়াও শক্ত, মাসের শেষ পকেটের কথাখানা'ও তো ভাবতে হবে! বেঁচে থাক পোল্ট্রিজাত রামপাখি আর জ্যোতিআলু। চুপিচুপি বলি, একখানা ব্রাউনি নাকি বলে যেন,খাইয়েছে,গরম করার তর সয়নি, ঠান্ডা'ই মেরে দিয়েছি শালা, ভগবানের নাম করে।একেবারে টুরু লব। মেরি ক্রিসমাস! 

(এ লেখা সম্পূর্ণভাবে আমার কল্পনার উপজাত,কোন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়) 

গদ্যকার অন্তরা দাঁ
কাঁটাপুকুর উত্তর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ









নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • আগস্ট (3)
  • জুলাই (22)
  • জুন (8)
  • নভেম্বর (15)
  • অক্টোবর (5)
  • সেপ্টেম্বর (81)
  • আগস্ট (66)
  • জুলাই (55)
  • জুন (56)
  • মে (57)
  • এপ্রিল (46)
  • মার্চ (15)
  • জানুয়ারী (14)
  • ডিসেম্বর (73)
  • নভেম্বর (103)
  • অক্টোবর (97)
  • সেপ্টেম্বর (101)
  • আগস্ট (120)
  • জুলাই (88)
  • জুন (76)
  • মে (63)
  • এপ্রিল (11)

🔴বিজ্ঞপ্তি:

পাঁচ মাসের বিরতি কাটিয়ে আবার ও ফিরছি আমরা। খুব শীগ্রই আসছে আমাদের প্রত্যাবর্তন সংখ্যা।

অনুসরণ করুণ

এক মাসের সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলি:

  • শেষ শোকসংগীত ~ গোবিন্দ মোদকের কবিতা
  • দুটি কবিতায় ~ গৌতম কুমার গুপ্ত
  • ব্রাত্য ~ বিদ্যুৎ মিশ্র'র কবিতা
  • দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প
  • আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা
  • গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক
  • সুমিত রায়ের গল্প
  • সে প্রেম পবিত্র~ প্রেমাংশু শ্রাবণের কবিতা
  • সুব্রত মাইতির কবিতা
  • তিনটি কবিতায় ~ রাগীব আবিদ রাতুল

বিষয়সমূহ

  • Poetry speaks 2
  • অণু কথারা 21
  • আবার গল্পের দেশে 8
  • উৎসব সংখ্যা ১৪২৭ 90
  • একুশে কবিতা প্রতিযোগিতা ২০২১ 22
  • এবং নিবন্ধ 3
  • কবিতা যাপন 170
  • কবিতার দখিনা দুয়ার 35
  • কিশলয় সংখ্যা ১৪২৭ 67
  • খোলা চিঠিদের ডাকবাক্স 1
  • গল্পের দেশে 17
  • ছড়ার ভুবন 7
  • জমকালো রবিবার ২ 29
  • জমকালো রবিবার সংখ্যা ১ 21
  • জমকালো রবিবার ৩ 49
  • জমকালো রবিবার ৪ 56
  • জমকালো রবিবার ৫ 28
  • জমকালো রবিবার ৬ 38
  • দৈনিক কবিতা যাপন 19
  • দৈনিক গল্পের দেশে 2
  • দৈনিক প্রবন্ধমালা 1
  • ধারাবাহিক উপন্যাস 3
  • ধারাবাহিক স্মৃতি আলেখ্য 2
  • পোয়েট্রি স্পিকস 5
  • প্রতিদিনের সংখ্যা 218
  • প্রত্যাবর্তন সংখ্যা 33
  • প্রবন্ধমালা 8
  • বিশেষ ভ্রমণ সংখ্যা 10
  • বিশেষ সংখ্যা: আমার প্রিয় শিক্ষক 33
  • বিশেষ সংখ্যা: স্বাধীনতা ও যুবসমাজ 10
  • ভ্রমণ ডায়েরি 1
  • মুক্তগদ্যের কথামালা 5
  • রম্যরচনা 2
  • শীত সংখ্যা ~ ১৪২৭ 60

Advertisement

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

মোট পাঠক সংখ্যা

লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী:

১. শুধুমাত্র কবিতা, মুক্তগদ্য অথবা অণুগল্প পাঠাবেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ক লেখা সম্পূর্ণ আমন্ত্রিত। ২. লাইনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ৩. লেখা মেইল বডিতে টাইপ করে পাঠাবেন। ৪. লেখা মৌলিক ও অপ্রকাশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্য কোনো ব্লগ, ওয়েবজিন অথবা প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না। ৫. মেইলে আপনার লেখাটি সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত, কথাটি উল্লেখ করবেন। ৬. লেখার সাথে আবশ্যিক ভাবে এক কপি ছবি ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা পাঠাবেন।  ৭. লেখা নির্বাচিত হলে এক মাসের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না এলে লেখাটি অমনোনীত ধরে নিতে হবে। ৮. আপনার লেখাটি প্রকাশ পেলে তার লিঙ্ক শেয়ার করাটা আপনার আবশ্যিক কর্তব্য। আশাকরি কথাটি আপনারা মেনে চলবেন। আমাদের মেইল- hridspondonmag@gmail.com
blogger-disqus-facebook

শান্তনু শ্রেষ্ঠা, সম্পাদক

আমার ফটো
পূর্ব বর্ধমান, India
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

সাম্প্রতিক প্রশংসিত লেখা:

সুজিত রেজের কবিতা

সুজিত রেজের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন

© হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন। শান্তনু শ্রেষ্ঠা কর্তৃৃক পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে প্রকাশিত।

Designed by OddThemes | Distributed by Gooyaabi Templates