দিশারী মুখোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা


ক্ষুধার্ত ব্ল্যাকহোল 

একটা ব্ল্যাকহোল যখন তৈরি হয় তার দুরন্ত খিদে মেটানোটা মুখ্য হয়ে ওঠে।তাছাড়া অর্জুনকে দেখানোরও একটা চাপ কাজ করে।এখন অর্জুনের পরিণতি নিয়ে কিছু বলতে গেলে একটা রাজনৈতিক সন্দর্ভ হয়ে যাবে।আমি সেপথে যাব না 

কালো কিন্তু সবসময়,কালো বলতে আমরা যা বুঝি,কালোই হয় না।এমন দুধে-আলতা রঙ নিয়ে সে হাজির হয় যে মুহূর্তেই বাঘ সিংহও ভেড়াজন্মকে শ্রেষ্ঠ মেনে নেয়।রহস্য ত্রিপল হয়ে ওঠে

সেই ব্ল্যাকহোল এখন সব গিলে খাচ্ছে।খাবেই।তাকে আটকানো 
দুঃসাধ্য।জেনে সবাই আহার্য হবার পরিণতিতেই উদ্বাহু এখন 

কাঠঠোকরা,খরগোশ,রয়ালবেঙ্গলও বৈষ্ণবমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছে 

স্নান ও জলের রসায়ন 
 
স্নানের সঙ্গে জলের সম্পর্কটাকে অনিবার্য এবং অবিচ্ছেদ্য বলে 
আমরা মেনে নিয়েছিলাম।কাজেই সহজ জলের মতো যে জল তারও পা দুটো একটু ভারী হয়ে ওঠে।আমাদের শরীরের তৃষ্ণাও
অদম্য হয়ে ওঠে।জাত,কুল,শীল সব জলাঞ্জলি দিতেও উদগ্রীব 

অথচ আমি বিভিন্ন রকম জলের খুব ভেতর থেকে খবর নিয়ে দেখেছি 
জল মাত্রই সবাই সিক্ত নয়।হাজার হাজার বছর স্নান না করে রয়েছে 
তাদের অনেকেই।অনেক জলই জল সম্পর্কে ইদানিং বীতশ্রদ্ধ 

জলের অভাবে গঙ্গা যমুনার বুকেও মরুর পায়ের শব্দ।তৃষ্ণার্ত সমুদ্র 
যেভাবে বরফ চিবিয়ে খাচ্ছে রোজ পৃথিবীর মেরুদণ্ড থেকে চকোলেট 

শালিক চড়ুইরা এসব বুঝে ধুলোতেই ডানা ঝাপটিয়ে খেলে

কবি দিশারী মুখোপাধ্যায় 
দুর্গাপুর,পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ  



 



0 Comments