
জন্মদ্রোহ মুখে
বিকাশ চন্দ
আগামী রাতগুলি নিশ্চিন্তে ঘুমোবে চাঁদের সংলাপে---
নদীর কথাগুলো চিৎকার করে বলে জল জীবনের কথা,
প্রতি রাত ছুঁয়ে যায় স্রোত নেপথ্য সংসার
পাখির কথা শব্দগুলো ও জানে ভাষা ভাষী আত্মকলরব,
ভগ্নদশার খেলা দেখেছে স্বপ্ন ভাঙা শুখা মরুভূমি ---
রক্তহীন শিল্পীত শরীর ধুঁকছে ভাস্কর্য,
সকল সংক্রমণ গিলে খায় মেঘ বৃষ্টি সুখ
নিষিদ্ধ প্রেমের জন্ম কথা বলে গেল নদী মাটি মানুষের ঘর।
জলভারে বসতি সন্তপ্ত সময় জানে রক্তাপ্লুত পরিসর
জীর্ণ কথা ধূলিমাখা পথ জানে পরিত্যক্ত মোহ সুনিবিড়,
অঙ্কুরে মরেছে বীজ জানে সাজানো অভ্যুত্থান---
চতুর বাঘিনী জানে চারদিকে নাচে শবের বহ্নি শিখা,
কখনো তো রসভার জানে বিবশ বয়স কাল---
সকল নিষিদ্ধ কথারা কলহাস্যে উতরোল মুহূর্ত মোহে।
একটা সময় ছিল দু'পাশের চিবুকে রক্তকরবী কুসুম--
কবি শিল্পী ভাস্কর ছিল ভালো শীতল কাতরতায়,
নিষিদ্ধ গহ্বরে ও দেখেছিল হীরক কুসুম শোভা---
আড়ালে জমেছিল দূর্বিষহ অসহ্য কাঁটা কুসুম,
হঠাৎ অজস্র নক্ষত্রের গায়ে জন্মদ্রোহ মুখে আগুন রং--
জাত ক্রোধে কতটা আড়ালে থাকে মানুষের লোভ।
0 Comments