তবু পারলাম কই ~ চিত্তরঞ্জন গিরির কবিতা


তবু পারলাম কই 
চিত্তরঞ্জন গিরি 

রসনায় যতটুকু তিক্ততা ছিল ডুব দিয়ে যায় মিষ্টতায়।
বারবার ছুঁয়েছি আত্মনিমগ্ন এ হৃদয় অমৃত সুধায়।
ধারাপাত দিয়েছিল অ-আ- ক-খ সন্ধানী সন্ধিৎসু বর্ণপরিচয়।
বনপাহাড়ি এঁকেছিল- মিঠেল সুরের ,ঝিলমিল তরঙ্গের,অমৃত সুধার -চারকুঠরীর মাঝে ,ক্ষুদ্র এ জলাশয়।
যত জল খেলি, গ্রহদের আঁকিবুকি ,ওলো সই, তৃষ্ণা মেটে কই! 
ভৈরবী ঠুঁরী,জোছনার সুধা,আহাঃ কি অপরূপ তরঙ্গের ক্ষুধা!
ভাটিয়ালি -রাখালীর, মেঠো মেঠো সুরের ফাঁকে- ছুঁয়ে ছুঁয়েই যায়, ভরতনাট্যম ,উর্বশী নিশ্চই।
ওলো সই -পারলাম না তো কই
অসংখ গাছগাছালি সবুজ সজীবের সমারোহ পর্যায় বৃত্তে নিত্য নতুন প্রাণের ভাষা খোঁজে গানের কথাকলিতে শ্বাস বায়ু খুঁজে চলে আমৃত্যু জীবনের স্বাদ।
কত রং-লাল,নীল,সবুজ,হলুদ,বাসন্তিকা- একটার পর একটা কত খেলে এলাম,কত পার হলাম-কই পারলাম নাতো,শিল্পের স্থপতি হতে নিখাদ !
যে রঙ পাথরের অশ্রুতে উষ্ণতা ঢেলে দেবে
জনম দুঃখিনির পোড়া ঘুটেতে ফুরফুরে দখিনা হওয়া হয়ে,নেচে বেড়াবে কবে কোথায়,পাওয়া যাবে,আত্মার বালুচর -দৃষ্টির রঙ সবুজ হবে।
অল্প অল্প শ্বাস নেওয়া প্রদীপের সলতেটি হঠাৎ জেগে উঠে, বলবে-এই রঙ তো কেউ মাখায় নি তুমি পেলে কি করে!
নাহ, হলো না,মাথা নেড়ে নেড়ে গেলাম -কই পারলাম না তো!
চেনা অচেনার ভিড়ে ,তুমি হাতছানি- দিয়ে, ডাক দিয়ে যাও
আমি হেঁটে যাই,আমি ছুটে যাই-তবু দূর-দূর থেকে যায়, আজও তোমাকে ছুঁতে পারলাম কই।

কবি চিত্তরঞ্জন গিরি
পঞ্চসায়র রোড, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ















0 Comments