দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা


জলরেখা 

সারাদিন ব্যস্ততার শেষ নেই।
বাজার দোকান ফাইফরমাস
অফিস, কাছারী, স্কুল।
আর পাঁচটা সংসারী মানুষের
যা থাকে,শুধু নেই
সেই স্মৃতিচারণের অবসর।
তবু নাকি থেমে গিয়েছিল
হঠাৎ সময়।পায়ে পায়ে ঘোরে
যুগ, যুগান্ত।দুর্দিনের জলরেখা
মুছে সুদিন ফেরে, নাগরদোলায়।
চরাচরে ফাঁক নেই।মনে নেই দিনক্ষণ।
কালের গর্ভে বিলীন উষ্মা ও বিষাদ।
তবু জন্মদাগ নাভিচিহ্নের মতো 
ভালোবাসা থেকে যায়।
কিছু গাঢ় অনুভব ও বেদনা
লেগে থাকে সে সজল হিমেল হাওয়ায়॥

বল্মীক

দুএকটা ভালো উদাহরণ রেখে যেতে পারলে
সন্ততিরা খুশি হতো নাকি -
না থাক। ক্যালেন্ডারের পাতা উলটে যায়।
ধুলো পরে।মাকড়সা যত্নে জাল বোনে।
বুড়ো সূর্য নতুন উত্তরীয় পরে
বেরিয়ে পড়ে গ্রাম প্রদক্ষিনে।
নতুন লোক আসে।পুরোনোরা চলে যায়।
উদাসীন বল্মীকে ঢেকে যায় জনপদ॥

প্রস্তুতি 

ধুত্তেরি বলে চলে যাওয়া যায় সহজেই।
'যথেষ্ট কারণ আছে' -
দাবি করে নিন্দুকেরাও,
তবু হেরে যাওয়া মানুষেরা "বিদায় সম্বর্ধনা"
পায় কী?কেই  বা দেবে-
জল, হাওয়া আর আতপ ভোজ্য!
পরাজয়ের গুঢ় আবর্তে স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকারে
অনেকটা সময় কাটিয়ে চোখ সয়ে যায়।

কবি দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় 
বৈঁচিগ্রাম, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ 






























0 Comments