
ভাতের ফেনা
খাতার পর খাতায় শুধু অংকই করে গেলাম।
একেকটা সময় দেখি এক একটা পর্বত দাঁড়িয়ে
তার এমন ছায়া আমাকে অস্তিত্বহীন করে তুলেছে
যতই তাকে ডিঙোতে চাই মেনিনজেস পর্দাটা প্রায় কুঁকড়ে কুঁকড়ে যায়।
তবু আমি দম হারাইনি। খুঁজতে লাগলাম কোথায় খাইবার কোথায় বা গোমাল গিরিপথ!
সম্পদের পারদটা থার্মোমিটারের নিম্ন স্থিরাঙ্কে দাঁড়িয়ে।
ভাতের ফেনে খুঁজতে লাগলাম প্রতিটি কোষের পরাগ।
কোষের প্রতিটিতে কুঠুরিতে, হাতে কুঠার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দূরদর্শনের অজস্র প্রোটোপ্লাজমিও চ্যানেল।
ওরা আমার আত্মাকে টেনে নিয়ে গেল।
ব্রাউন সুগার এর চেয়েও সুস্বাদু এরা।
আত্ম সম্মোহিনীর ঘেরাটোপে পুতুলের মত সরল দোলগতিতে বারবার ঘুরতে লাগলাম।
শস্য যে লাগাম খুলে দিতে পারে এই ভরসায় ডিঙার উপর সারা শরীরটাকে ভাসিয়ে দিলাম।
0 Comments