নবান্নের স্বাদ
কলের ধোঁয়া ওঠা বন্ধ হলে পায়ে পায়ে
ফিরেছিল সেই বিঘৎ ভূমির কাছে।
দীর্ঘ অভিমানে জমা জঞ্জাল ভেঙে বুকে
শুয়ে থাকে চিৎ হয়ে,সবুজ হয়
আশালতা সাবেক শিকড়ের তাপে।
হেমন্তের মধ্যাহ্নে নবান্নের স্বাদ দিতে
ঘন শ্রাবণে কাম জ্বরে সিক্ত হলে মাটি
সন্তানের অন্নপাত্র বন্ধক রেখে
গিয়েছিল বীজ হাতে গর্ভ সাজাতে।
অনাহারের লম্বা ফিতেয় প্রতিদিন
জরিপ করে বৃদ্ধি,সোনা রোদে দেখে
বুকের সবুজ শিরায় জমা দুধ,আলপথে
শিশির ভেজা ঘাস ফড়িংয়ের নাচ।
একদিন বাতাসে ওত পাতা বিষ ঢুকে যায়
নিরাপদ বুকে।
সোনালী শস্য ঝরে অনাদরে।
হিমেল দুপুরে শ্বেত বস্ত্রে সন্তান নেয়
সবুজ পাতায় অর্পিত নবান্নের ঘ্রাণ।
0 Comments