কৃষ্ণ রায়ের কবিতা


শীতের সূর্যের সঙ্গে

কটা সহজ নদীর ওপাশে বন 
একটা সরু পথ। 
গভীরে যেতে যেতে সামনে একটা সূর্য
নদীটার শেষ সীমানায়।

ভোর হতে আরো অনেকটা অপেক্ষা 
একবার সেই শান্ত সূর্যটাকে দেখব।
প্রতিটি শান্তি প্রিয় মানুষের শীতল 
নরম হৃদয়টিকে দেখার মতো।

কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে সূর্যোদয় আমি দেখিনি।
বাঁশ বনের পিছন থেকে ওঠে আসা সূর্য 
আমি দেখেছি। শিশির মাখা ভোরে।

আলতো ছুঁয়ে যায় যখন আমার ঠোঁটে সূর্য 
আমি আরো কতকটা সুস্থ হয়ে উঠি।
শীতের সূর্যের উঠে আসা রোজ একটা খেলা
আমি সেই খেলা দেখি। 
নীরবে যখন প্রতিটি কান্না মিশে যায়
মেঘেদের সুরে। যখন ঘুমন্ত শিশুটির 
নরম গালে ছুঁয়ে যায় রোদ্দুর 
তখন সকাল হয়ে আসে। ঘুম ভাঙে।
মানুষ আবার মিশে যায় গভীরে।

কবি কৃষ্ণ রায় 
পশ্চিম সেবাগ্রাম, দেবনগর, জলপাইগুড়ি


















0 Comments