নিশিরাতের সঙ্গী
শহরজুড়ে লাইটিং আর লাইটিং।ঢাকের বাজনায় মাতোয়ারা শরতের রাত।পুজো জমে উঠেছে।আড্ডাটাড্ডা মেরে অচিন যখন বাড়ির পথ ধরবে তখন রাত সাড়ে বারোটা প্রায়।বন্ধুরা তবুও ছাড়তে নারাজ। পূজোর সময়,সবাই একত্রিত হয়েছে; ছাড়তে কি চায়।আর একটু আড্ডা আড্ডা করে দেড়টা বেজে গেলো।ততক্ষনে মন্দির ও বন্ধ,ঢাক বাজানোও বন্ধ।সবাই পরেরদিনের জন্য ঘুমের দেশে।বন্ধুরাও যে যার মত সটকে গেলো বাড়িতে।অচিনের বাড়িটা একটু দূরে,গ্রামের ভিতর।আট-দশ কিঃমি তো হবেই শহর থেকে৷অচিন সাইকেল নিয়ে রওনা দেয় গুনগুন করতে করতে৷ঘুটঘুটে অন্ধকার,রাস্তাই দেখা যায় না,তার মধ্যে আবার আশ্বিনের হালকা শীত পড়েছে ;সাথে হালকা কুয়াশাও৷ নাকে মিষ্টি মিষ্টি মৃদু শিউলি ফুলের গন্ধও এলো যেনো।দু একটা কুকুর রাস্তা পার হলো নিঃশব্দে। ওদের চোখগুলো জ্বলছিলো অন্ধকারে। নিস্তব্ধ রাত৷ টুপটাপ শিশির পড়ার শব্দ শোনা যায় শুধু। রাস্তার ধারের কলাপাতায় শিশিরের কণা চকচক করে, সাইকেলের চাকার ঘষার শব্দে পেঁচারা উড়ে যায় ঝোপঝাড় থেকে।অস্বস্তিকর পরিবেশ৷ যদিও অচিন একদম ভিতু নয়,তবুও গায়ে কাঁটা দেয়।শিরশিরিয়ে ওঠে মেরুদন্ডের কাছে৷প্যাডেলে জোরে চাপ দেয়,কাঁচা রাস্তায় রাবারের টায়ার যেনো আটকে যেতে চায়।দূরের বাঁশবাগান থেকে কেউ নিঃশব্দে পিছন নেয় ওর...।
অচিনের গ্রামের নাম ফুলগাছ।সুন্দর ছিমছাম এই গ্রামটা মোগলহাট বর্ডার থেকে মাত্র কিঃমি দু'য়েক দূরে। বর্ডার একাত্তের যুদ্ধের পর থেকে বন্ধ। ইন্ডিয়া থেকে ফুলগাছকে বিভক্ত করেছে সুন্দরী ধরলা নদী।আর শহর থেকে ফুলগাছকে আলাদা করেছে রুপসী রত্নাই নদী।রত্নাইয়ের উপর ব্রিজ।ব্রিজ না বলে পুলও বলা যায়, একদম ছোট ;সবাই ডাকে খোঁড়ার পুল/ ব্রিজ।ব্রিটিশদের তৈরী।শহর থেকে সোজা রত্নাইয়ের বুক চিরে রেললাইন চলে গেছে মোগলহাট বর্ডার এ।সেখান থেকে সোজা ইন্ডিয়ার দিনহাটা অঞ্চলের ভিতরে গীতালদায় ষ্টেশনে।আগে চলতো খুব এই বন্দরটা তবে একাত্তরের যুদ্ধে ধরলার ব্রিজ থেকে রেললাইন সবই ধ্বংস হয়ে যায়৷ বিহারীরা রাতে রাতে চুরি করে লাইনের লোহার পাইল।ট্রেন আর চলে না তবে রেললাইন এখনো আছে কিছু কিছু জায়গায়।
অচিন আজ রেললাইন ধরে সোজা রাস্তায় আসেনি।বরং ওয়ারলেস কলোনীর ভিতরের রাস্তা দিয়ে আসছিলো।বিহারী এলাকা।মদ খেয়ে দুএকটাকে বেহুস হয়ে পড়ে থাকতে দেখলো এই অন্ধকারেও।যাক তাও স্বস্তি হয় মানুষ দেখলে৷ছোট থেকেই গ্রামে মা-জেঠীমা-পিশিদের কাছে নানা রকম ভূতের গল্প শুনে বড় হয়েছে ওরা। মেছোভূত,গেছোভূত,ঠ্যাংড়া ভূত, ব্রক্ষ্মদৈত্য,শাকচুন্নি কত কি যে।এসব শুনে শুনে ভয় পেতো সবাই।কিন্তু বাইরে পড়াশুনা করে জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে এটা বুঝতে পেরেছে ভূত বলে কিছুই নেই। সব অন্ধবিশ্বাস।তবে এই মাঝরাতের নিস্তব্ধতা, পরিবেশ,গাছের ডালপালার নড়ন চড়নে মনের মাঝে এমনি অশনিসংকেত বেঁজে উঠে।মনে হয় চারপাশে অপদেবতার অস্তিত্বের আভাস।
ওয়ারলেশ কলোনীর রাস্তার শেষে ডানে মোড় ঘুরে আবারো রেললাইনের রাস্তায় নেমে আসে অচিন। নিজেকে স্হির রেখে মনে মনে গান গাইতে থাকে৷এজন্য মা বলেছে "রাত না করতে" তবুও হয়ে গেলো দেরি।আজকের মত ভালোই ভালোই বাড়ি পৌছুতে পারলে আর কোনদিন একা রাতে ফিরবে না শপথ করে মনে মনে।এই হালকা শীতেও অচিনের কপাল ঘামে। অনেকক্ষণ থেকেই ও খেয়াল করছিলো কেউ যেনো কাঁশের ঝোপগুলো থেকে ওর পাশে পাশে চলছিলো।এবার খ্যাঁক-খ্যাঁক করে হেসে দিলো কেউ।পিলে চমকে উঠলো ওর।ঘ্যাচ করে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেলো৷টুপ করে একটা শিয়াল ঝোপ থেকে বেরিয়ে রাস্তা পেরুলো- জলন্ত চোখ আর অবয়ব দেখে ঠাওর করলো অচিন।ওফ,হাফ ছাড়লো ও। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলো৷খোঁড়ার পুল আর বেশি দূর না।
ফুলগাছে অচিনদের বাড়ির এলাকাটা আবাদী জমি শুধু।দূরে দূরে অনেক গুলো বাড়ি আছে বটে।সবাই মিলে পূজোও করা হয়,কালীমন্দিরে৷দূর্গা পুজার থেকে কালীপূজো বেশি ধূমধাম করে হয়,বলি হয় ;তখন আশে পাশের গ্রাম থেকে মানুষ এসে নিজেদের মানত দেয়া পশুর বলি দেয়।হইচই ব্যাপার একটা।আবার সমস্যাও আছে। শ্বশানঘাট আবার গ্রামের অন্যপাশে। রত্নাই নদীর পাড় ঘেষে।শহর থেকে যেতে হাতের বামে পড়ে।শ্বশান মন্দিরে আছে মাশান ঠাকুরের ইয়া বড় বিগ্রহ৷এই মাশান থেকেই নাকি খোঁড়ার পুলের নাম হয়েছে। খোঁড়া মাশানের থেকে খোঁড়ার পুল। লোকমুখে অনেকেই নাকি শুনেছে রাত-বিরাতে খোঁড়া মাশান দেখার গল্প। সত্য-মিথ্যে তারাই জানে!
সামনেই খোঁড়ার ব্রিজটা চোখে পড়ে।নীল আলো ছোট নদীটার জলে পড়ে আলোর বিচ্ছুরন ঘটাচ্ছে।কাছাকাছি আসতেই পাশের বটগাছের পিছনে কারো নড়াচড়া দেখা গেলো। সাইকেলের বেল বাজালো অচিন৷দুজন লোক বেরিয়ে এলো।গ্রামেরই পরিচিত৷ ওরাও চিনলো অচিনকে।
"কি ব্যাপার এত রাতে আপনারা এখানে দাঁড়িয়ে কেনো দাদা "অচিন প্রশ্ন করে।
"আর বলিস না রে একঘন্টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি৷আজব কান্ড ঘটেছে রে" ফিসফিসিয়ে উত্তর দেয় একজন।
"কি...কি...হয়েছে "?
"আরে আমি একাই ছিলাম।ব্রিজ পার হতে যাবো হঠাৎ দেখি ব্রিজটা খাড়া হয়ে গেলো, বিশ্বাস করবে না আমি নিজের চোখ কেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না"।
"সে কি...কিভাবে সম্ভব"?
"সেটাই তো রে।এর মধ্যে ও এল৷তবে পার হওয়ার আর সাহস পাচ্ছি না।এ ব্রিজের কুখ্যাতির কথা তো সবাই -ই জানে। অপদেবতার খেলা সব বুঝলে"।
"আপনি সত্যি দেখেছেন তো?এখন তো কিছু দেখছি না"
"আরে দুবার হলো;বিশ্বাস না হলে ওকে জিজ্ঞেস করো " অপর জনও মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
তিনজন পুলের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।নদীর পাথরে জল বারি খেয়ে কুলুকুলু একটা শব্দ তৈরী করেছে।ব্রিজের ওপারের একটা বটগাছ থেকে বাদুর উড়ে যায়।থমথম করে পরিবেশ।দশ পনেরো মিনিট কেটে যায়।না,কোন তো পরিবর্তন নেই।বাকী দুজন উসখুশ করে।ওদের বাড়ি আরো একটু দূরে।ওরা এগুনোর সাহস পায় না।শহরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।হালকা টলতে টলতে ফিরতি পথ ধরে।অচিন ফিরে না।বাড়ি যেতেই হবে নয়ত মা চিন্তায় পড়বে।
আরো কিছুটা সময় কেটে যায়।"ধুর ব্রিজ আবার কিভাবে খাড়া হবে?আজগুবি ব্যাপার।ওরা নেশার ঘোরে কি না কি দেখেছে।নিজেকে সাহস জোগানোর চেষ্টা করে৷ধীরে ধীরে সাইকেল ঠেলে এগিয়ে যায়।
এক পা,দু পা,তিন পা,চার পা...গুনতে থাকে ও।বুক ধরফর করে৷যেকোন প্রতিকূলতার জন্য তৈরী ও।ব্রিজ কি সত্যি খাড়া হবে? ব্রিজে উঠতেই ক্যাড়ক্যাড় শব্দ হয় কাঠের৷ সামনে,পিছনে,দুপাশে তাকায় একবার ও৷ মাথায় ঘাম জমে বিন্দু বিন্দু।আট দশ সেকেন্ড হবে হয়ত। অচিন ওপারে পৌছে যায়।হাফ ছাড়ে,উফফফ। সাইকেলে উঠে টান দেয়,একদম সময় নষ্ট করা যাবে না।ঝিঁঝিঁ পোকারা ডেকে যায়।সামনে ছোট্টবাজার টা পেরিয়ে যায়,একটু দূরে চৌকিদারের বাশিঁর শব্দ পাওয়া যায়। বাজার থেকে ডানে মোড় নিয়ে আবার বামে মোড় নিতে হয়,তারপর সোজা।
বাজার পার হতেই সাইকেল আর এগুতে চায় না।আহ!কি হল আবার।সাইকেল থেকে নেমে পড়ে।আধো আলোতে বোঝার চেষ্টা করে।সামনের টিউবের হাওয়া গায়েব। হয়ত অনেক আগেই লিক হয়েছিলো বুঝতে পারেনি৷এজন্যই এত টান খাচ্ছিলো।এবার হেঁটে হেঁটেই রওনা দেয় অচিন। রাত গভীর, যাকে বলে নিশিরাত।শুনশান নীরবতা।বুক পকেট থেকে সিগারেট বের করে আগুন লাগায় ও,টান দেয় কয়েকটা৷স্নায়ু সবল হয় কিছুটা।"মা যদি জানতে পারে ও সিগারেট খায় তবে একটা হুলুস্থুল কান্ড হবে "চিন্তা করে অচিন।
এতক্ষন ফাঁকা মেঠোপথ দিয়ে আসছিলো ও ।দুপাশে ছিলো আবাদী জমি।অন্ধকার কম ছিলো।এবার বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে যেতে হবে।ঘন বাঁশের ঝোপের ফাঁক গলে আলোর দেখা নেই।পিছনে কারো পায়ের শব্দ শোনা যায় হঠাৎ।অচিনের পায়ের তালে তালে পা পড়ে,থপ থপ থপ থপ।
শিরদাঁড়া সোজা হয় ওর,কান খাড়া করে৷ একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালায়৷পিছনে তাকায়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কেউ তো নেই আশেপাশ তবে কিসের শব্দ শুনলো? এগুনো শুরু করে ও, দ্রুত। আবারো পিছন থেকে পায়ের শব্দ হয় তালে তালে।থপ থপ। থেমে যায় অচিন,শব্দও থামে।সিগারেটে টান দেয় ভয়ে ভয়ে।
এবার পেছন থেকে নাকি নাকি কন্ঠে কেউ বলে "আঁমাকে এঁকটা বিঁড়ি দিঁবি "?
ভয়ে অচিনের কন্ঠ কাঠ হয়ে যায় যেনো। চোখ দুটো বিস্ফরিত হয় আতঙ্কে।তবুও বিড়বিড় করে কয়েক সেকেন্ড পর জিজ্ঞেস করে ও "কে...কে কথা বলে?"
"আঁমি...আঁমি রেঁ তোঁর বঁন্ধু "
"কোন বন্ধু...কি নাম"
"নাঁম দিঁয়ে তুঁই কিঁ কঁরবি।এঁকটা বিঁড়ি দিঁবি নাঁকি বঁল"
অচিন বুঝতে পারে নিশ্চয় আজ ও কোন অপদেবতার কবলে পড়েছে।রাম নাম জপা শুরু করে।রাম নামে নাকি সব অপশক্তি বিনাশ হয়।পিছনে তাকায় না।মা বলেছে রাত বিরাতে পিছন থেকে ডাকলে নাকি ঘুরতে নেই,নয়ত ভূতেরা কব্জা করে শরীরে।তা এটা যে ভূত নাকি মানুষ তা কে জানে। তবুও মাথা ঘোরায় না ও৷শান্ত থাকতে হবে৷ আর একটু এগুতে পারলেই পরিচিত মানুষের বাড়ি আছে।
"কিঁ রেঁ দিঁবি নাঁ৷ দেঁ নাঁ রেঁ এঁকটা।কঁতদিন টাঁনি নাঁ সুঁখ কঁরে৷ওঁহ ছেঁরা" রাঁম নাঁম জঁপে কিঁ হঁবে,আঁমি কিঁ ভূঁত নাঁকি?
"কে তুমি "?
"আঁগে বিঁড়ি দেঁ তাঁরপর বঁলছি "
পকেট থেকে বের করে সিগারেটের প্যাকেট টা মাথার উপর দিয়ে পিছনে ঢিল মারে অচিন।কেউ ক্যাচ ধরে নাকি শোনার চেষ্টা করে।ওর পা দুটো ভীষন ভারী লাগছে। মাটিতে প্যাকেট টা পড়ার শব্দ পায়।
"কিঁ রেঁ শুঁধু বিঁড়ি দিঁলে হঁবে।আঁগুন দিঁবি নেঁ।
"ভয়ে বুক কাঁপে ওর।রাম নাম জপা ধরে ফেলছে,সিগারেট খেতে আগুন চাইছে। অথচ আগুন দেখে নাকি অপদেবতারা ভয় পায়।তবে এ কেমন জিনিস?"ম্যাচবক্সটাও ঢিল দেয় ও"। পিছন থেকে বিড়িতে সুখ টানের শব্দ আসে কিন্তু ম্যাচ জ্বালানোর কোন শব্দ বা আলো জ্বলে না।ভয়ংকর ব্যাপার।
"তুঁই বঁড্ড ভাঁলো রেঁ।কঁতজনকেই বঁলি দেঁয় নাঁ।দৌঁড়ে পাঁলায়।আঁমি কিঁ আঁর দৌঁড়তে পাঁরি?খোঁড়া মাঁনুষ "।
খোঁড়া?তারমানে কি ও খোঁড়া মাশানের কবলে পড়েছে?ভয়ে হিম হয়ে যায় অচিন। প্রশ্ন করে কাঁপতে কাঁপতে --"তুমি কি তবে মাশান ঠাকুর "?
"ছিঁ ছিঁ ছিঁ কিঁ বঁলছিস।আমিঁ তোঁ সাঁমান্য পাঁহারা দাঁড়।তোঁদের শ্বঁশান পাঁহারা দেঁই। "
"তাহলে তুমি আমার পিছে পিছে আসছো কেনো?আমি কি করেছি? "
"হেঁ হেঁ হেঁ হেঁ। আঁমার খুঁব ঠান্ডা লাঁগছে রেঁ। তুঁই আঁমাকে এঁকটা কাঁথা দিঁবি"।শ্বঁশানের পুঁকুরের বাঁতাস ভীঁষন ঠাঁন্ডা।"
কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দেয় অচিন "ঠিক আছে"।
"তোঁর মাঁয়ের হাঁতের রাঁন্নার ভীঁষন সুঁগন্ধ। রাঁন্না ঘঁরের জাঁনালা দিঁয়ে আঁমি দেঁখেছি।"
"তু...তুমিমম আমাদের বাড়িতেও
এসেছিলে"?
"হেঁ হেঁ হেঁ ওঁমা যাঁবো নাঁ।তোঁরা সঁবাই ভাঁলোমন্দ কঁতকিছু খাঁস,আঁমাদের বুঁঝি ইঁচ্ছে কঁরে নাঁ",তাঁছাড়া তোঁদের দেঁখে রাঁখার দ্বাঁয়িত্ব তোঁ আঁমারি"।
"মানে"?
"আঁজ যঁদি আঁমি নাঁ থাঁকতুম তঁবে তোঁকে প্রেঁতাত্বা ধঁরতো বুঁঝলি।তুঁই ভাঁলো তাঁই তোঁর সঁঙ্গে যাঁচ্ছি।কিঁন্তু এঁর পঁর থেঁকে আঁর এঁকা এঁকা রাঁত কঁরবি নেঁ বুঁঝলি।
অচিনের গা শিউরে শিউরে উঠতে থাকে৷ থরথর করে গা কাঁপা শুরু হয়৷ব্রেন আর কাজ করে না।ততক্ষনে বাঁশ বাগান পার হয়েছে ও।চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।বুঝতে পারলো জ্ঞান হারাবে।সামনে দূরে হারিকেনের টিমটিমে আলো দেখতে পায়। সাইকেল ফেলে এলোপাথারি দৌড় দেয়। কিছুটা দৌড়তেই গর্তে হোঁচোট খেয়ে উল্টে পড়ে ও৷ চিৎকার দেয়।
পিছন থেকে শুনতে পায় -
"পঁরের আঁমাবস্যায় আঁমাকে ভাঁত দিঁবি ইঁলিশ মাঁছ দিঁয়ে...আঁমার বঁড্ড খিঁদে...।।"
1 Comments
ভয় পাইছি 🥺🥺🥺
উত্তরমুছুনকিন্তু ভালো লেগেছে😍