꩜ তৈমুর খান🔸বীরভূম🔸
শব্দ জানে
এই শোকতাপ সতত শূন্যতা
শব্দে রাখি, শব্দের ভেতর ঘুমায়
নিঃশব্দ কাতরতা
একটি যুগের ঢেউ, দিনযাপনের মুহূর্ত
যে ইতিহাস লেখা হয় না
যে ভূগোলে শুধুই দেহবাদ
সব সিঁড়ি এখানেই
ঘুরে ঘুরে ওঠা যায়
অথবা ঘুরে ঘুরে নেমে আসা যায়
ফুলে ফসলে ভরা হাসি কান্নার ফুল
শূন্যের ভেতর ফুটে ওঠে ঝরে যায়
আলো আঁধারে হিজিবিজি
চেতনার মাঠে প্রেমের দেবতা নেমে আসে
বিষাদের মালা পরে আসি তার কাছে
শব্দ জানে, শব্দই জানে
কত অভিমান
যা কখনও লেখা হয় না, ছোঁয়া হয় না সমস্ত জীবনে
বিবাহ
ঘরে ঘরে বেজে উঠছে শাঁখ
শ্রাবণ সন্ধ্যায় আমার বিবাহ হল
মেঘকুমারীর সাথে
জলে জলে সঙ্গম ছয়লাপ
চারিদিকে শব্দ ছড়িয়ে যায়
সন্ধ্যামাখা শব্দের আলোতে
মেঘের সংলাপ ঝরে বৃষ্টির ফোঁটায়
আমাকে ভেজাতে আসে মেঘকুমারীরা
অবলীলা এখানে পড়ে থাকে
জাগরণে ঘুমের বাতাস বয়ে যায়
শ্রাবণবিছানা জুড়ে জলীয় বিলাস
আমাকেও উষ্ণ করে আসঙ্গ লিপ্সায়
আরশিনগরের পাখি
আরশিনগরে কত চাঁদ ডুবে যায়
বাঁশি থেমে যায়
কত রাধা ফিরে যায় বাড়ি
কৃষ্ণের দেখা নেই , অথচ কথা ছিল
কত কথা থাকে
কথারা গাছ হয় অবশেষে
কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে পাতাদের উৎসর্গ করে
শ্রাবণের জলে ধুয়ে নেয় মুখ
আরশিনগরে মানুষ থাকে না ?
ভেসে বেড়ায় শুধু মানুষের ছায়া
ছায়ারা পাখির মতো
খুঁটে খুঁটে খায় মায়া....
1 Comments
প্রতিটি কবিতাই দার্শনিকভাবনায় সমৃদ্ধ। বহুমুখী ব্যঞ্জনা দান করে।
উত্তরমুছুন