থ্রিসি বাই ওয়ান
দেশপ্রিয় পার্কের গ্রিন সিগন্যালটা পেয়ে বাস ছাড়তেই,কারো কিছু বুঝে ওঠার আগে মেয়েটি চিলের ক্ষিপ্রতায়,সাফারি স্যুট পরা ভদ্রলোকের হাত থেকে এ্যানড্রয়েড ফোনটা ছোঁ মেরে কেড়ে নিল।
--- এ কিরকম ভদ্রতা? আপনি কে? লোকটির গলায় ক্রোধের সুর।
--- আমি লক্ষ্য করেছি,বোসপুকুর থেকে আপনি আমার ছবি তুলে যাচ্ছেন। হাউ ডেয়ার ইউ! আমার ছবি তোলার সাহস আপনার হয় কি করে?
কথার ফাঁকেই ফোন অন করে গ্যালারিতে ক্লিক করা হয়ে গেছে। স্ক্রিন জুড়ে বেশ কয়েকটা ছবি ভেসে উঠতেই মেয়েটি চিৎকার করে উঠল, এইবার দেখুন আমি কতদূর যেতে পারি। বলেই লালবাজার কন্ট্রোলরুমে ঘটনাটা বিস্তারিত জানিয়ে দিল মেয়েটি।
বাসের হাতে গোণা কয়েকজন যাত্রী বিষ্ময়ে হতবাক। কারো মুখে কোন কথা নেই। মেয়েটির সাহস আর দৃঢ়চেতা স্বাধীন মনোভাবকে সবাই মনে মনে কুর্নিশ জানাল। ঘটনার আকস্মিকতায় লোকটির এবার সংকুচিত হবার পালা। মুহূর্তের মধ্যে তার চোখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল উৎকণ্ঠার ছায়া। আত্মরক্ষার আর কোন অস্ত্রই তার হাতে নেই। তিনি পুরোপুরি পরাজিত,পর্যদুস্ত।
ভবানীপুর থানার গন্তব্যে থ্রিসি বাই ওয়ান এগিয়ে চলেছে। আজ পনেরোই আগস্ট, স্বাধীনতা দিবস। সকাল দশটা। মেইন রাস্তার দুপাশে কিছু দূর অন্তর এই সময় পতাকা উত্তোলন চলছে।
গল্পকার সমাজ বসু
মিলন পার্ক, গড়িয়া, কলকাতা
0 Comments