সুকুমার হালদারের কবিতা



রূপান্তরের দংশন চিহ্ন

আমি তো কতবার বলেছি
ফুলের মতো সবার সামনে ফুটতে পারি না
নিজেকে নিজের ভেতর ঢেকে রাখি
অপরাধ ঢাকার মতো করে।

কতগুলো দিন মাস লম্বা একটা বছর...
মুঠো ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে বসে আছি

বুঝবে কি করে ? কেবল চাক্ষুস পরিচয় !  

অন্তস্থলে যে গান বেজে ওঠে
গানের গিটার ভেসে যায় সমুদ্রে
তার সুর বুঝতে পারো ? ও কেবল কৃষ্ণসাগর
শুধু কান্না ভরা তরঙ্গ ! তুমি কান্না বোঝ না !
আমাকে কি বুঝবে ?

কাহিনির অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে কবিতা
ভেবেছ কোনদিন ?

আমাকে নিয়ে ভাবছ !
আমার প্রেমের মায়া ছেড়ে বেরিয়ে এসো
তবেই হয়তো আমাকে ছুঁতে পারবে।

ছুঁলেই বুঝতে পারবে
আগুনে হাত রেখে আমার যাত্রা শুরু
যেভাবে মানুষ আদিম যুগে শোক কে
পোড়াবার জন্য আগুন জ্বেলেছিল তাদের বুকে।
ঠিক সেভাবে তোমার মধ্যের
কারসাজি,চাতুর্য সব কিছুকে
মনোবেদনার আগুনে পুড়িয়ে দাও
দেখবে তোমার হৃদযন্ত্রটা চিতাগ্নীর মতো দাউ দাউ...

মৃত্যু উপত্যকা জুড়ে কেমন সবুজ চাদর বিছানো
ওইখানে নীল ডুবুরির সন্ধান পাবে
যে তোমাকে ডুব সাঁতার শেখাবে

তবেই তো পাগলামির ভাষা শিখবে

বিচ্ছেদেও প্রেম প্রকাশ হয় তা বুঝব।।
ঋতুগন্ধ ও প্রেমিক বুঝতে পারবে 

পাগলামির দীর্ঘ পথ অতিক্রম কর

তবেই বুঝতে পারবে মহাজাগতিক রশ্মিকে
কিভাবে আগুনে রূপান্তর করা যায়। 

রূপান্তরের দংশন চিহ্ন যেদিন
সারা গায়ে লেপ্টে যাবে,সেদিন বুঝবে।

কবি সুকুমার হালদার
৪/১ যাদবগড়, হালটু, কলকাতা 























0 Comments