প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র



*প্রচ্ছদ শিল্পী- তানিয়া ইসলাম 

সম্পাদকীয়:

সব হারানোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো পাওয়ার গল্প। অনেকটা ঠিক,সময়ের কাঁধে চড়ে দুঃখ পেরোতে চাওয়ার মত।আসলে প্রতিটি উৎসবই প্রাণের কথা বলে,বেঁচে থাকার গল্প শোনায়।  

করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা যখন একটু একটু করে আনন্দ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ঠিক তখনই বেজে উঠেছে উৎসবের নির্ঘণ্ট। 
এ ব্যাপারে বলে রাখা ভাল,উৎসব বলতে বাঙালী মাত্রই দুর্গাপুজা কেই বোঝে।দক্ষিণী দের কাছে যেমন পোঙ্গল আর মারাঠি দের কাছে গণেশ পুজো, আমাদের কাছে তেমনই শারদ উৎসব। 

তাই পুজো মানেই নস্টালজিয়া। ছেঁড়া ছেঁড়া স্মৃতির মালা গেঁথে দুঃখ ভুলে থাকা। পুজোর সেই আনন্দ ও বয়সের সাথে সাথে সাথে বদলে যায়। আর সেটাই স্বাভাবিক। তবু শুকতারা,চাঁদমামা আঁকড়ে বড় হয়ে ওঠা প্রজন্ম ও জানে পুজো প্রেম, শপিং,ঘোরা আসলে তাদের নস্টালজিয়ার ই এক্সটেনশন পার্ট । 

কবিগুরু তো সেই কবেই বলে গেছেন, 
"প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দিন একাকী কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ,সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ,সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ।” দুর্গাপুজো তাই বাঙালীর আবেগের আরেক নাম। সিনেমা,সাহিত্যে বার বার উঠে এসেছে তাই শারদ উৎসব প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে বলতে গেলে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'উমা' সিনেমাটির কথা প্রথমেই মনে আসে। ক্যান্সার আক্রান্ত একটি মেয়ের ইচ্ছেপূরনের গল্প হয়েও সিনেমাটি আসলে বেঁচে থাকারই গল্প বলে। 

হিন্দু শাস্ত্রে দুর্গা শব্দটি ব্যাখায় বলা হয়েছে 
“দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
অর্থাৎ দৈত্য, বিঘ্ন,রোগ,পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন,তিনিই দুর্গা।" দুর্গা তবু দেবী হয়েও আমাদের মানসপটে বাড়ির একজন মেয়ে হয়ে ওঠে যে বহুদিন পর তার সন্তান দের নিয়ে বাবার বাড়ীতে ফেরে। এই প্রসঙ্গে অনেক আগমনী ও বিজয়া গান তৎকালীন বঙ্গদেশে বহুল প্রচলিত ছিল।  

কথিত আছে তাহেরপুরের রাজা কংশনারায়ন বা নদীয়ার ভবানন্দ মজুমদার বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজোর প্রচলন  করেন। লোককথা মতে পারিবারিক দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন দিনাজপুর- মালদার জমিদারেরা। সেই আদি দুর্গার চোখ ছিল গোলাকার ও উজ্জ্বল এবং দেবী সাদা বাঘ ও সবুজ সিংহের উপর বিরাজ করতেন।

শোনা যায় ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর রাজা নবকৃষ্ণদেব লর্ড ক্লাইভের সন্মানে কলকাতার শোভা বাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। শিকাগো ধর্মসম্মেলনের পর স্বামী বিবেকানন্দ কে ওই বাড়ির নাটমন্দিরেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। 

তৎকালীন বাংলাদেশে জমিদারেরা দুর্গাপুজোর প্রভূত প্রসার করেছিলেন। সেই সময় শরৎকালে মাঠ ঘাট জলে পরিপূর্ণ থাকতো। তারই মধ্যে প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে দুর্গাপুজো হত।পশুবলি সেইসময় দুর্গাপুজোর সাথে আবশ্যিক ভাবে জড়িত ছিল। থিয়েটার,কীর্তন,যাত্রা প্রভৃতি অনুষ্ঠান পুজোর আনন্দকে সেই সময় আরো দ্বিগুণ করে তুলতো। 

নস্টালজিয়ায় ডুব দিতে দিতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে এবার আমাকেও থামতে হবে। আপনারা সবাই মেতে উঠুন শারদ আনন্দে তবে সতর্কতা বজায় রাখুন।  ভাল থাকুন সবাই । শুধু সঙ্গে রাখুন সাহিত্য আর হৃদয়ে রাখুন হৃদস্পন্দন। 

*তথ্যসূত্র: গুগল 



সূচিপত্র:


কবিতা লিখেছেন 

মুহম্মদ মতিউল্লাহ্ ॥ গোলাম রসুল ॥ তৈমুর খান ॥ অসিকার রহমান ॥ অনুপম দাশশর্মা ॥ অশোক অধিকারী ॥ হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ রবীন বসু ॥ সুধাংশুরঞ্জন সাহা ॥ জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ॥ প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ ॥ চন্দন মিত্র ॥ রুমা ঢ্যাং অধিকারী ॥ নিমাই জানা ॥ চিরঞ্জিৎ বৈরাগী ॥ ঋভু চট্টোপাধ্যায় ॥ শুভঙ্কর দাস ॥ অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ তুলসীদাস ভট্টাচার্য ॥ লক্ষণ দাস ঠাকুরা ॥ হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ অনুশ্রী যশ ॥ বর্ণজিৎ বর্মন ॥ তন্ময় ধর ॥  সাত্যকি ॥ সোমা ঘোষ ॥ সুদীপ ব্যানার্জী ॥ চিত্তরঞ্জন গিরি ॥ মোনালিসা নায়েক ॥ মোনালিসা পাহাড়ী ॥ নবনীতা সরকার ॥ সুমন সরকার ॥ বিকাশরঞ্জন হালদার ॥ কথিকা বসু ॥ অরূপ ॥ সমর সুর ॥ অক্ষয় কুমার সামন্ত ॥ সুমন্ত কুণ্ডু ॥ চন্দন সুরভি নন্দ ॥ মোহাম্মদ আকমল হোসেন ॥ সুকুমার হালদার ॥ সৌমিত্র শীল ॥ অমৃতা খেটো ॥ মীরা মুখোপাধ্যায় ॥ দেবব্রত রায় ॥ ইন্দ্রাণী পাল ॥ সব্যসাচী বাগ ॥ সূর্য দত্ত ॥ 

      অনুবাদ কবিতা: স্বপন নাগ


ছোটগল্প ও অণুগল্প লিখেছেন-

সিদ্ধার্থ সিংহ ॥ পুলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ॥ সমাজ বসু ॥ শৈবাল মুখোপাধ্যায় ॥ সুমন সেন ॥ অদিতি ঘোষদস্তিদার ॥ দীপক বেরা ॥ সৌমী গুপ্ত ॥ উত্তম সিংহ ॥ সৌমী আচার্য্য ॥ শুক্লা মুখার্জি ॥ সোনালী জানা ॥ বিকাশ বর ॥ জয়তী ধর পাল ॥ সোমা কুশারী ॥ ডা: করণ দেবদ্যুতি ॥ মৌমিতা চক্রবর্তী ॥ উত্তম কুমার পুরকাইত ॥ পার্থ সারথি চক্রবর্তী ॥ দীপঙ্কর বেরা ॥ 

বড় গল্প: তপতী বাসু

উপন্যাস: ডা:নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়


মুক্তগদ্য লিখেছেন:

চমক মজুমদার ॥ সোমনাথ বেনিয়া ॥ অন্তরা দাঁ ॥ সায়ন ॥ শুভ্রাশ্রী মাইতি ॥ অনামিকা দে রায়চৌধুরী ॥ 

প্রবন্ধ : দেবব্রত মণ্ডল 

নিবন্ধ: সুজিত রেজ ॥ বারিদ বরন গুপ্ত ॥ 

ভ্রমণ ডায়েরি: মেঘনা রায় 

শ্রুতি নাটক: সুদীপ পাঠক 

ফিল্ম স্ক্রিপ্ট: অনিন্দ্য দত্ত 

চলচ্চিত্র সমালোচনা: অভিষেক ঘোষ 

স্মৃতি আলেখ্য: প্রবীর দে 

রম্য রচনা: সংগ্রামী লাহিড়ী ॥ নীতা বিশ্বাস ॥ দেবদাস কুণ্ডু ॥ সুষ্মিতা রায়চৌধুরী ॥ 





















































1 Comments

  1. সুন্দর সাবলীল সম্পাদকীয় প্রতিবেদন। সূচি দারুণ। অভিনন্দন জানাই।

    উত্তরমুছুন