জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের দুটি কবিতা




পুলক সর্বনাম

প্রলম্বিত অন্ধকার তাপ বা শৈত্য বাতাস

যাবতীয় রসদ পুষ্টির গল্প সব ঝঞ্ঝাহত
তোমার শীত বসন্ত গ্রীষ্ম কাঁটাতারহীন
জলের আকার গলে গ্যাছে ঋতুধর্ম

বসন্তপুর্ণিমা গর্ভাধানের গল্প লেখেনি বেলফুল
বিকেলের রুক্ষ ঝোপ লেবুবনসুগন্ধরঙিন
কাল গুনে কাটে সৌন্দর্যবিরোধী অনুযোগ
মাফিয়াবেষ্টন থিমে অস্তিত্বহীন হয়ে গ্যাছো

...সর্বনামের উৎকৃষ্ট পুলক


গোপীজন কথা ৩

নিবাত অন্ধকার।চারপাশ শব্দহীন অথবা
ক্ষীণ ডেসিবেল।হাত বাড়াতে পারো সখা
ভরসা নাম।আজকাল বাঁশি বাজে না।
একঘেঁয়ে গোচারণ প্রবল দগ্ধতা।তুমি কি
একাকী ছেড়েছো ভার প্রিয় সংস্কার মুদ্রা
ও বিভঙ্গ নীল রং শিখা ও বুনন হাসিমুখ?
বরাভয় জলের কৌশল স্ফুলিঙ্গপাত
দাহ্যতায় সব বুঝি ভুলে গ্যাছো!
লীলায় লীলায় অঙ্ক কুটিল হিসাব
অস্ত্রসজ্জা সৈন্যমুখ...তোমাকে অচেনা।
এ বেশ চেনে না ব্রজ।দুরন্ত কিশোর ভাঙো                  লজ্জা ও ক্লেদ মাখনে লালিত দেহ ব্রজরজ মেখে দামাল ষণ্ড হও।লজ্জাবস্ত্র উড়ে যাক কামনার বনে...

তুমি রক্ত আর অস্ত্রহীন দুরন্ত রাখাল হাসিমুখ      বাঁশির প্লাবনে আমাদের নিশ্ছিদ্র কালো মুছে দাও।

           কবি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
গোপেশ্বরপল্লি, বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া






0 Comments