কথা ছিল ~ ব্রততী দত্ত'র কবিতা


কথা ছিল 
ব্রততী দত্ত 

আমার হৃদয়ের পাড়ভাঙার শব্দ তুমি ঠিক শুনতে পাবে কিন্তু নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে যে বসতবাটি তলিয়ে যাবে তার দায় তোমার একার নয়, আমার দায়ের ব্যাপ্তি বিশাল।নদীর পাড় কংক্রিটের বানিয়ে তবেই বসতবাটির উদ্বোধন করা উচিত ছিল।

নিয়নের আলোয় মোড়া হৃদয় খানি দেখতে বেশ লাগে
রক্তাক্ত হৃদয় খানি যে রূপোলী তবকে মুড়িয়ে রাখা।
হাসলেই ঝরে পড়ে মুক্তো, মুক্তো তো ঝিনুকের কষ্টের ফল কান্না মোছার রুমালে লেগে থাকে জলের দাগ
জলের দাগ যে রুমালের রঙে রঙ মিশিয়ে একাকার।
হৃদয়ের তারে ভুল সুর তুলে ঝড় নামিয়ে দেওয়া যায়
যে ঝড়ে ভেঙে পড়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত রোদেলা সুর

নিজের আসল জংধরা রঙ মিশে যায় এক রাত কবিতায়
ভেবে চলে কাঠামোটা ঠিক কেমন বানালে এক মুখোশ তৈরী হয়
চোখের জল শুকিয়ে গিয়ে ঝরাপাতায় লেখে নিজের দিনলিপি
কথা ছিল ভেসে যাবে এক ফুলেল শিকারা নিয়ে এক জ্যোৎস্না রাতে
তোমার পথে রোদের মিঠাস কিংবা দখিনা বাতাসের আর্দ্রতা ছুঁয়ে থাকবে
রাগ অভিমানের কাঁটা তুলে বিছিয়ে দেবে মোরাম
তুলতুলে পায়ে এগিয়ে যাবে নৈঃশব্দ্যের পাহাড়ী পথে
নিজের বুকে অভিমানের গর্জন ঢাক্কা মারতে মারতে
মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে নিজের তৈরী করা মোরামে ঢাকা পথে।

ভেবেছিল মুখোশ নয় মুখেই থাকবে ভালোবাসার প্রতীক বড় ভুল হলো, মুখোশেই থাক নকল হাসির জয়গান।

কবি ব্রততী দত্ত 
নারকেল বাগান, নবনগর, হালিশহর 















0 Comments