যাজ্ঞসেনী গুপ্ত কৃষ্ণার কবিতা
যুদ্ধক্ষেত্র - এক
দিনের কুঁড়িগুলো ফুটে ওঠার আগেই
পেট খসা নাজায়েজ বাচ্চা সন্ধ্যের কুয়ায়।
আমি কোনো যাচনায় না গিয়ে
পুরোনো ট্রেঞ্চের গায়ে হেলান দিয়ে
আঙুলের বারুদ কামড়ে রাষ্ট্রীয় জায়েজ খুঁজি, খুঁজি কার্তুজের খোলে লেগে থাকা
সৈনিকের আপাদমস্তক বাধ্য নফর।
আজও অদূরে ঘাসের উপর টাটকা রক্তের অপরাধ,
খুনের পরে চাকুর রক্ত মুছে গেছে ঘাসে
পরিপাটী খাপ ভরে পড়ে আছে ভরা পেটে
যুদ্ধক্ষেত্র - দুই
সব ব্যথা নিভিয়ে যদি ঘুমোনো যেত একঘুমে ইহকাল -
১২ টা ৫৭য় শেষবার সাইরেন বেজে যায়...
মাথার ভেতর চাঁদের দুপিঠ। একপিঠে টাঁড় মাঠে শববাহী গাড়ি অপেক্ষারত, অন্য পিঠে শান্তিরক্ষকের কালো ভ্যান ;
নির্দেশ আসে পালানোর -
পালাই বা না পালাই দুদিক অমোঘ
শেষমেশ আকাশরথ রওনা দিলে
মাটিতে চাকার দাগে দ্বিতীয়বার বারুদনখর - এতটাই ছিল হত্যালিপ্সা
অথচ আমার মাত্র অন্ধগলি ঘুরে দু-চারখানা দানাপানির আশা
২৬/৪/২২
কবি কৃষ্ণা মালিক
সেহারা বাজার, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
1 Comments
১২ টাকা ১২ টা হবে।
উত্তরমুছুন