রবীন বসুর দুটি কবিতা
আমি ও সে
তাকে আমি দিয়েছি তাড়িয়ে, নাকি সে তাড়ালো
এই ধন্দ মনে বাজে রোজ। নাবাল জমির ওপর
শুয়ে থাকি এবড়ো খেবড়ো খড় বালিশে সটান
আমাকে দেখতে থাকে প্রায়, হয়তো বা আমিও
এই যে দূরত্ব জল মাপে, সাঁতার তাহাকে শেখায়
গভীরতা কতটাই গ্রাহ্য হতে পারে হিসাবসনিকাশ
সবকিছু ঢাকা দেয়, চিরচিহ্ন আগ্রহ জাগায়
আমাকে দূরত্ব বরাবর সহাবস্থানে ফেলে রেখে
আমি তার সহ্যাতীত ক্রোধ, সেও আমার তথৈবচ
ইশারায় কথা হয় খুব প্রত্যহ বিকেলের মাঠে
সন্ধিচুক্তি হবে না জেনেও যাত্রাপথ সমান্তরাল
উদ্বেগী সন্ধ্যার হাওয়ারা তবু দলবেঁধে হাঁটছে
এইবার কার কাছে যাব? মুষ্ঠিভিক্ষা পাত্রেই থাক্
বৈরিতা বিপুল হয় যদি অন্ধচোখ খুলে পড়ে যাক।
মেঘ সন্ন্যাস নিলে
মেঘ সন্ন্যাস নিলে পৃথিবীর কাঁদনগীত শুরু হবে।
শুষ্কতার অভিমুখ মানচিত্র ভেদ করে ঊর্ধ্বগামী
যাবতীয় রক্ত-জল কেন্দ্রীভূত কোষের উচাটন
বেমানান সহাবস্থানে মেসেজ ডিলিট করে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে বিচ্ছুরিত বর্ণমালা
ডকস্ ফাইলে লিপিবদ্ধ হয়,
তারপর মেলবডি থেকে যাবতীয় বিষাদ
মেঘের সন্ন্যাসধর্ম দেখে বিলম্বে বিগলিত নয়…
তবু, পৃথিবীর কাঁদনগীত বেআব্রু লজ্জার মতো
হিজার পরিহিত মানবতা, সান্ধ্যভ্রমণে হাঁটে!
1 Comments
আন্তরিক ধন্যবাদ আর অভিনন্দন জানাই সম্পাদকমণ্ডলীকে।
উত্তরমুছুন