সোমনাথ বেনিয়ার মুক্তগদ্য
এক্সট্রা ক্লাস
একটি অপেক্ষা ফুলুরির মতো হাবুডুবু খায়। এই বিপন্নতা দেখে সূর্য চিৎকার করতে করতে ডুবে যায়। হঠাৎ করে পড়ে যায় সাইকেলের চেন। পড়ি-মরি করে তুলতে গিয়ে হাতে কালি লাগলে মনে পড়ে দীঘল চোখের কাজলসমগ্র। প্লুতস্বরে কেঁপে ওঠে ঠোঁট। দৌড়াতে চায় বলগাহীন প্রেমের সিলেবাস। সিলেবেলে ভেঙে উচ্চারিত হওয়ার মতো কোনো শব্দ থাকে না। এই অপরূপ আনন্দের গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে থাকে দূরবর্তী কোনো সাঁকোর হুড়মুড়িয়ে পড়ার অভিপ্রায়। যদি সে না আসে! আসবে বলেই তো হাতের পাঁচ বিশ্বাস। আপন কথোপকথনের মাঝে ঝরে পড়ে পাতা। নত মাথা ঝুঁকে তুলে নিয়ে মুখের ফুরফুরে হাওয়ায় অনবরত কাঁপিয়ে চলে তার শিরা-উপশিরা। মনে পড়ে এই কাহিনির জন্মবৃত্তান্ত। দেখা হবে সখী নিধুবনের রহস্য মিনারে। কিছু আপাত অভিমান পিঁপড়ের চঞ্চলতায় অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হয়ে যাওয়া পথের রেখা বাতাসে রাখে কোনো হিমশৈলের ডুবন্ত আদর্শলিপি। বুঝতে গিয়ে ঠোঁটের আধমরা লিপস্টিক রুমালে উঠে আসে। দীর্ঘশ্বাসে এই চরাচরের ধূসর দৃশ্যের পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে। সে আসবে তো? কীভাবে? যেভাবে হঠাৎ নদীতে বান আসে। ভাসিয়ে দেয় দু-পাড়ের আকুল অপেক্ষা। ফেলে যাওয়া কাদামাটিতে রাখে উর্বর হওয়ার স্বপ্ন। এইসব যেন লিখিত বোঝাপড়া। তবুও কপি আনসাইনড থাকে। গলা শুকিয়ে যাওয়ার পেরুজাল নিয়ে মুখের উপর ভেসে ওঠে নাক্ষত্রিক সংশয়। চাঁদ ঠিক সময়ে না উঠলে দিঘির আত্মবিস্মৃতি জোনাকির নিভুনিভু আলো। একটা মধ্যপন্থার হলুদ সিগন্যাল হাত তোলে। এসে গেছে বোধ হয়। আর একটু দাঁড়িয়ে যাও। সব ভুল বাদামের খোসা হয়ে যাক। এক্সট্রা ক্লাস মানেই অচেনা অঞ্চলে ভয়ডরহীন ট্রেকিং। এই গল্পের শেষেও নটেগাছ থাকবে। মুড়িয়ে যাওয়ার আগে সাতপাকে প্রজাপতি হাসবে। মনের বৃষ্টিচ্ছায় এলাকায় রামধনু আঁকা হবে ইতিপূর্বের কিছু কথায়...
0 Comments