ব্যাখ্যা ও বিশ্বাস
এক ভদ্রলোক এলেন,
জাতীয় জনসভা আয়োজিত পূজোপাঠের মাঝে,
এবং হঠাৎই দাবি করে বসলেন যে, তিনি মদ্যপানহীন বোধসম্পন্ন এক দেবতা।
এরপর মধ্যাহ্ন সূর্যের থেকে একটা জ্বলন্ত কাঠি এনে যজ্ঞকাঠ ছুঁয়ে দিলেন,
দাউদাউ আগুনের সামনে নমস্কারের ভঙ্গিতে
দু-হাত জোড় করে প্রার্থনায় জানালেন : "শুভবুদ্ধি দাও হে মাতা।"
তখনই আস্তিকতায় ঘোর অবিশ্বাসী
আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগে উঠল, "দেবতা কী কখনও ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন ?"
যেহেতু আমি ছাতিমতলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, তাই তাঁর তৃতীয় চক্ষুটি দেখিনি।
জিজ্ঞেস করতেই বললেন : "একমাত্র নিস্পন্দ সেই চক্ষুটি আজও ঘুমন্ত।"
স্বর্গলোকে দেবতারাও বিষাদগ্রস্ত হন,
কারণ বহুকাল লুকিয়ে রাখবার জন্য তাঁদের কৃতকর্মের সমস্ত প্রহর বিষন্ন ।
সেখানে উপস্থিত আল্লাহ'র এক অন্ধ বান্দা সম্মত হলো না, ভদ্রলোকের ব্যাখ্যায় ।
সে বলল : "কোনো একসময় এই যজ্ঞস্থলের নীচে বসেই আমরা কলমা পড়তাম।
আর আমাদের কবরে ঘুমন্ত প্রাণগুলো থাকত তখন বেহেস্তে প্রসন্ন।"
কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী
সল্টলেক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
0 Comments