
কাট টু
মায়াবন্দরের ধর্মশালায় একসপ্তাহ। পাহাড়ের উপরে হোটেলে খাওয়াদাওয়া । সব তরকারিই টক,সুরমাই মাছের ঝোলও। পাহাড়ি পিচ রাস্তায়,গাছতলায় পরে থাকা আমের ছড়াছড়ি,কুড়োনোর কেউ নেই। হোটেলের টিনের চালের নীচে বড় ব্যারেল পাতা।অবিরাম বৃষ্টিতে সেখানে জল জমা হচ্ছে।পানীয় জল এখান থেকে অনেকেই রঙ্গত,কদমতলা, লেবুতলার মতো ছোট শহরে সরকারি বাসে ও পি .ডব্লিউ. ডির ট্রাকে করে চলে গেল। অনেকে আবার মেশিন ডুঙ্গিতে (এই অঞ্চলে ডিঙ্গির চলিত রূপ) করে আসেপাশের কাছাকাছি দ্বীপের জনবসতি তে চলে গেল।আমরা অপেক্ষায়।ছোট ভেসেল চওড়া বা উঙ্গি পোর্টব্লেয়ার থেকে এখানে আসবে।সেই ভেসেল করে ডিগলিপুর যাব।নর্থ আন্দামান।সব থেকে বড়ো বাঙালি দ্বীপ।অনেকে আবার কালীঘাট থেকে ছই দেওয়া মেশিন ডুঙ্গি ভাড়া করে সমুদ্র থেকে খাঁড়ি তে ঢুকে নালার মধ্যে দিয়ে শর্টকার্ট ডিগলিপুরে পৌঁছে গেল একদুপুরের মধ্যে ।পাহাড় থেকে সমতলে নেমে সমুদ্রে মেশা ছোট ছোট নদীগুলোকে এখানে চলতি কথায় নালা বলে। অনেকে কালীঘাটের এই শর্টকার্টে যেতে মানা করলো। খাঁড়িতে এবং নালাগুলোতে কুমির ভর্তি। আক্রমণ করলে পালানোর কোনো উপায় নেই তাই রিস্কি হয়ে যাবে ।
এই কদিন ধর্মশালার পিছনের দিকে বড় বড় পাথরের বোল্ডার বেছানো সাগরের তীরে, বালির চরে অনেক শামুক-ঝিনুক কুড়োলাম। পাথরের ফাঁকে সমুদ্রের চকচকে জলের মধ্যে দেখি হেঁটে বেড়াচ্ছে গায়ের শিরায় কাঁটাওয়ালা একটা শামুক। পুরো যেন একটা খেলনা হেলিকপ্টার । জেটি তে দাঁড়িয়ে জলের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে যেন দু তিন ফুট নীচেই সমুদ্রের তলদেশ । জলের নীচের চকচকে বালিভূমি কে দেখে মনে হচ্ছে যেন কাচের টেবিলের জাস্ট নীচে পেতে রাখা একটা ছবি। একসপ্তাহ পরে পোর্টব্লেয়ার থেকে এম.ভি.চওড়া এসে দাঁড়ালো মায়াবন্দর জেটিতে রবিবার সকাল নটায়। সবাই বলছে ভেসেল । আমি দেখলাম হাওড়া ব্রিজ থেকে দেখা গঙ্গায় ভাসতে থাকা বড় বড় জাহাজের থেকেও এগুলো অনেক বড়, আসলে এগুলো তো সমুদ্রে চলে । দশটায় এম.ভি. চওড়া যাত্রা শুরু করলো । আবার বড়ো সাগরে, তবে এখন চারদিকে তাকালেই কাছেদুরে ছোট বড় সবুজ দ্বীপ দেখা যাচ্ছে ।
কাট টু
চার ঘন্টা চলার পর আবার জেটি। ডিগলিপুর। পি.ডব্লিউ. ডির পাথরবালি বওয়া ট্রাকে করে দ্বীপের কেন্দ্রস্থলে ডিগলিপুর বাজার ছাড়িয়ে আরো এক কিলোমিটার এগিয়ে পাহাড়ি রাস্তার পাশে নেমে পড়লাম। জেটি থেকে এখানে আসতে প্রায় একঘন্টা সময় লেগে গেল। বাবার ছোটবেলার এক বন্ধু এখানে জুনিয়র স্কুলের শিক্ষক (ক্লাস ওয়ান থেকে এইট)। পাহাড়ের গায়ে খাদ কেটে তার বাড়ি । বাগিচা। বাগিচায় সুপারি কমলালেবু এবং সাগর কলার চাষ।রাস্তার পাশে তারই পাহাড়ি জমির ঢালে ভাড়া নিয়ে আনন্দ মার্গীদের কে.জি. স্কুল । গ্রীষ্মের ছুটি । স্কুল ফাঁকা একজন মাত্র শিক্ষক রয়ে গেছেন । সরু এবং খুব ফাঁপা হালকা পাহাড়ি জংলি বাঁশ চপারের উল্টো পিঠ দিয়ে মেরে গিঁট ফাটিয়ে চাঁচাঁরি বের করে তাই দিয়ে চটা পিটিয়ে বেড়া। আমাদের এখানকার মুলি বাঁশের মতো চাঁটাই বেড়া কিন্তু এখানের লোকেরা বুনতে পারে না। উপরে কেয়া পাতার ছাউনি।জঙ্গল
থেকে কেটে আনা গাছের আস্ত গুড়ি দিয়ে ঘরের খুঁটি। মোটামোটা ডাল দিয়ে আড়া রুয়া পার । জংলি লতা ও গাছের ছাল পাকিয়ে দড়ি। আপাতত একসপ্তাহের জন্য এটাই অস্থায়ী ঠিকানা। স্কুলের বেড়ায় ঝোলানো চার্ট দেখে দেখে হিন্দি এক দো তিন থেকে নিরানব্বে স পর্যন্ত শিখে ফেললাম । আমরুদ মানে পেয়ারা,পেড় মানে গাছ,গায় মনে গরু,ভৈঁস মানে মোষ এসব মুখস্থ করে ফেললাম।দুদিন রেস্ট নিলাম। ডিগলিপুর দ্বীপের একমাত্র বাজার। সুভাষগ্রাম।এখানে নালার পাড়ে সরকারি বাসস্ট্যান্ড।
কাট টু
বেসরকারি বাস বা অন্য কোনো ট্রান্সপোর্ট ছিল না ।পর পর পাহাড় ও সমতল ভেঙে দেড় ঘন্টা বাসে চেপে জঙ্গল ঘেরা এক গ্রামে পৌঁছলাম ।পাহাড়ি জঙ্গল ভেঙে নালা পেরিয়ে পঁচিশ মিনিট হেঁটে পৌঁছলাম আরেকটা পাহাড় - জঙ্গল ঘেরা গ্রামে । গ্রামবাসীরা বাস থেকে নেমে বিকেল তিনটের মধ্যে এই পাহাড়ি জঙ্গল পেরিয়ে গ্রামে ফিরে আসে । এর থেকে বেশি দেরি হয়ে গেলে আর গ্রামের পথে পা বাড়ায় না বাস রাস্তার আসে ।পাশেই জঙ্গলের বাইরে কোনো পরিচিত লোকের বাড়িতে থেকে যায় ।পরের দিন সকালে গ্রামের পথে হাঁটতে থাকে।অন্ধকার ঘন জঙ্গলে বুনো শুয়োর, মাথামোটা সাপ, ছিনে জোক এবং নালায় কুমির। রাতে এদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।তবে নিরীহ হরিণেরাও ছুটে বেড়ায় জঙ্গলে ।
নিঃসন্তান এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে উঠলাম। গাছ থেকে তোলা কাগজী লেবুর গন্ধ এখনো হৃদয়ে জমে আছে। বাড়ির বুড়ো কর্তা রাতে অনেক গল্প বললেন । এক সন্ধ্যায় খেপলা জাল নিয়ে নালায় মাছ ধরতে গেছেন । জাল আর টেনে তুলতে পারছেন না উপরে । মনে হলো কোনো বড় গাছের গুড়িতে জাল আটকে গেছে । পাড় থেকে একটু নিচে নেমে কুপির আলোয় দেখলেন কুমিরের বড় করা হা । হাতের কব্জি থেকে দড়ি ছাড়িয়ে জাল ফেলে রেখে ছুটে উপরে উঠে প্রাণে বেঁচে ছিলেন । দু'দিন পর ফিরে এলাম ।
কাট টু
ডিগলি পুর বাজারের কাছে সুভাষ গ্রাম। বাংলাদেশের একটি উদ্বাস্তু বাঙালি পরিবার।সরকারের দেওয়া পনেরো বিঘা হিল ল্যান্ড ও পনেরো বিঘা প্যাডি ল্যান্ড পেয়েছে।সব ফেলে রেখেই এই পরিবার মেনল্যান্ডে ফিরে গেছে ।পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের কাছে মেনল্যান্ড । মেনল্যান্ডে ফিরে যাওয়া ওই পরিবারের এক আত্মীয় এখনও সপরিবারে বড় রাস্তার পাশে নালার পাড়ে বাস করছে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া নিজের জমিতে । এরাই এখন এই জমিজমা, বাড়িঘর ভোগদখল করছে। সেই পরিত্যক্ত বাড়িতে আমরা আপাতত স্থায়ী ভাবে বাস করার সুযোগ পেলাম ।
কাঠের দোতলা বাড়ি। জংলি গাছ কেটে এনে গোটা গোটা দাঁড় করিয়ে খুঁটি। জংলি বাঁশ ফাটিয়ে বেড়া বানানো। উপরে টিনের ছাউনি। বড় বড় কাঠের বিমের উপরে গোটা গোটা বাঁশ পেতে,জংলি লতা দিয়ে পেঁচিয়ে দোতলার পাটাতন।তার উপরে ফাটানো বাঁশের চাঁচারি পাতা।
এখানে পাহাড় ও সমতলভূমি একে অন্যের গায়ে লেপ্টে আছে।এই জায়গাটা সমতল।সমতল ভূমিতে দাঁড়ালে মনে হয় চারদিকে পাহাড় ঘেরা। এটা ছাড়া আর কোথাও যেন কোন সমতলভূমি নেই।কিন্তু প্রত্যেক টা পাহাড়ের কোলে সমতলভূমি মাথা পেতে শুয়ে আছে।আমার অস্থায়ীভাবে স্থায়ী এই বাড়ির চারপাশে সুপারি বাগান। উত্তর মাথায় পুকুর। উঠোনে আমগাছ, কাঠাল গাছ । তিরিশ চল্লিশ ফুট লম্বা গর্জন গাছ।পিপুল লতা। ঘরের গা ঘেঁষে পূর্ব দিকে বাতাবি লেবুর গাছ।পুকুর পাড়ে কলা বাগান। উঠোনেই বিশাল বেগুন ক্ষেত, লঙ্কা ক্ষেত, ভেন্ডি ক্ষেত,ঝিঙে ক্ষেত, ক্ষীরা ক্ষেত, লুবিয়া ক্ষেত। বাড়ির সীমানার বাইরে উত্তর ও পূর্ব দিকে ধানক্ষেত। এই ধান ক্ষেতের মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় এক হাত সমান গর্ত খুঁড়লেই চকচকে জল উঠে আসে ।পাড়ার মেয়েবৌরা একটা বাটি দিয়ে তুলে তুলে পেতলের কলসিতে সেই জল ভরে ঘরে এনে রেখে দেয় খাওয়ার জন্যে। রান্নায় ব্যবহার করে পুকুরের জল।পশ্চিম দিক থেকে চলে আসা মাটির কাচা রাস্তা বাড়ির পেছন দিক থেকে পূর্ব দিকে চলে গেছে নালার মধ্যে। নালা পেরিয়ে পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলে গেছে অন্য গ্রামে।
কাট টু
দুপুরে স্নান করতে গিয়ে নালা পেরিয়ে দিই ছুট। পাহাড়ের পর পাহাড় ভেঙে,জঙ্গল পেরিয়ে চলে যাই নতুন দেশের খোঁজে। প্রত্যেক দিন একটু একটু করে সময় বাড়াই।বাড়াই দিগ্বিজয় করে এগোনো সীমানা। আগের দিনের সীমানা ভেঙে রচনা করি নতুন সীমানা। নিজেকে কলম্বাস ভাবতে থাকি।
এখানে একই নালা সাপের মত কুণ্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে পুরো এলাকার পাহাড় এবং সমতলভূমির দখল নিয়েছে। যে দিকে যাবে সেদিকেই নালা।এক বাড়ি থেকে আর এক বাড়ি যেতে হলে নালা পেরোতে হবে। কোথাও তো একই পরিবারের বাড়ির উঠোন চিরে নালা। নিজের সব্জি ক্ষেতে যেতে হলে,ধান ক্ষেতে যেতে হলে , মাঠে গরুছাগল নিয়ে যেতে হলে সেই নালার বুকের ওপর দিয়ে যেতে হবে।সাঁকো বা চার নেই সারা গ্রামের কোথাও।নালার বাঁকে বাঁকে ভাঙনের দিকে গভীরতা বেশি। যে দিকে চর জাগছে সেদিকে জল কম। বাঁকের যেখানে হাঁটু জল বা তার কম,সেখান থেকেই মানুষ গরু বাছুর সাইকেল,ভ্যান,মোষের গাড়ি এসব পার হয়। ঠিক বিশ্বকবির ছোট নদী কবিতার বর্ণনার মত। ডিগলিপুর বাজারের কাছে এই নালা গর্ভবতী মহিলা। এখানেই একমাত্র লোহার কাঠামোর উপরে মোটা কাঠের ব্রিজ।এই ব্রীজের ওপর দিয়ে ট্রাক, জিপ,মোষের গাড়ি ,সাইকেল, ভ্যান মানুষ গরু সব পার হয়ে বাজারে যায়। ১৯৮৭ সালে এই ব্রিজের সামনের রাস্তায় খাকি শার্টপ্যান্ট পরা তরুণী মহিলা ট্রাফিক পুলিশ দেখে আমি অবাক হয়ে গেছিলাম। বাবার অফিস রাইটার্স বিল্ডিং এ কতবার গেছি লালবাজারের সামনে দিয়ে।কিন্তু সেখানে তো তখন কোন মহিলা পুলিশ দেখতে পাই নি,ট্রাফিকে তো দূরের কথা।
ডিগলিপুরের সব থেকে বড়ো বাজার এই সুভাষগ্রাম বাজার।পাহাড়ের গায়ে খাদ কেটে সমতল করা। মেঝেতে নেট সিমেন্ট। বড়ো বড়ো গোটা গাছের গুড়ি দাঁড় করিয়ে তার উপরে লোহার কাঠামো।প্রায় পঁচিশ ফুট উপরে টিনের শেড। চারদিকে খোলা। এই খোলা মেঝেতে সাদা রঙ দিয়ে দাগ কেটে ফড়েদের দোকান।সব্জি, আলুপেঁয়াজ,চালডাল,পানসুপারি,মাছ।সব এই খোলা জায়গায় অস্থায়ী। পাশে গোডাউন ভাড়া পাওয়া যায়। সকাল থেকে সারাদিন এই বাজার। সন্ধ্যায় বন্ধ। এর চারপাশে বড়ো বড়ো স্টোর।বেশিরভাগ বড় ব্যবসায়ীরা ছিল তামিল। মুদি।জামাকাপড়। ফার্মেসি।টেলরিং।চা,নাস্তা। ইডলি ধোষা।ভাতের হোটেল।পানের দোকান।সব পানের দোকানেই মদ বিক্রি হোত প্রকাশ্যে।সবাই কিনতো অন্য সব স্বাভাবিক জিনিসের মতোই কোন লুকোছাপা না করে। সারা ডিগলিপুরে তখন শুধু ষ্টেটব্যাঙ্কই ছিল। তাও একটাই ব্রাঞ্চ।
এই বাজারে রবিবার করে হাট বসতো। আমার বাবার শৈশবের এক বন্ধু ভরত গোল্ডার পশ্চিম সাগর নামে এক গ্রাম থেকে এই বাজারে আসতো পায়ে হেঁটে। সে বাড়ি থেকে ভোরবেলায় মোরগমুরগীর ঠ্যাং বেধে বাঁকের একদিকে ঝোলাত। অন্য দিকে সব্জি ঝোলাত। বাজারে এসে পৌঁছাত এগারটা সাড়ে এগারটায়। বিক্রিবাটা করে সেই টাকায় মুদি বাজার করে, মোটা তেল মানে ডিজেল কিনে, কিছু একটা খেয়ে নিয়ে একটার মধ্যেই গ্রামের পথে পা বাড়াত। বাড়ি ফিরত সন্ধ্যার আগে। সারা রাস্তাই তো পাহাড় আর জঙ্গল।
সরকারি কোয়ার্টার,হাসপাতাল,ফরেস্ট রেঞ্জারের অফিস,সরকারি স্কুল, আর ঐ এস. বি. আই,এই কটাই ছিল পাকা বাড়ি। তাও মাথার উপরে কংক্রিটের ছাদ নয়,টিনের শেড।
কালপং নদী এই দ্বীপের সব থেকে বড়ো নদী।বাজারের পাহাড়টা পেরলেই এই নদীর পেট।
এই নদীর তীরে সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল, বারো ক্লাস পর্যন্ত। তারপর কলেজ যেতে হলে, হয় পোর্টব্লেয়ার নয় কোলকাতা।এই নদীর তীরেই বড়ো খেলার মাঠ। দ্বীপের একমাত্র দুর্গাপূজা হয় এই মাঠে। এই নদীর চরে একদিন রাখাল হয়েছিলাম।
কাট টু
"ঢলক, ঢলক...সবাই জাগো…ঘুম থেক ওঠো….সাবধান সাবধান…ঘরের জিনিস সামলাও…"
রাত দেড়টা । ঘুম ভেঙে দেখি বাড়ির উঠোনে জলে ঢেউ ছলাৎ ছলাৎ।পাহাড়ে অবিরাম মুশলধারে বৃষ্টি হলে নালা অত জল ধরে রাখতে পারে না । তখন সেই জলের স্রোত এইভাবে সব কিছু ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়ে নীচে নেমে আসে। এর নাম ঢলক ।সারারাত জেগে শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভেঙে দেখি এক ফোটা জল নেই কোথাও। সকাল হতেই বাজারের দিকে হাঁটলাম। সারা রাস্তায় দেখলাম ধানক্ষেতে, সব্জি ক্ষেতে, নালার পাড়ে, ঢলক তার চিহ্ন রেখে গেছে।
কালপং এর পাড়ে খেলার মাঠে গিয়ে দেখলাম একজন উবু হয়ে শুয়ে আছ। তার সারা গায়ে কাদা পলি। নদীর চরে বাড়ি। ঢলকের জল বাড়তে দেখে পরিবারের সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রাণে বাঁচতে। এক পরিবারের সাত জন।শুধু ছোট ভাই আর বৃদ্ধা মা কিভাবে যেন…বাকি সব…
1 Comments
দারুণ। খুব সুন্দর। অসাধারণ....
উত্তরমুছুন