স্বরচিত রাস্তার ওপরে
চোখের জলে দুটো নৌকা ছেড়ে দিয়েছি,
মুগ্ধতা জানে এ জন্মের যাত্রা হল শুরু...
একটা সন্ন্যাসীর বস্ত্র পরে তরঙ্গের গুহায় একা পোহায় আগুন,আগুনের ব্যবহারে...
একটা গৃহস্থের পোশাক পরে প্রতিটি ঢেউ ভাঙতে থাকে,অশ্রুতে,অন্ধকারে...
প্রণম্য করজোড়, বুকের অন্তহীন দুঃখদাহ হতে।
মৃত্যুর জন্মদিনে খরচ করেছি কিছু নির্বাসন
মুখোমুখি বিরোধ হোক প্রেম ও পথের
শরীরের কোন্ অংশে কাম? বাঁশি ও পালক ঢের
জমা হয়েছে অলৌকিক খেলায়,বিরতি,ওগো বসন!
নিজের সামনে নিজেকে দাঁড় করাই,আঙুল তুলি সুপ্রাচীন মানব-মানবীর উৎস প্রশ্নে,আমি কে? আমি কোথায়? আমি পাথুরেলিঙ্গ না দুধসাগরীয় যোনী!
প্রতিটি রাত আসে আমি নিজেকে অনুতাপ দিয়ে ঢেকে রাখি বলে,
প্রতিটি দিন আসে, কারণ,আমি নিজেকে মাতৃগর্ভের জলীয় আয়নার মতো খুলি!
আমার ভেতর যে অশেষপৃথিবী,একথা কি করে ভুলি!
কবি শুভঙ্কর দাস
হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
0 Comments