
মিশর রায়-এর তিনটি কবিতা
সুতরাং সাময়িক
বাঁঁ দিকের জানালা দিয়ে
শুক্তোর গন্ধ,
সামনের জানালা দিয়ে
মাংস মাংস
ওরে কে আছিস?
নাঃ কেউ নেই
শুধু মুখ থেকে খিদের গন্ধ।
বাঁ দিকের জানালা দিয়ে
হাস্নুহানার গন্ধ আসছে,
সামনের জানালা দিয়ে
ফেরিওয়ালার ঘাম
ওরে কে আছিস?
নাঃ কেউ নেই
শুধু মুখ থেকে খিদের গন্ধ।
বাঁ দিকের জানালা দিয়ে
মানুষ গন্ধ আসছে
সামনের জানালা দিয়ে
হিংসে হিংসে
ওরে কে আছিস?
নাঃ কেউ নেই
মুখ থেকে খিদে জমা পাথর গন্ধ
ওরে কে আছিস?
নাঃ কেউ নেই,,,
উপন্যাস
ঝড়ো রাতের গল্প গুলো রাত্রি মেখে মেখে
আফিম নেশায় বেড়েই চলে নরম ভোরের সন্ধানে
মন মাতলো ছন্দে সুরে,ঠিকানা প্রস্তুতে
একটি গোলাপ রক্তিম সে,তোমার অপেক্ষাতে।
ঘুমন্ত উপন্যাস, ঘুমন্ত তুমি
আর ঘুমন্ত ছায়া পথ
লগ্নে লগ্নে তোমার নাভি
উদগীরণ ইচ্ছে স্রোতে
অনাবিল সৃষ্টি করন
ঝরছে তোমার স্তনবৃন্তে
তবুও আমি ভেসে চলি
পবিত্র তুলসীর আবরণে
শব দেহ আজ বাড়বাড়ন্ত
সব টাই আজ যন্ত্রনা ধারণ এ,,,
শূন্য
এখানে কোনো দরজায় নেমপ্লেট নেই,
টোকা দিলেই –
দরজা খুলবে, আপন কেউ নেই।
যেখানে খুন করার আবেগ নেই,
যেখানে অযথা মৃত্যুর সারি নেই।
স্বর্গ নেই, নরক নেই,
তাই ধর "ম" নেই।
মানচিত্রের ফাটল নেই,
তাই রাজা নেই,
অতএব প্রজা নেই।
সূর্য ডুবলে--
আরো মোলায়েম একটা সূর্য ওঠে-
যে যার সামনের দরজায় টোকা দেয়,
আমি একমুঠো মাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে ।
তোমরা----
সেই দেশের একটা নাম দাও-।
কবি মিশর রায়
মুকুন্দপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
1 Comments
বাহ মিশর রায়, তিনটেই দারুণ লাগলো। এগিয়ে চলার শুভেচ্ছা থাকলো।
উত্তরমুছুন