দালান জাহানের তিনটি কবিতা
অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক
যার গল্প বলে স্বস্তিহীন ঘুমিয়ে যায়
আমার পূর্ব পুরুষেরা
পাখির পালক থেকে খসে পড়ে তার
সোনার পাহাড়
বাস্তবতার কালো দাঁত ঘর্ষণহীন চাকা
কেবলই ঘুরতে থাকে
প্রজ্ঞাপনের সোনালি ফিতেয়।
ক্ষতবিক্ষত পল্লব প্রদীপ
সায়াহ্ন বেলা হাসে। সে তো আসে না
সে তো এভাবেই আসে
পশ্চিম মেঘের অন্ধকার ভেঙে
পূবের মেঘের প্রসব ব্যথায়
সকলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে।
তার দীপ্তিতে টুকরো টুকরো
খোলসে মাখা রস ভাগ্যকে ভাগ করে দেয় স্রেফ দুটি নদীতে।
সকল রাস্তায় জ্বলতে থাকে
তার আগমন আগুন
অদমিত অদৃশ্য পায়ের নিচে
কেবলই ভূমিষ্ট হয় মৃত্যু।
নূরা পাগলা
রক্তে-রক্তে ছড়িয়েছে ঘাতক
পানির ট্যাপ টিউবওয়েল নদীর মোহনায় আপন বিশ্বাসের সাথে
জীবনে-জীবনে গড়িয়ে যায় ঘাতক।
জানালায় চাঁদ এসে বসে থাকে
বলে যায় ধুলোবালির শখ সংলাপ
রাতের চেয়ে কাল কালো সমুদ্র
ঘাতকের ভয়ে চকচক করে।
লালে-নীলে ঢেকে গেছে সবুজ-সবজি
চারদিকে কেবলই পুঁটলি ওয়ালা
ঢোল বাজে খন্ড-বিখণ্ড হয় আত্মারা।
নূরা পাগলা চিৎকার করে মাঝরাতে
মাটির ছাদ ভেঙে ওঠে আসে মৃতেরা
যুগযুগ ধরে মরে যায় কীট
একটিও মানুষ মরে না।
অন্ধকারে মানুষের নাম নিতে নেই
অনন্ত দুঃখ নিয়ে ঝরে যায় বৃষ্টি
সবুজ পাতারা পাগড়ি পড়ে
অবুঝ মাছগুলো লাফায় দাপায়
দখিনের জানালায় উঁকি দেয়
এলকোহল ভেজা রোদ
চাপা হৃদয়গুলো আড়াল করে হাসি
বুকের পূর্ব কোণে জমিয়ে রাখে জল।
এখনও মানুষ মিছিলে যায়
অধিকারের বাতিক নিয়ে আঁকে কঙ্কাল
এখনও দুঃখ দিয়ে রেকার বোঝাই
সমুদ্র সেঁচার মতো সাহস নিয়ে
বার বার সমুদ্রে ডুবে যায়।
অন্ধকার আর শয়তান যমজ দুই ভাই
ইন্দ্রিয়ের ভেতরে রাক্ষস ঢুকায়
অন্ধকারে মানুষের নাম নিতে নেই।
1 Comments
কৃতজ্ঞতা
উত্তরমুছুন