
উদয়ন চক্রবর্তী'র দুটি কবিতা
নায়ক তুমি খলনায়কও
দেওয়ালের পর দেওয়ালে
জলছবি এঁকে রাখি
দিন গুজরানের অণু পরমাণু ভেঙে
সারি সারি টাঙানো দিবারাত্রির কাব্য
কোলাহল মুছে যাচ্ছে সময়ের ইরেজারে
চুপিসারে হামাগুড়ি দেয় নৈঃশব্দ
অজন্তা ইলোরার অমরত্ব বুকে নিয়ে।
অজান্তেই গুহা চিত্র আঁকা হয়ে যায়
বুকের গহ্বরে নীরবতায়
সময় বুঝে হাজির হয় একান্তে নিঃশব্দে কেউ
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একাঙ্ক নাটকের কোলাজ হাতে
সেখানেই জলছবি হয়ে ভেসে যায় জীবন
সেখানে নায়ক তুমি খলনায়কও তুমি
দিনের শুরুতে কিংবা দিনান্তে।
সুখ প্রজাপতি হয়ে উড়ে যায়
সিঁড়ি দিয়ে নাচতে নাচতে নেমে যাচ্ছে সুখ
নিঃশব্দে গুটি পোকা যেমন খেয়ে নেয়
কচি পাতাদের শরীর নিঃশব্দে তেমনই
ক্যাট ওয়াক করে হেঁটে যাচ্ছে ছলনা ।
আমি ছলাৎ করে লাফিয়ে পড়ি বারান্দায়
শেষ রোদ্দুরের আহ্লাদী ছলাকলা দেখব বলে।এটা জানি একবার চলে গেলে সে
বলে যাবে না দেখলে তুমি ইতিহাসের আরও
কাছাকাছি। আলোর কাছ থেকে শুধুই আলো ধার করো। অন্ধকার দাঁড়িয়ে আছে তোমাকে ছুঁয়ে দেখবে বলে। অন্ধকার শুধুই বিষণ্নতার ঝাঁপি নিয়ে ঘুরে বেরায়। কী অসুখ কেন অসুখ বোঝার আগেই সুখ গুটি পোকা থেকে প্রজাপতি হয়ে উড়ে যায়।
0 Comments