সৌমিত্র চৌধুরীর ছোটগল্প
সময়ের সাথে
অন্যদিন এতটা অপেক্ষা করতে হয় না। আজ বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে। সকাল থেকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যেতে হয়। এখানে দাঁড়িয়ে এখন যে একটু স্বস্তির শ্বাস ফেলবে তার উপায় নেই। ছোট্ট জায়গায় ঠেসাঠেসি ভিড়। কতক্ষণ আর এক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। দু’পা, কোমর টন টন করছে। কষ্ট হচ্ছে খুব।
সরু রাস্তার ধারে দুটো লম্বা দেবদারু গাছ। তার মাঝখানে ঘাস বিহীন চিলতে জমি। জমি ঘেঁসে রাস্তাটা বড় একটা বাঁক নিয়েছে। তারপর সোজা গিয়ে মিলেছে চওড়া সড়কে। গত বছর উদ্বোধন হয়েছে রাস্তাটার। এখনও জ্বল জ্বল করছে সাইনবোর্ডঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্মিত রাজ্য সড়ক। তারিখঃ ২/১/২০০২।
রাজ্য সড়ক খুবই প্রশস্ত কিন্তু এখানে রাস্তাটা চওড়া করা যায় নি। উন্নয়নের ছোঁয়া বর্জিত সরু পথ। পথের ধারে ক’হাতের চিলতে একটু জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। আর ওখানেই দম চাপা ভিড়। রোজ দিন না-হলেও সপ্তাহে ছ’দিন। বিশেষ করে স্কুল যখন ছুটি হয়।
স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে রোজই গজগজ করে সুদিপা। এত ছোট জায়গায় দাঁড়ানো যায়? আটত্রিশের শরীরটা নিয়ে এক পাশে ঝুঁকে মাঝে মাঝেই প্রতিজ্ঞা করে ফেলে। কাল থেকে আর এখানে দাঁড়াবোই না। কিন্তু শপথ ভেঙে একফালি মাটির উপর গাদাগাদি ভিড়েই দাঁড়াতে হয়। অন্য উপায় তো নেই। স্কুলের সামনে ওটুকুই ফাঁকা জায়গা।
চারটে বাজতে না বাজতেই হাজির হতে হয়। মৌচাকে মৌমাছিদের মত গায়ে গায়ে লেপটে থাকা। অন্যের গায়ে হেলান দিয়ে একরাশ ভন ভনানি শুনে যাওয়া। তারমধ্যে আবার কোন কোন দিন ধাক্কা ধাক্কি করেও পা’দুটো সোজা রেখে দাঁড়ানো যায় না। তার মধ্যে আবার কানে খোঁচা মারে হরেক শব্দ। আওয়াজ কখনও তীক্ষ্ণ কখনও মৃদু। গলা কখনও নরম কখনও গম্ভীর। দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-মা’দের গলায় উৎকণ্ঠা। কখনও চাপা স্বরে ফিস ফিস। আবার উঁচু গলা। কথা কথা আর কথা। তাল মিলিয়ে সময় চলতে থাকে।
রাস্তার খাঁজে ছায়া বিহীন সরু দুই দেবদারুর নিচে প্রত্যেক দিনই এক ছবি। শুধু রবিবার বাদ। স্কুলের সামনে সরু রাস্তার ওপারটায় গাদাগাদি ভিড়। রাস্তা একমুখী। হুস হুস গাড়ি ছুটছে। আগে এত গাড়ি চলত না। ইদানীং দেশী বিদেশী গাড়ির ঠেলায় রাস্তা পার হওয়া দায়। কেবলই কান ফাটানো চিৎকার। ঘন ঘন হর্ন বাজিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের পিলে চমকে দিয়ে ছুটছে গাড়ি গুলো। মানুষের পা যেন কোন মতেই রাস্তায় না-পড়ে। দু’টো দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায় গত মাসে। তাই লোকজন সতর্ক। যতই ভিড় থাক, গাদাগাদি করে চিলতে জায়গাটাতেই এক অন্যকে আঁকড়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
দাঁড়িয়ে থাকাটা কষ্টের। বয়স হচ্ছে তো! শীতকালে এক রকম কষ্ট। সবার গায়ে তখন সোয়েটার কোট। আয়তনে বেড়ে একেকটা মানুষের বেঢপ শরীর। ওই শরীরে চিলতে জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব। বর্ষায় ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়ানোর আবার অন্য হ্যাপা। আর গরম কালে বিকেল চারটাতেও তো রোদে ফটফট করে চারদিক। কপালে হামলে পড়ে চড়া রোদ। তবু শীত গ্রীষ্ম বর্ষার সব অসুবিধা মানিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেই হয়। মাথা ঝিম ঝিমিয়ে করে। দু’পায়ে টনটন।
আজকে আবার রোদের বড্ড তাত। সঙ্গে গরম হাওয়া। সায়া ব্লাউজ ঘামে ভিজে সপ সপ করছে। গলায় মুখে চ্যাটচ্যাটে ঘাম। রুমাল দিয়ে মুখের ঘাম মুছল সুদিপা। তারপর স্কুলের গেটের দিকে টানটান তাকিয়ে রইল। চারটে দশ বাজলে স্কুলের পেল্লাই বন্ধ গেট খোলা হয়। এখনও দশ মিনিট বাকী। সময় যেন কাটতেই চায় না।
গেট খুললে ছেলে মেয়েরা হুড়মুড় করে বেরোতে শুরু করবে। ছেলেদের নীল প্যান্ট, সাদা জামা। মেয়দের সাদা শার্ট, স্কারটের রঙও সাদা। সাদা নীল পোশাকে দল বেঁধে কিছু ছেলে মেয়ে স্কুলের গেট থেকে বেরিয়ে লাফাতে লাফাতে পুল কারে গিয়ে ওঠে। ওদের আগে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুল কারের চালক আর কন্ডাকটারদের দাবি মত এমনই ব্যবস্থা। ওরা চলে যাবার পরে উঁচু ক্লাসের ছেলে মেয়েরা বেরোয়। বাবা-মায়েরা সাবধানে রাস্তার ওপারে গিয়ে সন্তানের হাত ধরে।
গাছ তলায় ভিড় কমতে থাকে। সুদিপা আর কয়েক জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতিদিনই একরাশ বিরক্তি ভাঁজ ফেলে সুদিপার মুখে। মনে মনে বলে, ওঃ, কেন যে বেরোতে এত দেরি করে পিউ! ওর বন্ধু টনি বিপু রনি সব একে একে বেরিয়ে যায়। কিন্তু পিউয়ের পাত্তা নেই। মুখটা যদি পলক দেখা যেত! একবার ঘড়ির দিকে তাকাল সুদিপা। চারটে কুড়ি। এখনও বেরচ্ছে না! কোন বিপদ হয় নি তো?
রোজই এক উৎকণ্ঠা। মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে ওঠে। পা টলে যায়। তারপর রোদ আরেকটু হেলে পড়লে স্কুলের গেটে পিউর ঝলমলে মুখটা দেখতে পেয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলে সুদিপা।
-এত দেরী করলি কেন?
-পলাশ আর দীপার সাথে গল্প করছিলাম।
-মা যে কখন থেকে অপেক্ষা করছে!
উত্তর দিল না পিউ। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসল। তারপর ধীরে ধীরে বলল,
‘আজ হিস্ট্রি ম্যাম অনেকক্ষণ ক্লাশ নিলেন। পড়াতে পড়াতে কী বললেন জানো?’
-কী বললেন?
-বললেন, ‘ইতিহাস মানে চলে যাওয়া সময়ের গল্প। এসব পড়তে হবে। তবে মনে রাখবে তোমাদের সময় কিন্তু সামনে পড়ে আছে...’।
কিছুক্ষন চুপ থেকে পিউ আবার বলল, ‘ম্যাম বলেছেন সময় কাজে লাগাও, দেখবে সময়ের গাড়ি চেপে একদিন পৌঁছে যাবে আলাস্কা আমাজন আমেরিকা। কথাটা কিন্তু দারুণ, তাই না মা’!
-ঠিকই তো। আর কী বলেছেন?
-মা, পরে বলবো। খুব খিদে পেয়েছে এখন’।
-ও মা! বাড়ি চল তাড়াতাড়ি। এখন বিস্কুট আর জল খা।
মেয়ের ক্ষুধার্থ মুখের দিকে তাকিয়ে সুদিপা বলল, ‘তোর বাবাও তো এখন বাড়ি ফিরবে। ওর জন্যও তো খাবার বানাতে হবে’।
-তার চেয়ে চলো না মা, ওই দোকানটা থেকে বিরিয়ানি খেয়ে বাড়ি ফিরি। বাবার জন্যও নিয়ে যাই।
-দোকানটা সদ্য খুলেছে। খাবার বানিয়ে দিতে সময় লাগবে।
-একটু না হয় অপেক্ষা করি।
-তোর বাবা তো অফিস ফেরত অপেক্ষা করবে। ওকেও তো খেতে দিতে হবে।
-বাবা আজ তাড়াতাড়ি ফিরবে কেন?
-জানিস না, সপ্তাহে দু’দিন সন্ধ্যা বেলা আরেকটা অফিসে গিয়ে কাজ করে।
-ঠিক আছে। আমাদের ফিরতে দেরী হবে, কথাটা বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দাও।
-এখানে কোথা থেকে ফোন করবো?
বেশ ঝাঁজাল স্বরে কথাটা বলল সুদিপা। খানিক বাদে মনটা একটু নরম হয়ে এল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধীরে ধীরে বলল, ‘বাজারের এসটিডি বুথ থেকে ফোন করা যায়। কিন্তু বাড়িতে ফোনটা ধরবে কে? ফোন তো বাজবে আমাদের শোবার ঘরে। আর তোর বাবা তো ফ্ল্যাটের বাইরে, নয়ত রাস্তায়। ফোনটা ধরবে কী ভাবে?
পিউয়ের হাত ধরে টানতে টানতে একটা অটো রিক্সায় উঠে সুদিপা বলল, ‘খুব ঘামছিস তুই’।
রুমালে মুখের ঘাম মুছতে মুছতে কি যেন ভাবছিল পিউ। একটু থেমে ধীরে ধীরে বলল, ‘মা, একটা কথা বলবো’?
অটোর রিক্সায় পিছনের সিটে মায়ের কানের কাছে মুখ এনে পিউ বলল, ‘সবার পকেটে যদি একটা করে ফোন থাকতো...!
-তাই আবার হয় নাকি?
-যদি হ’ত?
-কী করতিস তাহলে?
-আমার ফোনটা দিয়ে বাবাকে এখনই জানিয়ে দিতাম।
-কী জানাতিস?
-আমাদের ফিরতে দেরী হবে। তুমি ফ্ল্যাটের তালা খুলে অপেক্ষা কর। আমরা খাবার নিয়ে যাবো।
-খুব পাকা হয়েছিস তুই। জানিস ছোট বেলায় আমাদের পাড়াতে মাত্র একটা বাড়িতে ফোন ছিল।
-খিল খিল করে হাসল পিউ। বলল, ‘এখন আমাদের বিল্ডিঙে সবার ফ্ল্যাটে ফোন। জানো, নিচের তলায় রন্টু কাকুর বাড়িতে দুটো ফোন’।
-তাই নাকি’? কথাটা বলে একটু হাসল সুদিপা।
একটু পরে বাড়ির কাছে এসে অটো রিক্সা থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়াল ওরা দু’জন।
কেমন করে যে এতটা সময় কাটল! বাড়ির কাছে মোড়ের মাথায় একটা দোকানের বারান্দায় এসে দাঁড়াল সুদিপা। দোকানটা আগে এসটিডি বুথ ছিল। ইদানীং হালফ্যাশানের মোবাইল স্টোর। ওখান থেকে নিজের মোবাইল অ্যাপে একটা ট্যাক্সি বুক করল। মায়ের বাড়ি যাবে। মা গত পরশু মাথা ঘুরে পড়ে গেছিলেন। পঁচাত্তর বছর বয়স হয়েছে মা’র। ইদানীং শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। মা থাকেন দাদার সাথে। সেই অশোক নগর। এখান থেকে অনেকটাই দূর।
সন্ধ্যা নেমেছে। বেজায় শীত। উলের মোটা চাদরটা একান্নোর ভারী শরীরে জড়িয়ে নিল সুদিপা। ফেব্রুয়ারি মাস। কনকনে ঠাণ্ডা। সঙ্গে হাড় কাঁপানো বাতাস। শীতে কাঁপছে লোকজন। হঠাৎ ব্যাগের ভিতর থেকে মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। প্রথমটায় বুঝতে পারেনি সুদিপা। খানিক পরে বুঝতে পেরেই ব্যাগের চেন খুলে হাত ঢুকাল।
মনিটারে পিউ। হোয়াটস অ্যাপে ফোন করেছে। ও ফোন করতে পারে বলে অনলাইনে থাকতে হয় এসময়। এসময় ওর সকাল। ঘুম থেকে উঠে পৃথিবীর অপর প্রান্ত থেকে ফোন করছে পিউ। উত্তর গোলার্ধ থেকে ভেসে আসা পরিস্কার কণ্ঠস্বর। পিউ বলল, ‘মা কেমন আছো’।
-ভালো আছি। তুই কেমন?
-এই চলছে।
-তোর ওখানে নাকি খুব ঠাণ্ডা?
-ভালোই ঠাণ্ডা। চারদিকে বরফ। তাপমাত্রা মাইনাস তিরিশ।
-উরিব্বাস! তুই ভালো আছিস তো?
-ভালো আছি। মা তুমি চিন্তা করো না। সামনের মাসে তো দেশে ফিরবো।
-আমি দিন গুনছি রে!
-শোন, বাবার জন্য একটা জ্যাকেট নিয়ে যাবো। তোমার জন্য কী কিনবো?
-বড় পাকা হয়েছিস। কিছু কিনতে হবে না।
-মা, তুমি না আর পালটালে না।
-চুপ কর্। পরে কথা বলবো’ বলে ফোনটা বন্ধ করে ট্যাক্সিতে উঠল সুদিপা। ঘড়ির দিকে
তাকিয়ে মনে মনে বলল, এতক্ষন দাঁড়িয়ে আছি। মনেই হল না!
কেমন করে যে দৌড়ে দৌড়ে সময়গুলো চলে যায়!
সাহিত্যিক সৌমিত্র চৌধুরী
নিউটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
লেখক পরিচিতিঃ
ড. সৌমিত্র কুমার চৌধুরী (জন্ম 25.11.1954, মালদা) বিশিষ্ট ক্যানসার বিজ্ঞানি ও লেখক। ভূতপূর্ব বিভাগীয় প্রধান ও এমেরিটাস মেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট (ICMR); চিত্তরঞ্জন জাতীয় কর্কট রোগ গবেষণা সংস্থা। অধ্যাপনা করেছেন এবং তিন দশক কর্কট রোগ সংক্রান্ত গবেষণায় নিযুক্ত। ক্যানসার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক গবেষণা পত্র। আবিষ্কৃত পেটেন্টের সংখ্যা দুটি। পেটেন্টের ভিত্তিতে করে ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টায় রত দিল্লীর আই সি এম আর। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বহু গবেষণা সংস্থার সদস্য ড. চৌধুরীর অধিনে ডক্টরেট ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেছেন দশ জন ছাত্র-ছাত্রী।
বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি অসংখ্য গল্প কবিতা প্রবন্ধ, ভ্রমণ আখ্যান এবং কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। বহু বিদেশী গল্প কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক শতাধিক রচনা বাংলা পত্রিকায় (জ্ঞান ও বিজ্ঞান, কিশোর বিজ্ঞানী, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, বিজ্ঞান বিচিত্রা ইত্যাদি) প্রকাশিত হয়েছে। বহু সাহিত্য পত্রিকায় – দেশ, বর্তমান, এই সময়, কথা সাহিত্য, একুশ শতক, শৈব ভারতী, সঙ্কেত ইত্যাদি— অসংখ্য ছোটগল্প লিখেছেন তিনি।
পুরস্কারঃ
‘যোগমায়া স্মৃতি পুরস্কার’ (২০১৫), জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকায় বছরের শ্রেষ্ঠ রচনার জন্য্য।
‘চৌরঙ্গী নাথ’ পুরস্কার (২০১৮), শৈব ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাসের জন্য।
গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরষ্কার (2019), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি দফতর থেকে), পঁচিশ বছরের অধিক কাল বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় বিজ্ঞান রচনার জন্য)।
প্রকাশিত বইঃ
১। বিজ্ঞানের জানা অজানা (কিশোর উপযোগী বিজ্ঞান)
২। আমার বাগান (গল্পগ্রন্থ)।
৩। বিদেশী সংস্থায় গবেষণা গ্রন্থঃ Anticanc cancer Drugs-Nature synthesis and cell (Intech)।
0 Comments