জলের স্বরলিপি
শেষের দিকে এসে আবার
শরীর থেকে বয়স মুছে
আমার খুব ইচ্ছে হলো
আবহমান এক নদীতে ডুবে থাকতে ।
তবুও আমি ভেসেছি আজ ডিঙিবিহীন
শ্রাবণের এই সজল দিনে ।
সীমানা ছিঁড়ে, আকাশ ছুঁয়ে
তুমিও ফের ঘর পোড়ালে !
সেই আগুনে পুড়ছি আমি
একা এবং কয়েকজনে ।
পুড়তে যতো আগুন লাগে
মরতে ততো নয় ।
তাইতো আমি জেগেছি আজ
চাঁদনী রাতে ছোঁবো পাখির উড়াল ।
কারণে আর অকারণেই
গভীর হলো রাত।
জানি না আমি ভালোবাসতে ।
জানি না ঠিক কতটা নুন
বিষাদ গানে লাগে ।
কান্না যদি সোজা সাপটা
ভাসায় কেন বুক ?
খুন হয়েছে নেশাকাতর
কত কালের দুপুর !
তবুও আমি হাত ধরেছি
মেঘবিলাসী যে কিশোরীর
কবিতা নয়, চোখের থেকে ছলকে নামে
বিষাদজল, ব্যথার গানে ডোবে কি আর
ঝাপসা দিন, পুকুরঘাট নিঝুম ঝুম।
সব পুকুরে ডোবা কি যায় !
ডুবতে বাধা নানা রকম !
আমিও একা নামতে জানি,
নামতে জানি জলের টানে ।
সাঁতার মাখি উজান ঠেলে ।
সেই সাঁতারে আগুন মিশে থাকে ।
উনুনে নয়, আগুন জ্বলে
বুকের নানা জটিল বাঁকে ।
দিনের পর দিন হারিয়ে ফেলি,
হারিয়ে ফেলি কত জীবন !
ভালোবাসার নীরব চোখ
জানে না ঠিক নীরবতার ভিন্ন মুখ ।
চোখের জলে নদী আমায়
ভাসিয়ে দিয়ে নিজেও ভেসে গেল।
ঋতুর টানে, ভুলের জালে
সিঁড়িবহুল দুনিয়াদারি
ভুলের এক চোরাবালিতে
হারিয়ে গেল অবাক করে ।
জলের মায়া,ঘাটের ছায়া
সুপ্ত থাকে নানান ছলে,
নানা রঙের রঙধনুতে ।
ঋতু বদলে,ভাষা বদলে
হয় না কোন অদল বদল।
কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহা
৫৭/৬ এ/২ সন্তোষ রায় রোড
শিবম অ্যাপার্টমেন্টস
কলকাতা - ৭০০০০৮
1 Comments
সুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুন