ভোকাট্টা ঘুড়ির সাথে
ঘুড়ি যখন উড়াতে গিয়ে কেটে যেত,
ভাসতে ভাসতে দূর থেকে দূরে,
মনে হোত দৌড়াই,ধরতেই হবে,
বড়রা বলত, থাম, দ্যাখ্ কি করে কাটতে হয়,
এমনি ভাবেই হাতেখড়ি
এই খেলায়, ঘুড়ি কাটবার নেশায়!
মিলখা সিংহের দৌড়ের টার্গেটটা
প্রতি ক্লাসে পেয়ে যেতাম উপহারস্বরূপ!
বাবা, মা, স্যার ,আরও অনেকে উৎসাহিত করতো
বড় হওয়ার নেশাটা জমানোর জন্য
বলতো, ভোকাট্টা হলে তো চলবে না,
অন্য কেউ কুড়িয়ে নেবে যে!
কেড়ে নেওয়া তো অভিধানে নেই
তাই তুখোড় মাঞ্জা হওয়া চাই,
নতুন নতুন সুতো,নতুন নতুন মাঞ্জা,
চলতে চলতে অনেক বন্ধু পারতো না,
সত্যি সত্যি ভোকাট্টা হয়ে যেত,
বেঞ্চে,ওর যায়গায় আসতো নতুন একটা মুখ,
চলতে থাকতো, বছর ঘুরে যেত,
এমনি করে পেরিয়ে গেল শৈশব, কৈশোর
পৌঁছে গেলাম এক নতুন খেলার মাঠে,
খেলার পরে খেলা, শেষ হল না,
সত্যি করে,ঘুড়ি কুড়ানো আর হল না !
0 Comments