হৃদস্পন্দন

  • Home


  • Download

  • Social

  • Feature


শেকল ভাঙার গান
অভিনন্দন মাইতি 

নড়ছি না নিজে
নাড়াচ্ছি না অন‍্যকেও।
সবাই কুঠো রুগী।

কখন ঢুকেছে ঘুণ পোকা
জানি না নিজেরাও।

 দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ফোঁপরা বাঁশ...

নড়ছি না নিজে
নাড়াচ্ছি না অন‍্যকেও।
সবাই কুঠো রুগী।

গুমোট বেঁধে আছে ভয়।
ক‍্যালেন্ডারের মতো আটকে আছি দেয়ালে।

একটু নড়লেই
নাড়ানো যেতো কতো কালো শেকড়,
ভেঙে খানখান হতো কতো শেকল।

দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ফোঁপরা বাঁশ...

কবি অভিনন্দন মাইতি 
লুটুনিয়া, সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর

















আ-ফোটা দিন 
বিকাশরঞ্জন  হালদার 

ছায়াবৃত্তে জেগে থাকে সাঁজধরা মুখ।মুঠোর হাওয়া। মধুর-দৃষ্টিপাত! কবিতার মূর্তি গ'ড়ে নিজস্ব অবুঝ। অক্ষর-পতঙ্গ ওড়ে নদীর খাতায়। তোমার হিল্লোলিত পদচিহ্নে এখনও আ-ফোটা দিন! বড় আশ্চর্য মনে হয়! আমার নিঃশব্দের পৃথিবী জুড়ে শব্দের ছড়াছড়ি! রোদ মাথায় হেঁটে যায় পথিক সময়,প্রাণহীন পৃথিবীর পথে। দ্রষ্টব্য হয় মর্মবেদনা। একাকিত্বের মৃত্যু হলে,পুড়ে যায় খাঁটি অন্ধকারের বীজমন্ত্র! কথা বাড়ায় জটিল-করোটি। রাঙামাঠ  কাছে আসে ছুটে! তবু লাঙলের  ফালে ওঠে সীতা!মাটি-আয়োজনে...

কবি বিকাশরঞ্জন হালদার 
রঘুনাথপুর, বিরেশ্বরপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা






















 




তোয়াঞ্জলী
সায়ন 

যদি সময় পাই তোমাকে নিয়ে যাবো
প্রিন্সেপ ঘাটের গঙ্গার ধারে
সেই জলে কান পেতে তোমার বুকের ঘ্রাণ নেবো
ভাষায় লেখা থাক বর্ধমানের অন্নকথা
ভারতের আলপথ বেয়ে আমি আউশের গান ধরি
অন্নমাতার চুলের কালোয় যে রাত নামে
সেখানেই পড়ে দেখো- বিদ্রোহ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব ইস্তাহার
তোমাকে নিয়ে যাবো খাজুরাহো শিলার কাছে
তোমার কোমর জুড়ে নিরক্ষরেখা ভ্রমণ
সবটাই গোদাবরী জলের রেখায়
কফিপাতার গায়ে লাগে, সন্ধ্যা প্রদীপের জলরঙ আলো, 
এখন তুমি শুধু বিরাট খোঁপায় বেঁধে রেখো একটা জীবন যার পথ চলা পায়ের দাগ 
মিশে যাবে ভারতের আলপনার শিখায়।


কবি সায়ন
এন এস সি বোস রোড, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ




















রমণগামী মৃত্তিকা
নবনীতা সরকার 

লেখার ভেতরে প্রবেশ করলেই
কয়েকটা হাত ছেঁকে ধরে আমার
গলা থেকে ঊরু...
আঘাতে ভেঙে যাওয়া কাঁচ এর মত
ঝাপসা লাগে চোখ।
লেখার ভেতরে প্রবেশ করলেই শুনতে পাই
অসংখ্য ক্রন্দন রোল,চিল চিৎকার,মিটিং মিছিল।
তারপর হঠাৎ নিস্তব্ধ চরিদিক
যোনির ফাটল থেকে বেরিয়ে আসে
নিষ্কাম শীতলতা,দেখি-

সন্তানের নাভীতে সদ্য প্রস্ফুটিত 
আামি, রমণগামী
মৃত্তিকা।।

কবি নবনীতা সরকার 
মালঞ্চপল্লী, মকদমপুর, মালদা













নাভিজ্বর
নিমাই জানা

নাভি পুড়ে গেলে জ্বরের নিরাময় হয়ে এসো জলপটির উপর

নরম আঙ্গুলের স্পর্শে জ্বরের সংক্রমণ উড়ে যাচ্ছে নাভি বিন্দু দিয়ে
ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি সকল মায়াময় সংসার যোগ
ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সকল বন্ধন , ঋষির মত যোগাসনে নিমগ্ন আধপোড়া শরীর আমার বগলের তলার পারদ মেপে যায় ফারেনহাইট ডিগ্রিতে
মাথার কাছে গভীর অসুখের দিনে ও অ্যালজোলামের উপশম খুঁজে লাটাই ছেঁড়া একটা ঘুড়ি
আসলে ঘুড়িটি কেউ নয় ঘুড়িটির ভেতরে উবু বসে আছে আমার মা

যে রক্তাল্পতা খুঁজে নিচ্ছে আমার চোখের তলায়

কবি নিমাই জানা
রুইনান, সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর




কাঁটাতার
ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পর্কের প্রলম্ব সাঁকো কে    
অনন্তের সঙ্গে বেঁধে দেবার প্রতীক্ষা
জ্যামিতিক সকল রেখাকে অতিক্রম করেছে।
গীতিকাব্যে ঋতুস্নান সেরে
কর্কট ক্রান্তির উষ্ণ আবহে তপ্ত হতে হতে
বালিতে পললে ধানের ক্ষেতে
মহীনের ঘোড়াগুলি হেঁটে যেতে থাকে।
মাঠের পর মাঠ সবুজ ঘাস
পাশে বহতা নদী এক চলমান প্রস্তাব 
যেন প্রেম
যার কোন কল্পিত সূত্র নেই
    সমাধান ও নেই
শুধু লাব ডুব লাব ডুব বুকের গভীরে,
ফিনিক্স পাখির মত মিলিয়ে যাবার আগে
শুদ্ধ ললিতে বেজে ওঠে --
উড়ে যায় মহীনের ঘোড়াগুলি
                ডানা মেলে উড়ে যায়
 নিচে  উপেক্ষায় পড়ে থাকে
           ‌                         সীমান্তের কাঁটাতার। 

কবি ড. ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়
কল্যানী, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ 
















 

মিথ্যাচারী
সৌমিত্র চ্যাটার্জী

শজারুর সরল ডানার ঝাপটায় খসে পড়ে জিজ্ঞাসু জ্যোৎস্নার মুখোশ

কান্না শুনে মনে হয় দীপ নিভে গেছে অন্ধকারের পশ্চাতদেশে

অথচ অরণ্যত্যাগী হরিণের কপালে নির্বিচারে ঝলসে ওঠে উৎসবের আগুন

তেজস্বী দেবদারুর আত্মার ভিতর অলৌকিক জমকালো মন

পথ ছেড়ে নেমে আসা চন্দনের বৃত্ত ছায়ার শপথে ঘেরা নতুন বৃষ্টিপাতে

ছড়িয়ে ছিটিয়ে জন্ম দেয় সুগন্ধের বন

অন্ধ প্রজন্ম থেমে আছে গাছের খন্ড পাতায়

জলছোঁয়া মেঘ ঘিরে একাকী সীমাহীন

মিথ্যাচারী অরণ্য…


কবি সৌমিত্র চ্যাটার্জী
শংকরপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
















সরলরেখা
সমাজ বসু 

লিখতে গেলে ঝুঁকতে হয়, ঝুঁকি--
আর কখনো কোথাও ঝুঁকতে পারি না, নিষেধ আছে।

যেদিকে তাকাই--
কত মুখ, মুখোশ আর শিরদাঁড়া পরষ্পরে ঝুঁকে
কত কথা বলে-- হাত মেলায়,
আর নিমেষেই মিলে যায় তাদের অঙ্ক।--
দেখি,আর লিখি--
লিখতে গেলে ঝুঁকতে হয়, ঝুঁকি।

জানি,এ কোন হাড়জনিত সমস্যাই নয়,
শুধু সরলরেখার মত--
সর্বদা টানটান ঋজু থাকার এক বংশানুক্রমিক ব্যাধিতে আমি আক্রান্ত।

কবি সমাজ বসু 
 মিলন পার্ক, গড়িয়া, কলকাতা






















স্তব্ধ রাত্রির ক্লান্ত অঘরী
দেবদত্ত চক্রবর্ত্তী

না নানা
কিচ্ছু হতে পারিনি আমি!
সেই ছোটবেলা থেকে আজ অব্দি
নিয়ম আর শৃঙ্খলে আটকে ছিলাম
সমুদ্র থেকে দূরে! আর সমুদ্র সরে গেছে
নদীর মতো প্রতিদিন দূর থেকে বহুদূরে!

স্রেফ কিচ্ছু না হতে পারার সাহস
প্রয়োজন ছিল আমার যা ছিল না আমার কোনকালে!
জীবনভর তাই শুধু প্রতীক্ষা করেছি আর
তিলে তিলে দেখেছি
প্রত্যাশার মৃত্যু!
স্বপ্নের সমাধি!
আর ভেঙ্গে পড়তে দেখেছি শূন্য বাতাসে জীবনের ওড়ান!

ঝেড়ে ফেলেছি জীবন থেকে সেই সবকিছু
যা ছিল আমার অবিচ্ছেদ্যভাবে নিকটতম!

একসময় নিঃশব্দ রাত্রির অন্ধকারে বসে
মোমের আলোয় রেখা টানতাম দূর পৃথিবীর
উড়ন্ত পাখির ডানায় ভেসে ছুঁয়ে আসতাম মেঘের বারান্দা!
আমার ভাল লাগে না
আর ভাল লাগেনা কোনকিছুই!
কি দিয়েছে আমাকে গাদাগাদা মুখস্থ করা পাঠ্যবই...?

এই সংসার শুধু শূন্য রিক্ততায় বেঁধেছে আমাকে
চেতনে অবচেতনে আমি শুধু শুনেছি নিঃসঙ্গ পথিকের ডাক!
এক মহাশূন্যতায়
কে যেন বেঁধে রেখেছে আমাকে
সমান্তরাল জীবনে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবিন্যস্ত সুতোর মালায়?
কি হতে পেরেছি আমি?
কিচ্ছু না! কিচ্ছু না!
শুধু রহস্যে মোড়া পৃথিবীর উপন্যাসের এক নিরেট অধ্যায় ছাড়া!

সমস্ত উচ্চাসার নীচে
যদি আমাকে খোঁজে দেখ একবার
বিজ্ঞের বিচারে যা কিছু চরমতম অসন্মানের
সেই চুরান্ত চূর্ণবিচূর্ণ নামহীন স্থানে
নিখোঁজ আমি! মনে হয় যেন আমি
এই পৃথিবীর পান্থশালায় দাঁড়িয়ে থাকা স্তব্ধ রাত্রির এক ক্লান্ত অঘরী!

কবি দেবদত্ত চক্রবর্ত্তী
                 কলেজরোড, হাইলাকান্দি, আসাম




















ভাঙা প্রাণ
মেঘনা রায় 

নেড়েচেড়ে দেখি,রাতের গায়ে আরও রাত নামে
খুদে খুদে ইউফো উড়ছে দক্ষিণে বামে
ওপরের দিক স্তব্ধ ও স্থির স্বপ্নের মতো গোল
কিংবা পৃথার মতো তুলতুলে কাম জর্জর বিপুল
স্বপ্নও তো ভেঙে লক্ষচির হয়; নাও ভাঙে যদি
কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যায় নিরবধি নদী
নেড়েচেড়ে দেখি ঘুম গুলি নক্সাদার,বৃত্তাকার
ছানাছানি করি
সুষুন্মা হিম,স্বপ্নের ফাঁস এঁটে নেমে আসে দড়ি
এখন শরীর শান্ত,সুখী অযৌন শান্তিকল্যাণ
তুমিও কি আজ খুঁজছো ভাঙা প্রাণ
মাথা কাত করে পেরচ্ছো স্টেশনের সিঁড়ি
আমার শরীর জুড়ে তোমার কুয়াশা ভাঙে আড়াআড়ি
প্রশ্বাসের দিব্যি দিয়ে আর একটু হলে কাত
দেখো তাও শেষমেশ ধরতে পেরেছি
ছেড়ে যাওয়া হাত
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে ভিক্ষা পরশে শীতল হৃদয়
পূর্ণ হাতের পাতায় জীবন ওষোধি
বলো কম কথা নয়।

কবি মেঘনা রায় 
কল্যাণী, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ 























পরিবর্তন
স্বপন জায়দার

নিকোনো মাটির উঠোনে সকালে,এসে পড়তো রোদ 

আমার প্রিয় চণ্ডীমণ্ডপ।

গফুর চাচা এসে পালা বাঁধত 'প্রতিশোধ '।

জেলেপাড়ার হরেন সাজতো জমিদার গিন্নি,বামুনপাড়া ডাক্তার কাকা তার আত্মঘাতী মেয়ের হারমনিতে কর্নসাটের তাল খুঁজতো।

চরণদাস আসরের শেষ মাথায় বিবেকের সুর

দিত ভাসিয়ে,-

বিবর্তনের আলোয় আজ বড়ো নিশান উড়ছে 

বাতাসে

গফুর তুমি ভিন্নধর্মী,জেলেপাড়ার হরেন নিচু জাত 

ভাতের বদলে জাত

কর্ম হয়েছে ধর্ম।
রাতের চাঁদের আলোয় নিকানো উঠোনের চন্ডীতলা এখন শান-বাঁধানো মঞ্চ।।

কবি স্বপন জায়দার

রবীন্দ্রনগর, চুঁচুড়া, হুগলী






















আমি একুশ দেখিনি
স্বপঞ্জয় চৌধুরী

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি এর বর্ণমালার
জ্বলজ্বল তেজদীপ্ত ঔজ্জ্বলতা

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি শহীদ মিনারের
মাথা উঁচু করে সূর্য ছোঁয়ার অহম।
এখানে রাত ছিল
ফাগুনের মধ্যরাত
লাল-লাল শিমুলের
পাপড়িগুলো বিছিয়ে ছিল
থমথমে মখমল রাজপথ।

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি বঙ্গশিশুর
প্রথম কথার বুলি
অ-আ-ক-খ,
নিঃসঙ্কচে সাদা বলাকার
মেঘে ওড়াওড়ি।

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি বৃষ্টির শব্দের মতো
কি এক স্নিগ্ধ মূর্ছনা
ছোট্ট বালিকার পায়ে
প্রথম ঘুঙূরের ঝঙ্কার
খালি পায়ে সৈকতে
হেঁটে চলার শিহরিত মূহুর্ত।

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি সহসা জল্লাদের মতো কিছু
হাত-পা-চোখ
কণ্ঠ থেকে কণ্ঠকে
জীবন থেকে জীবনকে
আর স্বপ্ন থেকে স্বপ্নকে
কেড়ে নেয়ার বর্বরতা।
এখানে রাত ছিল
গুমোট অন্ধকার রাত
রফিকের, সালামের, বরকতের
রক্তভেজা শার্ট আর
মরা বাড়ির মতো থমথমে শহর।

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি নদীর জল কেটে কেটে
এগিয়ে যাওয়া স্টীমারের ভেঁপু।
স্বচ্ছ জলের ভেতর
ছোট ছোট মাছের খেলা।

আমি একুশ দেখিনি
দেখেছি মাথা উঁচু করে
বিশ্বকে ছোঁয়ার আহবান
শিশুর হাতে স্লেট
কৃষকের হাতে লাঙ্গল
আর দলছুট বালকের হাতে
ঘুড়ি-নাটাই।
এখানে রাত ছিল
মাংসপোড়া অভিশপ্ত বসন্তের রাত
এখনও রাত আসে
তবে তা শুধুই প্রতীক্ষার
শুভ্র সকালের।

    কবি স্বপঞ্জয় চৌধুরী
ঢাকা, বাংলাদেশ 


*ছবিঋন- জাহিদুল ইসলাম








কাল সিন্ধু 
শুভজিৎ দাস

"আর্সেনিকের আলো হেঁটে যায় 
উড়ে যায় দৃশ্যেরা ,
আয়নার নীচে দারিদ্র্য ধরা পড়ে 
উবে যায় ধোঁয়াটে কাব্য ,ফেয়ারনেস ক্রিমের উজ্জ্বল্য বাষ্পাকারে,
দৃশ্য পটভূমির পর্দায় নাচে পুতুলেরা 
রাঙা ফুলের সুবাসে ঢেকে দেয় বাসি হলুদ ফলের
উদ্ভাস ;
আমি- তুমি হাসি ছেলেখেলা - ছায়া খেলায় বাস্তুতন্ত্রের বিবর্তনকে নিয়ে,
অর্বাচীন মস্তিষ্কে ক্ষুধাকে আঁকি 
চেয়ে থাকি ,
পারদের শীতল স্পর্শ আবার ছোঁয় 
ছুঁতে থাকে 
সভ্যতার দৃঢ়শর্তের অধ্যায়ের আনাচে - কানাচে।। "

কবি শুভজিৎ দাস 
শেওড়াফুলি, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ 













হাত
সুজিত রেজ

এই হাত নীরার মুখ ছুঁতে পারে না
এই হাত শুধু পীড়া দেয় পীড়া--- অনন্ত যন্ত্রণা 
এই হাত অন্ধকার লুফে নেয়
আরও গভীর অদ্ভুত জীবনানন্দীয় অন্ধকার                                                               ছুঁড়ে দেয়

এই হাতে তলরেখা নেই দাঁত আছে
এঁটো আঁতকুড় নেই কাচ কাটা ধার আছে
ওজর আছে অফুরন্ত
এই হাত পাপ শাপশাপান্ত

এই হাত মড়ক ও মরণের
উঞ্ছবৃত্তি চালিত আগুনের
ঘৃণ্য কীটদুষ্ট উচ্ছিষ্ট খুঁটে খুঁটে খায়
এই হাত কলঙ্কিত শত রাধায়

এই হাত ছুঁয়েছে তীর মদির মন্থনে
এই হাত ছুঁড়েছে তির তিতির পাখির সুধা হাড়                                                               চর্বণে
এই হাত ইতিহাসবিমুখ হয়ে বিনিদ্র জেগে থাকে
নটেশাকের আংটি পরে ডুবে যায় পোড়া                                                 অনঙ্গের নাভির পাকে

এই হাত তেত্রিশ কোটি দেবতার অংশ নয়
এই হাত প্রপঞ্চ মায়াময়

কবি সুজিত রেজ
                        চুঁচুড়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ


নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • আগস্ট (3)
  • জুলাই (22)
  • জুন (8)
  • নভেম্বর (15)
  • অক্টোবর (5)
  • সেপ্টেম্বর (81)
  • আগস্ট (66)
  • জুলাই (55)
  • জুন (56)
  • মে (57)
  • এপ্রিল (46)
  • মার্চ (15)
  • জানুয়ারী (14)
  • ডিসেম্বর (73)
  • নভেম্বর (103)
  • অক্টোবর (97)
  • সেপ্টেম্বর (101)
  • আগস্ট (120)
  • জুলাই (88)
  • জুন (76)
  • মে (63)
  • এপ্রিল (11)

🔴বিজ্ঞপ্তি:

পাঁচ মাসের বিরতি কাটিয়ে আবার ও ফিরছি আমরা। খুব শীগ্রই আসছে আমাদের প্রত্যাবর্তন সংখ্যা।

অনুসরণ করুণ

এক মাসের সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলি:

  • শেষ শোকসংগীত ~ গোবিন্দ মোদকের কবিতা
  • দুটি কবিতায় ~ গৌতম কুমার গুপ্ত
  • ব্রাত্য ~ বিদ্যুৎ মিশ্র'র কবিতা
  • দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প
  • আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা
  • গুচ্ছ কবিতায় ~ অসীম মালিক
  • সুমিত রায়ের গল্প
  • সে প্রেম পবিত্র~ প্রেমাংশু শ্রাবণের কবিতা
  • সুব্রত মাইতির কবিতা
  • তিনটি কবিতায় ~ রাগীব আবিদ রাতুল

বিষয়সমূহ

  • Poetry speaks 2
  • অণু কথারা 21
  • আবার গল্পের দেশে 8
  • উৎসব সংখ্যা ১৪২৭ 90
  • একুশে কবিতা প্রতিযোগিতা ২০২১ 22
  • এবং নিবন্ধ 3
  • কবিতা যাপন 170
  • কবিতার দখিনা দুয়ার 35
  • কিশলয় সংখ্যা ১৪২৭ 67
  • খোলা চিঠিদের ডাকবাক্স 1
  • গল্পের দেশে 17
  • ছড়ার ভুবন 7
  • জমকালো রবিবার ২ 29
  • জমকালো রবিবার সংখ্যা ১ 21
  • জমকালো রবিবার ৩ 49
  • জমকালো রবিবার ৪ 56
  • জমকালো রবিবার ৫ 28
  • জমকালো রবিবার ৬ 38
  • দৈনিক কবিতা যাপন 19
  • দৈনিক গল্পের দেশে 2
  • দৈনিক প্রবন্ধমালা 1
  • ধারাবাহিক উপন্যাস 3
  • ধারাবাহিক স্মৃতি আলেখ্য 2
  • পোয়েট্রি স্পিকস 5
  • প্রতিদিনের সংখ্যা 218
  • প্রত্যাবর্তন সংখ্যা 33
  • প্রবন্ধমালা 8
  • বিশেষ ভ্রমণ সংখ্যা 10
  • বিশেষ সংখ্যা: আমার প্রিয় শিক্ষক 33
  • বিশেষ সংখ্যা: স্বাধীনতা ও যুবসমাজ 10
  • ভ্রমণ ডায়েরি 1
  • মুক্তগদ্যের কথামালা 5
  • রম্যরচনা 2
  • শীত সংখ্যা ~ ১৪২৭ 60

Advertisement

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

মোট পাঠক সংখ্যা

লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী:

১. শুধুমাত্র কবিতা, মুক্তগদ্য অথবা অণুগল্প পাঠাবেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ক লেখা সম্পূর্ণ আমন্ত্রিত। ২. লাইনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ৩. লেখা মেইল বডিতে টাইপ করে পাঠাবেন। ৪. লেখা মৌলিক ও অপ্রকাশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্য কোনো ব্লগ, ওয়েবজিন অথবা প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না। ৫. মেইলে আপনার লেখাটি সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত, কথাটি উল্লেখ করবেন। ৬. লেখার সাথে আবশ্যিক ভাবে এক কপি ছবি ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা পাঠাবেন।  ৭. লেখা নির্বাচিত হলে এক মাসের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না এলে লেখাটি অমনোনীত ধরে নিতে হবে। ৮. আপনার লেখাটি প্রকাশ পেলে তার লিঙ্ক শেয়ার করাটা আপনার আবশ্যিক কর্তব্য। আশাকরি কথাটি আপনারা মেনে চলবেন। আমাদের মেইল- hridspondonmag@gmail.com
blogger-disqus-facebook

শান্তনু শ্রেষ্ঠা, সম্পাদক

আমার ফটো
পূর্ব বর্ধমান, India
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

সাম্প্রতিক প্রশংসিত লেখা:

সুজিত রেজের কবিতা

সুজিত রেজের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

চন্দ্রানী গুহ রায়ের কবিতা

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

দাহ ~ পাভেল ঘোষের ছোটগল্প

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

আঁচল ~ অভিনন্দন মাইতির কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

কবি সুধাংশুরঞ্জন সাহার কবিতা

হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন

© হৃদস্পন্দন ম্যাগাজিন। শান্তনু শ্রেষ্ঠা কর্তৃৃক পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে প্রকাশিত।

Designed by OddThemes | Distributed by Gooyaabi Templates