মধুবাতা ঋতায়তে
শুভ্রাশ্রী মাইতি
কাঁসার থালা-বাটি, ছাতা, চটি, বিছানার চাদর
আরও হাবিজাবি, খুঁটিনাটির সংসার
সব চেয়ে আছে চালকলা মাখা পিন্ডের দিকে
চোখের পাতায় জমানো মায়া বড় নরম আর সবুজ ...
বাগানের কাঁঠাল গাছটায় নতুন কাঁঠালধরা দেখা হল না আর।
পুরানো গোলাপের চারাগুলো গোপনে কেঁদেছে ভোরের শিশিরে
কামিনী গাছের ফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে একটা বিষণ্ন সাদা ছায়া চই-চই করে জলে নেমে গেল হাঁস হয়ে
ইঁটের ফাঁকে আটকে থাকা হরিলুঠের বাতাসাটা
এখনও তাকিয়ে অভিমানী চোখে...
ধূপধুনো দীপের দলা পাকানো ধোঁয়াগুলো গলাগলি করে বানিয়ে নিচ্ছে আমার প্রস্থানের সাজানো রথ।
পথ প্রস্তুত...রথও...যজ্ঞাগ্নি জ্বলছে দাউ দাউ...
মুণ্ডিত মস্তকে ছেলে ঘি দিল অগ্নিতে
ওঁ মধুবাতা ঋতায়তে, মধুক্ষরন্তি সিন্ধবঃ...
ছেলের হাতে তিনগন্ডুষ জল
তিনগন্ডুষ জলে ভাসছে একটা গোটা জীবন
মরণের মধুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে...
0 Comments