সময় ~ লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরার কবিতা


সময়
লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরা

এক

আমাকে মারছে নীরবে আত্মীয়-স্বজন। 
কান্নাগুলো জমাটবাঁধা পাহাড়ের মতন। 
একলা আছি,বড্ড একা একা সারাক্ষণ
জাপ্টে ধরে কালো রাত্রির দুঃস্বপ্ন।
বেঁচে আছি তবে পাল্টে যাচ্ছি কেমন।

দুই

এখনো আছি কিন্তু সময় হলো যাবার
প্রশ্রয় পেয়েছি আমি অনেক তোমার। 
আটকাতে পারিনি সময়ের স্রোত
বুকের মাঝে ডেকে চলে হায়না ক্ষধার্ত

তিন

তুলে দাও তোমার শিশুকে পৃথিবীর দোলনায় 
জানি, সময় দিচ্ছে দোলা নানা ছলনায়।
মাটিতে ঠেকিয়ে মাথা গালে দাও চুমো
নকশিকাঁথায় জড়ানো আছে আমার ওমো।

চার

তার কাছে যেতে পথে অজস্র বাধা
কালের ছলনায় কেঁদেই চলেছে রাধা। 
এখনো পায়নি সন্ধান কে সে আয়ান?
হেঁয়ালি থেকে গেছে, শুধুই কথার বয়ান। 

পাঁচ

ওই যে নদী তোমার দুয়ার অবধি এসে
থেমে গেছ অভিমানে অথবা অন্য অভিলাষে। 
জঞ্জাল বহতায় প্রচন্ড ক্লান্তি মাথায়
নদী তোমাকে বিজ্ঞাপনের মুখ করতে চায়।

কবি লক্ষ্মণ দাস ঠাকুরা
সুকান্তপল্লী, কালনাগেট, পূর্ব বর্ধমান





















0 Comments