সুজিত রেজের চারটি কবিতা
সত্য
কেউ খোঁজে না আমাকে।
আমি নিজেই নিজের নিরুদ্দেশ প্রাপ্তির খবর ছড়িয়ে দি।
কেউ বোঝে না আমাকে।
আমি নিজেই নিজেকে বোঝাই তুমি মেষপালক মাত্র।
বুদ্ধ্যঙ্ক জীবনের মাপকাঠি নয়
তাই শূন্যস্থান কখনও পূরণ হয় না।তার চেয়ে ,ইচ্ছেগুলো জড়িয়ে ধরে চলো,বাঁচার রসদ খুঁজি।
আশ্চর্যচর্যাশ্চয়
জীবনের গল্প থেকে যেহেতু আমার লেখা উঠে আসে তাই সাদা তেলে আমি ভাজি না।অহেতুক উজালার অপচয় করার কোনও মানেই হয় না।
যদিও আমার ছক্কুমামা বোনাস পেয়ে পেল্লাই একটা কড়া কিনে এনে দিয়েছে। সঙ্গে ফরচুন।এখন কবিতা ঝরার মরসুম।
মিনিট দু'য়েক বাথরুমে গিয়ে বসলেই বিকট শব্দে ফ্ল্যাশ কাট হয়। দশ লি জলের এত জোর।
পাশের বাড়ির টেঁপি(ওর ভালো নাম তাপ্তী আমি অবশ্য উশ্চারণ করতে পারি না) তো এখন ধ্রুবপদী,ছাদে গেলেই জিজ্ঞাসা করে বারবার তুমি পাখনায়?কী করো?
কী করে বোঝাই ওটাই আমার সুপ্তিজগৎ--- আমার ইড়াপিঙ্গলাসুষুম্না---আশ্চর্যচর্যাশ্চয়---
টি-ব্রেক
উড়ে যাচ্ছে স্বপ্ন
খুঁড়ে মরছি কবর
দ্রুত ছড়াচ্ছে হিংসা
ছবি তুলছি মোবাইলে
মাছ ভাজছি ফরচুনে
জনগণ ভিজে বেড়াল
স্রোত বইছে রক্তের
পান্তা চিবোচ্ছে কবি
ফুঁড়ছি কোভি বিষ
দেবদেবীদের ইচ্ছেয়
ত্রিছটা
বলিহারি ফুসকুরি
নিষ্ঠুর মায়াবুড়ি
কুট্টুস কাট্টাস
দিঘিজলে পাতিহাঁস
বলিহারি পুঁইডাঁটা
লটপটে সাদামাঠা
জল খেলে ফুলফুলে
মাচা পেলে নভোনীলে
বলিহারি মেঘমালা
যক্ষের দূতবালা
অলকার ঠিকানায়
হেসে ভেসে উড়ে যায়
কবি সুজিত রেজ
চুঁচুড়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ
0 Comments