📚 লক্ষণ দাস ঠাকুরা🔺পূর্ব বর্ধমান🔺
🔵 বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হলেন বিকাশ চৌধুরী।তাঁর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায়নি এমনকি দাঁড়াতে কেউ সাহস ও পায়নি-এই কথাগুলো গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় চোরাস্রোতের মতো বয়ে চলতে লাগলো। আবার অনেকেই আশ্বস্ত হলো এই ভেবে যে কাজের মানুষ,দক্ষ মানুষ বিশ্বনাথ বাবু যখন আছে তখন কোনো চিন্তা নেই । কিন্তু নির্বাচনের দিন অদ্ভুত ভাবে বিশ্বনাথ বাবু অনুপস্থিত থাকলেন।রহস্য আরও ঘনীভূত হতে থাকল।পটলার দলবল বিকাশবাবুর গলায় মালা পরালো। আবির মাখালো। জয়ধ্বনি তুলল-"যুবনেতা জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ।" বিশ্বনাথ বাবুকে জিজ্ঞাসা করলেই তাঁর একটাই উত্তর - "এমনিই দাঁড়াইনি,পদে কি এসে যায়? আমি তো আছিই "। যখন তিনি এই কথাগুলো বলেন তখন গতরাতে তাঁর বুকে ঠেকানো পটলার ট্রিগার না-টেপা রিভলবারের গুলিটা আর সেই সাথে পটলার দাপুটে কথাগুলো বিশ্বনাথ বাবুর মনে পড়ে যায় ।
-"তুমি শালা আমাদের চোর বলে জেলে পুরেছিলে, বিকাশ না থাকলে এখনও জেলে পচেই মরতে হত,এর পরেও যদি বেশি ল্যাবড়াগিরি করো তাহলে তোমার ছেলে গয়ায় প্রেতশিলায় পিন্ড দিতে গিয়ে দেখে আসবে ফলগু নদীতে কেমন করে স্রোত বইছে।" পটলার
-"তুমি শালা আমাদের চোর বলে জেলে পুরেছিলে, বিকাশ না থাকলে এখনও জেলে পচেই মরতে হত,এর পরেও যদি বেশি ল্যাবড়াগিরি করো তাহলে তোমার ছেলে গয়ায় প্রেতশিলায় পিন্ড দিতে গিয়ে দেখে আসবে ফলগু নদীতে কেমন করে স্রোত বইছে।" পটলার
কথাগুলো বুকের মধ্যে চোরাস্রোত থেকে প্রবল স্রোত হয়ে বয়ে যেতে লাগলো । কিছুদিন বাদেই সেই স্রোত জীবনের মোহনায় আছড়ে পড়ল।
0 Comments